চাচাতো বোন যখন জিএফ

0 16
Avatar for Koly
Written by
4 years ago

গল্পঃ চাচাতো বোন যখন GF!!

Part--1

রিয়া - ওই এখনো ঘুমাচ্ছিস।।( রিয়া হচ্ছে আমার চাচাতো বোন )

আমি - কি?

রিয়া - ওই উঠ।

আমি - আর একটু ঘুমাতে দে।

রিয়া - আর কতক্ষণ ঘুমাবি। এখন ৮:৩০ বাজে।

আমি - আর ৩০ মিনিট ঘুমাতে দে।

রিয়া - আর এক মিনিটও না।

আমি - আমি না দারোয়ান কে বলেছিলাম তোকে বাসার ভিতরে না ডুকতে দিতে।

রিয়া - কার এত সাহস যে আমাকে এই বাসায় ডুকতে দিবে না।

আমি উঠে বসলাম।

আমি - তোর কি হয়েছে এই সকালে চিল্লাচ্ছিস।

রিয়া - কি আমি চিল্লাচ্ছি।

আমি - হুম।

রিয়া - দেখবি তোর কি করবো।

আমি - না থাক আমি ভয় পায়ছি। আপনার কি হয়েছে তাই বলেন।

রিয়া - ওই তুই আবার আপনি করে বলছিস কেন? (চোখ দুইটা বড় বড় করে)

আমি - সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। এবার বল কি হয়েছে।

রিয়া - আম্মু ডাকছে।

আমি - এত সকালে কেন ডাকছে।

রিয়া - তুই এখন জাবি কি না তাই বল।

আমি - আচ্ছা তুই যা আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।

রিয়া - তুই ফ্রেস হয়ে আয় আমি এখানে আছি।

আমি - আচ্ছা তাহলে তুই আমার রুম থেকে যা।

রিয়া - জাবো না। আমি এখানে বসে থাকবো। ( খাটের উপরে উঠে বসলো।)

আমি - আচ্ছা তুই বস। আমি আসছি।

আমি ফ্রেস হতে চলে গেলাম। আর রিয়া আমার রুমে বসে আছে।

বন্ধুরা ফ্রেস হতে হতে তোমাদের আমার পরিচয়টা দিয়ে ফেলি। আমি আশিকুল ইসলাম রাজ আমার পরিবারে শুধু আমি একা আর কেউ না। বন্ধুরা আমার পরিবার সম্পকে বলার মত আর কিছু নাই।।

আমি ফ্রেস হয়ে রুমে আসলাম।

রুমে এসে তো দেখি এই রুমটা আমার রুম না। কারণ আমি জীবনে কখন আমার রুমটা এত সুন্দর করে সাজানো দেখি নাই।

রিয়া - ওই তোর ফ্রেস হতে এত সময় লাগে।

আমি - আমি কি মেয়েদের মত নাকি যে ঠান্ডা সময় ৭ দিন ফ্রেস না হয়ে শুধু পারফিওম মেরে থাকবো।

রিয়া - আমরা পারফিওম মেরে থাকি।

আমি - হুম।।।

রিয়া এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।

আমি - এই কি করছিস।

রিয়া - যা এবার গোসল করে। ( ছেড়ে দিয়ে)

আমি - তোকে বলা লাগবে। আমি গোসল করতে যাচ্ছি । (( আমি মনে মনে বলছি তুই যে স্কুলে পরিস আমি ওই স্কুলের হেড মাস্টার))

রিয়া - কি? আমি জরয়ে ধরেছি বলে। তুই এখন গোসল করবি।

আমি - হুম।

রিয়া - আমি কি এতই নুংরা।

আমি - খালি তুই না তোরা মেয়েরা সবাই এক।

রিয়া - কি? আর দেখবি তোর আমার মত এক নুংরা মেয়ের সাথে বিয়ে হবে।

আমি - হাহাহাহাহাহাহাহা( আমার তো তোর মতই একটা মেয়ে চাই)

রিয়া - হাসছিস কেন?

আমি - আচ্ছা বাদ দে। চল তোদের বাসায় চল।

রিয়া - তুই আগে গোসল করে আই।

আমি - না থাক তুই নুংরা কিন্তু ওতটা না যে গোসল করা লাগবে।

রিয়া - তোর মাইর হবে।

আমি - আচ্ছা পরে মারিস এখন তো চল।

রিয়া - আচ্ছা চল।

আমি আর রিয়া রিয়াদের বাসায় গেলাম। যেতে বেশি টাইম লাগে নাই। কারণ আমরা পাশাপাশি বাসায় থাকি।

চাচী - এতখন লাগে আসতে।

রিয়া - বল না আম্মু। এতো ছেলে না মেয়ে।

চাচী - কি বলিশ।

রিয়া - কি আর বলবো আম্মু। ওই যে মেয়েদের মত সাজতে শুরু করলো সেই সেজে যাচ্ছে। আমি বলছি একটু তাড়াতাড়ি কর। ও কিছু শুনছেই না।

চাচী - হয়েছে তোর কথা। যদি তোর কথা বলা শেষ হয় তাহলে মুন্নিকে সাহায্য করতে যা।

রিয়া - আম্মু আমি যে এত গুলা কথা বললাম তুমি বিশ্বাস কর নাই।

চাচী - তোকে আবার বিশ্বাস।

চাচীর কথা শুনে আমি আর আমার চাচা দুইজন হাসছে শুরু করলাম।

রিয়া - আচ্ছা থাক তোমাদের ছেলেকে নিয়ে আমি গেলাম।

চাচী - তুই যা তুই গেলে আমার কিছু হবে না আমার ছেলে আছে।

চাচীর কথা শুনে রিয়া রাগ করে রুমে চলে গেলো। আর চাচী মুন্নিকে সাহায়্য করতে গেলো।

আমি - কেমন আছেন চাচা।

চাচা - আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছ।

আমি - ভালো আছি।

আমরা এই দিকে কথা বলছি ওই দিকে চাচী আমাদের জন্য নাস্তা রেডি করে। নাস্তা করার জন্য ডাকছে।

আমি চাচা-চাচী নাস্তা করতে বসলাম। নাস্তা করা শুরু করবো এমন সময় দেখছি রিয়া আসছে নাস্তা করতে।

রিয়া - কি তোমরা আমার দিকে তাকিয়ে আছ কেন?

চাচী - তুই রাগ করে চলে গেলি।

রিয়া - রাগ করেছি তোমাদের উপর খাবারের উপর না।

আমি - চাচী রিয়াকে এখন খেতে মানা করেন।

রিয়া - কেন?

আমি - চাচী ও যদি আমাদের সাথে খেতে বসে তাহলে আমাদের সবার খাবার ও একাই খেয়ে নেবে।

চাচী - কথা কিন্তু তুমি ঠিক বলেছো বাবা।

আমি - দেখ না খেয়ে খেয়ে শুধু মুটকি হয়েছে।

রিয়া - কি আমি মুটকি।

আমি - তাছাড়া আবার কি?

রিয়া - আচ্ছা, আজ আমি তোমাদের সবার খাবার একাই খাবো।

চাচা - আচ্ছা তোমরা এবার তোমাদের দুষ্টামিটা বন্ধ কর।

আমি - ওকে।

চাচা - রাজ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে বাবা।

আমি - বলেন।

চাচা - বাবা তোমার লেখাপড়া তো শেষ তাই না।

আমি - জি চাচা।

চাচা - তুমিও বড় হয়েছো আবার আমার বয়স হয়ে গেছে। বাবা এবার তোমার জিনিস তুমি বুঝে নাও।

আমি - আমি কিছু বুঝলাম না চাচা।

চাচী - তোমার চাচা বলতে চাইছে যে তুমি তোমার বাবার সব কিছু বুঝে নাও।

আমি - কেন?

চাচা - কারণ এই সব জিনিসের মালিক তুমি।

আমি - বাবা-মা চলে যাওয়ার পর তো তোমরা আমার সব। তোমরাই আমার বাবা-মা। আর একটা কথা আমি কি তোমাদের ছেলে না।

চাচা - হুম,,,, তুমি তো আমাদেরি ছেলে।

আমি - বাবার জিনিস যদি ছেলের হয় তাহলে ছেলের জিনিস বাবার হয় না।

চাচা - হুম হয়।

আমি - তাহলে আর কখন বলবেন না যে তোমার জিনিস তুমি বুঝে নাও।

চাচা - বাবা তোমার সাথে আমি আর কথাতে পারবো না।

আমাদের কথা বলছি আর রিয়া হা করে তাকিয়ে আছে। কারণ রিয়া এই সব কথা কিছু জানতো না।

নাস্তা শেষ না হতেই চাচী বললো।

চাচী - তোমার কি গ্রামের কথা মনে আছে।

আমি - চাচী ওই সেই ছোট্ট বেলায় আপনাদের আনতে গিয়েছিলাম। তারপর তো আর তোমরাও যাও নাই আর আমারও যাওয়া হয় নাই।

রিয়া - কি? তুমি আব্বু-আম্মুকে আনতে গিয়েছিলে নাকি?

চাচা - হুম।

আমি - ওই সব কথা বাদ দে তোর কলেজের টাইম হয়ে গেছে তুই কলেজে যা।

চাচী - রাজ সামনে মাসে আমরা আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি ওকে।

আমি - ওকে।( অনেক খুশি হয়ে।)

আমাদের নাস্তা করা শেষ আমি চাচাকে বললাম চাচা আমি তাহলে এখন যাই।

চাচা - তোমার এখন কোন কাজ আছে।

আমি - না তেমন কোন কাজ নাই।

চাচা - তাহলে তুমি একটু আমাদের উত্তরার অফিস থেকে ঘুড়ে এসো।

আমি - কোন সমস্যা নাকি।

চাচা - তেমন কিছু না। আজ আমার একটা মিটিং আছে তো তাই।

আমি - ওকে,,,, যাচ্ছি।

আমি চাচাদের বাসায় থেকে আমাদের বাসায় আসলাম। আমাদের মানে আমার বাসায় আসলাম। অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি। মনে হচ্ছে রুমের বাইরে কেউ আছে। আমি পিছনে তাকিয়ে দেখছি রিয়া।

আমি - ওই তুই এখানে।

রিয়া - কথা বলার আগে কাপড় ঠিক কর।

আমি - ( রিয়ার কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলাম।)

রিয়া - লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। যা দেখার আমি দেখেছি অন্য কেউ না।

আমি - তুই বাইরে যা আমি আসছি।

রিয়া - এখন আবার বাইরের যাওয়ার কি আছে। যা দেখার তাই তো দেখে ফেলেছি।

আমি - তুই বাইরে যাবি।

রিয়া - না।

আমি - আচ্ছা তাহলে দারা ভালো করে দেখাচ্ছি। ভিতরে আই।

ভিতরে আই বলে রিয়ার দিকে একটু এগিয়ে গেছি আর ভয়ে পালিয়ে গেছে।

আমি রেডি হয়ে বাইরে এসে দেখি কার সাথে ফোনে কথা বলছে আর হাসছে।

আমি - ওই তুই এখানে কেন?

রিয়া - কেন, আমার জায়গার অন্য কেউ থাকলে ভালো হত নাকি।

আমি - তুই এখন আমার রুমে কেন?

রিয়া - আম্মু বললো তুই নাকি উত্তরার অফিসে যাবি।

আমি - হুম।

রিয়া - তাহলে আজ তুই আমাকে আমার কলেজে নামিয়ে দিবি।

আমি - কেন? তোর কি গাড়ি নাই। যে তুই আমার সাথে যাবি।

রিয়া - আমি তো গাড়িতে যাবো না।

আমি - তো কিসে করে যাবি।

রিয়া - বাইকে করে।

আমি - তাহলে তুই আমার বাইক নিয়ে যা। আমি তোকে বাইকে করে নিয়ে যেতে পারবো না।

রিয়া - আচ্চা,,,, তুই তোর ইমু চেক কর।

আমি আমার ইমুতে চেক করে তো আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেলো।

আমি - এই গুলা কি?

চলছে ----------------আর -------------------চলবে।

বন্ধুরা গল্পটা কেমন লাগলো জানাবেন plzz। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমি পরের পাঠ গুলা লিখবো। আর যদি ভালো না লাগে তাহলে পরের পাঠগুলা লিখে আর আপনাদের ডিস্টাপ করবো না।

1
$ 0.00
Avatar for Koly
Written by
4 years ago

Comments