>>>>আদুরে বউ<<<<<<<
পর্বঃ০৭
*হুমমম, রাত প্রায়ই দেড়টা বাজে, নীলা আর আমার বাসর রাত শুরু হচ্চে, পাঠকরা চোখ বন্ধ করেন ত একটু,আপনাদের ভাবির সাথে বাসর রাত হচ্চে,😍 ত আপনারা এখনও ছোটও বাচচ্চা, এগুলো না দেখলেও চলবে😆😆
পরদিন সকালে খুব সকালে উঠে গেলাম, রাতে খুব যুদ্ধ হয়ছে,, তাই গোসল করার জন্য নীলা আর আমি একসাথে বাথরুমে ঢুকলাম, , নীলা আমাকে সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে দিচ্চে পুরো শরীরে, আর আমি নীলার গায়ে ডেটল সাবান লেপ্টে দিচ্চি, আর জড়িয়ে ধরে একসাথে ঝরণার পানিতে ভিজতেছি,,, নীলা আমাকে জড়িয়ে ধরেই,, চোখ বন্ধ করে রাখে, ও খুব লজ্জা পাচ্চে, যেহেতু আমাদের কারো শরীরে কিছু নেই,,, একটু পর,,
অভ্র, এইবার ছাড়ো,
না ছাড়বো না, এভাবেই সারাজীবন জড়িয়ে রাখবো,,
তাই সারাজীবন আমাকে বাথরুৃমে জড়িয়ে রাখবা☺☺☺
বাথরুমে কেনো রাখতে যাবো,, আমার বুকের বাম পাশের ছোট্ট কুটরিতে আগলে রাখবো,, খুব ভালোবাসি, নিজের চেয়েও
,, আমিও খুব ভালোবাসি অভ্র,,, এই সুখ আমার সয়বে ত, যদি কখনোও হারিয়ে যাই আমি,, বিধাতা যদি তোমার কাছ থেকে আমাকে কেড়ে নেয়, অভ্র আমার অন্ধকারে থাকতে খুব ভয় লাগে, আমি একা একা থাকতে পারবো না,, তুমি আসবে ত আলো হয়ে,😭😭😭😭😭😭
এই পাগলি কি বলছো এসবব,, আমার ভালোবাসা ঠুমকো নয় যে, ফু-দিলে বাতাসে উড়ে যাবে,,, আমার ভালোবাসার দেওয়াল, কনফিডেন্স সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা, যেটাতে বি,এস,আর,এম রড ব্যবহার করেছি,,,,
ওরে হারামজাদা,,, তুই আমার ভালোবাসা, পিলারের সাথে তুলনা করলি,,
হিহিহিহিহিহিহিহি,,,, আদুরির সাথে ত একটু মজা করতেই পারি,,, সত্যিকার ভালোবাসা কখনো, বিধাতা ও ছিনিয়ে নিতে পারে না,,, এই সূর্য চন্দ্র যেমন দিবালোকের মতো সত্য, তেমনি আমার ভালোবাসা তারা নক্ষএ মতো সত্য, তোমাকে কেউ আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবেনা, প্রয়োজনে বিধাতার সাথে লড়াই করে আমার ভালোবাসা ছিনিয়ে আনবো 😱😱😱
হয়ছে, হিরো আলমের মতো ডায়লগ দিয়ো না,, অভ্র কলিংবেল বাজতেছে মনে হয়,,,
কোথায়,,,
আসছা, আমি দেখতেছি, নীলার গোসল প্রায়ই শেষ, নীলা মাথা মুছে দরজার সামনে গেলো, দরজা খুলেই--------
একবছরের জমানো আবেগ বহিঃপ্রকাশ করে বললো
আরে নীশি, তুই, এতোদিন বাদে দিদির কথা মনে পরলো তোর,, অভ্র হাতে তুলে দিয়ে আর কোনও খবর ও নিস নি, বেছে আছি নাকি উপরে চলে গেছি, , বল কেমন আছিস,
ভালো আছি দিদি, তুই কেমন আছিস,
আমিও ভালো আছি, মা কেমন আছে,
হ্যা মা খুব ভালো আছে, সেই সকাল থেকে মা বলেই যাচ্চে তোর দিদিকে একটু দেখে আয়য়, আমার মেয়েটা কেমন আছে,,, কতোদিন খোজ খবর পাইনা, কথা হয়না, তাই ভাবলাম কলেজ থেকে আসার সময় তোদের দেখে যাই☺☺😍
হ্যা খুব ভালো করেছিস, তুই বাইরে দাড়িয়ে কেনো, ভিতরে আয়,
হ্যা চল,, আসছা অভ্র ভাইয়াকে দেখছি না যে,,
ওর কথা আর বলিস না, শয়তান টা গোসল করতে গেছে, আর আমাকেও করায়ছে,, সাজ-সকাল বেলা গোসল কররতে ভালো লাগে বল, তার উপর এতো ঠান্ডা পানি😆
তাইলে ভাইয়া তোমাকে গোসল করায় দিছে,,
এহহহহহ মা না না,, ত ত তোর ভাইয়া গোসল করাবে কেনো, আমি নিজেই করছি গোসল,, মনে মনে ভাবছি, উফফফ কি বলতে যে কি বেরিয়ে যাচ্চে,, কি লজ্জা কি লজ্জা,
কি ভাবছো দিদি,, এই ত বললে ভাইয়া গোসল করায় দিছে😞
আরে না, তোর ভাইয়া গোসল করতে বলছে আর কি😊
ও আচ্চা, দিদি তুই ত সকালে গোসল করিস না, আর ভাইয়া ও করে না, তোরা ত দুপুরবেলা গোসল করিস, তাইলে আজকে সকালে গোসল করলি যে,,😊
সেটা না হয় তোর অভ্র ভাইয়ার কাছ থেকে জেনে নিস,,
দিদি তুমি না বললেও আমি সব বুজি,, "ডালমে কুচ কালাহে😃😁"
কি সবব কালা টালা বলছিস, ছাড় এসব, মনে মনে ভাবছি কি পাজি মেয়েরে কথা কিছুতেই শেষ হতে দিচ্চে না, কেনো যে একা একা আমার বাসায় আসতে গেলো, মা কে সাথে নিয়ে আসলে কিছু বলতাম না, মা সব সামলে নিতো,, আমার নাদুস-নুদুস বররটার মাথা খাওয়ার জন্য আসসছে আর কি,,,
কি হলো? কি ভাবছিস দিদি😞
আরে নীলা তুমি? কখন এলে
এতো ভাইয়া এখন আসলাম, কেমন সারপ্রাইজ দিলাম বলো😱
তোমাকে দেখে আমি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেছি,, ত কেমন আছো?
ভালো আছি, তুমি ভালো আছো,
হ্যা ভালো আছি, ভাইয়া দিদির সাথে প্রেম কেমন চলে,,
কথাটা শুনে আমি নীলার দিকে তাকালাম, আর নীশি আমার দিকে,
আসছা তোরা গল্প করর, আমি তোদের জন্য, নাস্তা আনতেচি,
আসছা যাও, নীলা চলে গেলো, উফ নীশির সাথে কথা বলতে বলতে ওকে ত পাঠকদের সাথে পরিচয় করে দেওয়ায় হয় নি,, নীলার ছোটও বোন নীশি, দেখতে শুনতে ভদ্র, কাঁচা পেপের মতো, কিন্তু ভেতরে ভেতরে পেকে লাল হয়ে টমেটো হয়ে গেছে,, ও আমার জন্য এককটু দূর্বল, নীলার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে সারাক্ষন আমার পিছে আঠার মতো লেগে থাকতো,, তখন আমি ছিলাম, নায়ক, নীলা ছিলো নায়িকা আর নীশি ছিলো ভিলেন,, ওর একটাই কাজ ছিলো, নীলা আরর আমার মাঝে ঝগড়া লাগানো,
সে হয়তো চাইনি নীলা আর আমার বিয়েটা হোক,, সেটা আমি একদিন বুজতে পাররছিলাম, নীশির আচরণ দেখে,,, ঘটনাটা না হয় পরে আপনাদের বলবো,
নীশি কোনও কু-মতলবে হয়য়তো এখানে এসেছে,, এক বছর পর নীশির হর্ঠাৎ উদয় হলো কেনো,, যদি কোনও মতলব না থাকে,,
ও আসা মানেই, আমার সুখের ঘুম হারাম কররা, বাসায় আমরা ২জন থাকতাম নীলা আর আমি, যেহেতু আমাদের মাঝে ভেজাল করারর মতো কেউ ছিলো না, তাই আমরা অনেক রোমান্স করতাম 😱😍 কখনো রান্নাঘরে কোমড় জড়িয়ে, নীলা রান্না করতো, আর আমি পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরে চুমু দিতাম, কখনোও ডাইনিং টেবিলে, খাবার খাওয়ার সময়,, তরকারী বেশী ঝাল হলে, আমি আর পানি খেতাম না, নীলাকে জড়িয়ে ধরে ওর লাল ঠোট চুষে ঝালটা মিটাতামম,, আহ্,,, আবারর কখনো টয়লেটের ভেতরে ঢুকে, রোমান্স, পাঠকরা গবেষনা করার কিছু নাই, এগুলো আপনাদের লেখক অভ্রের রোমাঞ্চ করার নতুন স্টটাইল,
,,, যাইতো আর এখন হয়তো এতো কিছু কররতে পারবো না, কারণ সাজ সকাল-বেলা ভেজাল এসে উপস্হিত, কতোদিনের ঘাঠি গাড়ানোর জন্য আসছে ভগবান জানে😃😆😊
আহ্ ভাইয়া
কি হলো
চোখে কি এককটা পরছে মনে হয়, খুব জ্বালা কররতেচে চোখে, আমি চোখ খুলতে পারছি না😭😭
কই দেখি ত কোথায়,
এইতো চোখের নিচটাতে
আসছা ফু-দিচ্চি, চোখটা একটু উপরে করো, নীশি আমার চেয়ে একটু খাটো, তাই আমি ওর চোখে ফু-দেওয়ার সময় খুব কাছাকাছি চলে আসলাম
এখন ঠিক আছে,
হুম ভাইয়া ঠিক আছে😱
..নীশি আর আমি ফিরে দেখি নীলা, সে কখন আসলোও, আর এসেই বা চুপ কেনো,
আমি নীলারর চোখের দিকে তাকালাম, নীলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে, আর ওর চোখ দিয়ে পানি পরতেছে,,
নীলা সামনে আসলে, আর খাবারগুলো টেবিলে রেখে বললো, নুডুলস্ গুলো খেয়ে নাওও,, নীশি তুই ও খেয়ে নে
কথাটা বলে নীলা দৌড়ে চলেলে গেলো ওর রুমে, কি বেপার একটু আগেই ত নীলা ঠিক ছিলো, এখন আবার কি হলো, না পরে খাবো, নীলা ও ত খাই নি, আমি নীলার কাছে যাবো।
ভাইয়া খাচ্চেন না যে,
আমি এইমাএ গ্যাষ্টিকের ঔষধ খেলাম, তুমি খেয়ে নাও, আমি একটু আসসতেছি,,,,,,,😊
চলবে........
0
22