#এক্স_গার্লফ্রেন্ড_যখন_বেয়াইন
পর্ব:১
প্রায় তিন মাস পর এক্স এর প্রোফাইলে ডুকলাম। দেখলাম relationship status দিছে কিন্তু কার সাথে সেটা mansion করে নাই । দিলাম 😂 হা হা react। তারপর ফেচবুক থেকে বেরিয়ে এসে ছোট করে একটা ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে massenger এ গিয়ে দেখি উপরে লেখা আছে New Massege Request। id টার নাম Jannatul Ferdous। চিনতে আর বাকী রইলো না এটা আমার এক্স এর id। অবাক হলাম তার sms গুলো দেখে। আপনারা শুনলে বুঝতে পারবেন।
এক্স-- কুত্তা, শুয়োর,, বানর, লুচ্চা লমপট কুলাঙ্গার হারামজাদা হারামি হনুমান হাঁদারাম গাঁজা খোর মদ খোর,, সিগারেট খোর, পান খোর, পানি খোর, বিড়ি খোর, ভাত খোর নুডলস খোর। যা যা বলা যায় সব বলছে।
-- ওই কুত্তা তুই আমার status এ হা হা দিলি কেন রে। কুত্তার লেজ কি কখনোই সোজা হয় না। আর তুই এত দিন কোই ছিলিরে কুত্তা।
-- তোরে একবার পাই তোর হাত পা ভেঙে দিবো আমার পোস্ট এ হা হা দেয়া না,,?
বাপরে বাপ এ কি ডেঞ্জারাস মাইয়ারে বাবা। একটা হা হা তেই এত কিছু ভাগ্য ভালো যে এর সাথে আমার ব্রেক আপ হয়ে গেছে। নইলে অবস্থা কেরোসিন বানিয়ে দিতো। আর তুই আমারে পাইলে তবেই না হাত পা ভাঙবি না পাইলে কেমনে হা হা বোকা মেয়ে কোথাকার😂😂।
আমি এসএমএস দিলাম
-- কে আপনি আর এগুলা কি সব আবোল তাবোল কথা বোলতে আছেন,,? ( সঙ্গে সঙ্গেই রিপ্লাই)
-- কুত্তা আমারে তুমি এখন চিনতে পারতেসো না তাই না,😡😬 দুই বছর প্রেম করে এখন বলতেছ আমি কে?
-- সরি রং নাম্বার,।
-- রং নাম্বার মানে আমি কি তোর সাথে ফোনে কথা বলতেছি নাকি রে বানর? 😡
-- ওই ছেরি এত কথা বলিস কেনো,, যা তুই ব্লক।
You can't massege or call them in this chat, and you won't receive their massege or calls.
এখন কি যে ভালো লাগতাছে ভাই আপনাদের বলে বোঝাতে পারবনা☺☺* আমার সাথে ব্রেক আপ করার পর একটা বারের জন্যও খোঁজ নিস নাই। এখন আবার আমারে বলতেছ আমি ভাত খোর। জীবনে তো কিছু খাওয়াশ নাই আমারে আমার তাই সারা জীবন খেয়েগেলি ,,, নাকি দুইটা বছর খেয়ে গেলি আর এখন আমাকেই খোটা দিচ্ছিস আমি ভাত খোর। কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই ফোনটা বেজে উঠল নাম্বার টা অচেনা। ধরলাম তারপর ওপাশ থেকে
-- ওই কুত্তা তুই আমরে ব্লক মারলি কেন। শুয়োর তারাতাড়ি ব্লক টা উঠা বল্লাম কথা আছে তোর সাথে।
-- ট্যুট ট্যুট ট্যুট,,,,,,,,,,, দিলাম ফোন কেটে আর নাম্বার টা ব্লাকলিস্টে। ওহ কি মজা রে মজা টানা দুই টা বছর জালাইচিস। তিন মাস যাবত তো ভালোই ছিলাম। কি জন্যে যে হা হা দিতে গেলাম ধুর ভাল্লাগে না। টানা দুই বছর জোলছি আর জোলতে চাই না। আবারো ফোন আসলো ধরলাম
-- প্লিজ ফোনটা কেটো না তোমার সাথে আমার কথা,,,,,,,,,, ট্যুট ট্যুট ট্যুট আবরো কেটে দিলাম
তোর সাথে। তারপর,,,,,,,,,,,,,,
.
--প্লিজ ফোনটা কাটবেনা তোমার সাথে আমার কথা আছে। (জান্নাত)
-- কাটব তুই কি করবি? তোর সাথে আমার কোনো কথা নাই।😠
--ওই তুই আমারে তুই করে বললি?
-- হে বল্লাম তুই কি করবি।
-- কুত্তা তোর সাহস তো কম না, আমারে তুই করে বলিস,? তুই জানিস আমি কে?
-- এহ আইছে তুই কে আমি জানি না হুম। তোর কোথায় কি আছে আমি সব জানি🙈 আর তুই কে আমি তা জানিনা।☺
-- কি বললি তুই কুত্তা 😱?
-- কি বলবো আবার,? তোরে আমি জানি তুই কে তাই বল্লাম।
--কুত্তা তার আগে তুই কি বললি?😠 আমার কোথায় কি আছে তুই সব জানিস😭😭
-- আরে ওটাতো কথার কথা বল্লাম। তোর কোথায় কি আছে আমি কি ভাবে বলবো? তুই কি জীবেনে তোর হাতটা পর্যন্ত ধরতে দিছিস নাকি কুুত্তি।
--তুই আমারে কুত্তি বললি? তুই জানিস আমার আম্মু জীবনে আমায় কুত্তি বলে নাই। বানর শুয়োর কুত্তা যা তোর সাথে আবার ব্রেকআপ। জীবনে আমারে আর ফোন দিবিনা, আমার পোস্টে আর হা হা😂 দিবিনা। তোর সাথে আবার রিলেশনে জরাইতে চাইছিলাম কিন্তু তোর ভাষার জন্য তা আর হলোনা। হারাম জাদার ভাষা কি কুত্তা ফুট। ট্যুট ট্যুট ট্যুট,,,,,,,,,
হা হা হা হা হা,,,,,,,,, কথায় আছে না ভুতের মুখে রামনাম এর হইছে তাই😂😂😂 যে মাইয়া কুত্তা বানর শুয়োর লুচ্চা ছাড়া কোথাই বলে না সে নাকি আমার সামান্য কুত্তি বলার জান্য ব্রেকআপ করলো ভাবা যায় বিষয় টা😁
যাই হোক পরিচয় টা দিয়ে নেই,,,, আমি আজিজ। এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর যার সাথে এতক্ষণ কথা বলছিলাম ও হলো জান্নাত। আমার গার্লফ্রেন্ড,,,,, গার্লফ্রেন্ড বললে এখন ভুল হবে। বলতে হবে এক্স_গার্লফ্রেন্ড। এবার ইন্টার ফাইনাল ইয়ারে ।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে ফোন টা আবার বেজে উঠল মেজাজ টা আবার খারাপ হয়ে গেলো। জান্নাত মনে করে নাম্বার টা না দেখেই ধরে বলতে শুরু করলাম,,,,,,,,
--ওই কুত্তি আবার ফোন দিলি কেন? তোর কি লজ্জা নাই খুব তো বললি আর ফোন দিবি না। সেই তো ঘুরে ফিরে আবার আমার কাছেই ফোন দিলি। বেলজ্জ বেপর্দা বেহায়া মহিলা কোথাকার।
(ওপাশ থেকে)
-- কি আবোল তাবোল কথা বলিস বাবা? আমি তোর মা বলতেছি। তুই কি পাগল হইলি নাকি রে বাবা?
(ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি এমা এতো দেখি সত্যি আম্মুর নাম্বার। এখন কি বলবো আম্মরে😟😒)
-- আম্মু সরি আম্মু। ভুল হয়ে গেছে।
-- ভুল মানে তুই আমারে কুত্তী বেহায়া বেপর্দা বললি😭
--আম্মু আমি সত্যি তোমারে বলতে চাই নাই।
--তো কারে বলতে চাইছিলি?
-- দাঁড়াও তোমারে সব বুঝিয়ে বলতেছি।
-- দাড়াঁইতে পারবো না তুই বল।
--ওকে তাহলে শোন (সব বুঝিয়ে বল্লাম)
-- ওহ ঠিক আছে বেশি চিন্তা করিসনে সব ঠিক হয়ে যাবে।
--হুম। তা কি জন্য ফোন দিয়েছিলে সেটা বল।
-- একটা খুশির খবর আছে বাবা। তুই বাড়িতে চোলে আয় তোর ভাইয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাবো। দুই একদিনের মধ্যেই চলে আয়।
--ওহ আম্মু কি খবর দিলে গো ভাইয়ার বিয়ে আমি কালকেই বিকালের দিকে চলে আসতেছি। (খুশি হয়ে। কারন ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেলেই আবার পথ পরিষ্কার☺😊😀)
-- ওকে আয়। সাবধানে আসবি কিন্তু।
ঠিক আছে আম্মি। বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।
কাল আগে ভার্সিটি গিয়ে ছুটি নিয়ে আসতে হবে। তারপর বিকালের দিকে সোজা বাড়িতে। কিন্তু জান্নাতের জন্য খুব খারাপ লাগতেছে। যদিও ব্রেকআপ করে থাকি তবুও তো ভালোবাসি মেয়েটাকে। অভিমানের বসে শুধু ব্রেকআপ করা। ব্রেকআপ করলেও তাও তো মেয়ে টাকে একবার করে দেখতে পারি। কিন্তু বাড়িতে গেলে তাও দেখা হবে না।
জান্নাতের সাথে আমার পরিচয় আমার বন্ধুর বনের মাধ্যমে।
সেদিন ছিলো নাবিলার(বন্ধুর বোন) জন্মদিন।
আমিও যাই সেদিন বুলবুল (আমার বন্ধু) দের বাড়িতে। জান্নাতুল কে সেদিনই প্রথম দেখি। তারপর প্রপোজ প্রেম। আর প্রেম পর ব্রেকআপ হা হা হা কি একটা জিনিস তাই না। ওকে প্রোপজ টা আমি করেছিনাম আর ব্রেকআপ টা করলো জান্নাত।
পুরনো দিনের কথা গুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনেই নেই। সকালে ঘুম ভাঙলো ফজরের আজান এর আওয়াজ শুনে। নামাজ পরে এসে সব কিছু গুছিয়ে নিলাম। তারপর খাওয়া করে ভার্সিটিতে গেলাম। ভার্সিটিতে পৌঁছাতেই,,,,,,,,,,,,,
রিয়া-- এই আজিজ এদিকে আসো (এর নাম রিয়া,,, খুবি গা ঘেষা একটা মেয়ে। আমাকে নাকি তার খুবই পছন্দ,,, কিন্তু আমাকে আর জান্নাত কে যখন এক সাথে দেখে তখন নাকি তার গা,,,,,,,, জলে যায়😂😂)
আমি-- হে বলো,,,,,,, তবে যা বলবে একটু তারাতাড়ি বলবে। আজকে আমার বেশি সময় নাই।
--তোমার কবেই বা সময় থাকে গো সোনা। আমার কাছে একটু বসতে তোমার কি এমন সমস্যা হয় বলো তো (হাতটা ধরে আরেক হাতের নখ দাতে কামার দিয়ে)
-- এই হাত ছাড়ও বলসি,,, হাত ধরলে কেন আবার।
-- নাহ ছাড়বো না। ওই ছেমরি (জান্নাত) যখন তোমার হাত ধরে তখনতো কিছু বলনা আর আমি ধরলেই দোষ তাইনা। আর তোমাদের তো এখন ব্রেকআপ হয়ে গেছে হাত ধরলে কোনো সমস্যাই হবে না।
---(কোনো মতে হাত টা ছাড়িয়ে) সেটাই তো গো সোনামণি আমার গুলো গুলো টা রিয়া সোনা। তুমিই তো এখন আমার হাতটা ধরে থাকবে। কিন্তু ওইযে বল্লাম আমার আজ একটু কাজ আছে। কাজটা সেরে এসেই আমার হাতটা তোমাকে দিয়ে দিবো কেমন রিয়া সোনা(একবার ছুটি টা নিয়ে আসি তারপর তুই আময় কেমনে পাস তা দেখা যাবে😂😂 মনে মনে)
রিয়া যেনো খুশিতে অবাক। আমি যে ওর সাথে এত ভালোভাবে কথা বলবো বিশ্বাসই করতে পারে নাই
-- তুমি আমাকে সোনা বললে আজিজ😍😍
-- হে গো সোনা আরো কত কি বলবো। আমি কাজ টা সেরে আসি তারপর না হয় সব হবে।
--ঠিক আছে,৷ কিন্তু কোথায় যাবে?
-- প্রিন্সিপালের রুমে।
-- আচ্ছা তুমি তাহলে যাও আমি তোমার জন্য এখানে অপেক্ষায় থাকি।
--আরে না,,, না। তোমার অপেক্ষা করতে হবে না। তুমি বরং ক্লাস এ যাও। আমি কাজ টা সেরেই আসতেছি।
--ঠিক আছে তারাতাড়ি আসবে কিন্তু আমি ক্লাসে গেলাম।
হ তুই তারাতাড়ি যা আর আমি আগে ছুটি টা নিয়ে আসি। তারপর তুই আমারে কেমনে পাস তা দেখা যাবে😂😂
ওখান থেকে প্রিন্সিপালের রুমে আসলাম তারপর ছুটি নিয়ে দিলাম এক দৌড়। এক দৌড়ে হোস্টেলে। তারপর ব্যগ টা নিয়ে বাস ইস্টিশন।
এদিকে রিয়া ভাবছে স্যরের রুমে আজিজ এতক্ষণ কি করে একবার দেখে আসতে হয়। যেই ভাবা সেই কাজ,,,, কিন্তু একি স্যারের রুমে তো আজিজ নাই। একবার স্যার কে জিজ্ঞেস করতে হয়।
রিয়া-- আসতে পারি স্যার?
প্রিন্সিপাল -- জ্বি আসো। আর তোমরা লেখাপড়া কর কেনো বলতে পারো। আসতে পারি স্যার এই কথাটা কি ইংরেজিতে বলা যায় না।
-- sorry sir.
--it’s ok আর sorry বলতে হবে না। কি জন্যে এসেছো তাই বলো।
-- স্যার আজিজ কি আপনার এখানে আসছিলো?
--হুম আসছিলেন। ছেলে টা খুবই ভালো।
-- হুম স্যার জানি। কিন্তু কি জন্য এসেছিলো স্যার।
-- ছুটি নেবার জন্য।
-- এ্যাহহহহহ😒😢😟😲😲😞😩😭
--হ্যায়য়য়য়☺
**এদিকে টিকিট কেটে বাসে উঠে বসে আছি আমি যেই কানে হেডফোন দিব ওমনি চোখ গেলো বাসের দরজার দিকে। যা দেখলাম তা হলো,,,,,,,,,,,,
হেডফোন কানে নিয়ে বসে আছি বাসের মধ্যে। হঠাৎ চোখ গেলো বাসের দরজার দিকে। একটা মেয়ে,,, মাশাল্লাহ দেখতে একদম দুধে-আলতা। মেয়েটি দেখি আমার সিটের দিকেই এগিয়ে আসছে। আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আমার সামনে দাড়িয়ে মেয়েটি বললো,,,,
মেয়েটি-- ভাইয়া জানালার পাশের সিট টা আমার যদি একটু এই পাসে আসতেন।
আমি-- ওহ হে সরি আপু,,, আসুন বসুন।
-- আরে সরি বলছেন কেনো ঠিক আছে।
-- হুম ধন্যবাদ। আচ্ছা আপনি কোথায় যাবেন আপু?
-- সিরাজগঞ্জ! আপনি?
-- আরে আমিওতো সিরাজগঞ্জেই যাচ্ছি।
-- বাহ ভালোই হলো গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে। তা আপনি সিরাজগঞ্জের কোথায় যাবেন?
-- উল্লাপাড়া! আপনি?
-- সিরাজগঞ্জেই।
-- ওহ! আপনার নাম টা কিন্তু জানা হলো না আপু।☺☺
-- আমি সামিরা,,, অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। আপনি?
-- আমিও অনার্স ২য় বর্ষে।😍 আমি আজিজ। আমরা যেহেতু একই ক্লাসে তাহলে আমরাতো তুমি করেই বলতে পারি,,, তুমি কি বল সামিরা☺
-- অবশ্যই কেনোনা🙈🙈
-- আচ্ছা সামিরা তুমি কি সিঙ্গেল,,?
-- কেনো বলোতো😒
-- না এমনি শুনতে চাইলাম।
-- নাহ আমার বয়ফ্রেন্ড আছে😊 আর তুমি?
-- কি আর বলবো দুঃখের কথা😭
আমি বর্তমানে ঝুলে আছি😂
-- ঠিক তোমার কথা বুঝলাম না।
-- মানে ৩ মাস আগে ব্রেকআপ হয়েছে। কাল রাতে আবার এক্স এর সাথে কথা হয়েছে।
-- ওহ তা কি কথা বললে কাল রাতে?
--শুনবে?
-- হুম বলো।
-- কথা গুলো শুনে যদি তোমার হাসতে হাসতে কাপর খুলে যায় তাহলে আমি কিন্তু দায়ী নই😂😜
-- ধুর ফাজলামো কর নাকি🙈বলোতো।
-- তাহলে শোন,,,,,( কাল রাতের সব কথা গুলো সামিরাকে বল্লাম। মেয়েটা হাসতে হাসতে যেনো গরাগরি খাওয়ার মতো অবস্থা😂 আমার সব কথা শুনে সামিরা হাসতে হাসতে বললো)
সামিরা-- আজিজ তুমি তাহলে ভাত খোর😂😂
-- তুমিও শুরু করলে নাকি😢
-- আরে নাহ এমনি মজা করলাম😝
-- হুম😒😏
-- আচ্ছা আজিজ একটা কথা বলবো।
-- হুম বলো।
-- তুমি যদি ভাত খোর হও,,,,, তাহলে তুমি এত চিকন কেনো? তোমায় তো দেখে মনে হয় না তুমি ভাত খোর😂( কথাটা বলে মুখে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে হাসতে হাসতে)
-- ধুর ফাজলামো করতেছো আমার সাথে। যাও তোমার সাথেও কথা নাই।
-- আরে আরে রাগ কর কেনো আমিতো মজা করলাম।
-- হুম। আচ্ছা সামিরা ভাত খোর কাকে বলে বলতে পারবে। আমি কিন্তু এর মানেটা বুঝলাম না।😒
-- হা হা হা ওটা তোমার গার্লফ্রেন্ড এর কাছেই জিজ্ঞেস কইরো আমি বলতে পারলাম না।
( মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে তার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেলাম। বাসের মধ্যে দুজন যতটা সময় এক সাথে ছিলাম সারাক্ষণ সামিরার মুখে হাসি ছিলো। যাওয়ার সময়)
সামিরা-- আজিজ তুমি কিন্তু খুবই মজার একটা মানুষ। যতক্ষণ তোমার সাথে ছিলাম খুবই ইনজয় করলাম মুহুর্ত টা। আর তোমার কথা শুনে যত টুকু বুঝলাম জান্নাত তোমাকে খুবই ভালোবাসে। আর অভিমানের বসে শুধু তোমার সাথে এমন ব্যবহার করেছে।
-- হুম আমি জানি।
-- আমি কিন্তু তোমার গার্লফ্রেন্ড কে চিনি।
-- কি বলো কি ভাবে? 😱😱
-- সময় হলেই জানতে পারবে। আল্লাহ হাফেজ! ভালো থেকো আজিজ আর জান্নাত এর সাথে আবার ভাব করে নিয়ো।
-- আল্লাহ হাফেজ সামিরা। কিন্তু তুমি কি ভাবে জান্নাতকে চেনো সেটা তো বলে যাও।
(যাহ মেয়েটা চোলে গেলো। ধুর ভালো লাগে না আবার একটা রহস্যের মধ্যে রয়ে গেলাম। আবার ওর নামটা ছাড়া কিছুই জানা হলোনা। এমন কি ফোন নাম্বার টাও নেওয়া হলো না।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আমার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেলাম। আমার শহর উল্লাপাড়া তে। বাস থেকে নেমে একটা সিএনজি নিয়ে সোজা বাড়িতে। দরজার সামনে এসে কলিং বেল বাজাতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিলেন)
আম্মু-- কিরে এত তারাতাড়ি এসে গেলি।
আমি-- কোই আসলাম এত দিন পর একটু আদর যত্ন করবে তা-না বলসো এত তারাতাড়ি চলে আসলাম। আর এখন কত বাজে সে দিকে খেয়াল আছে তোমার আম্মু,,,,, বিকাল ৫:৩০টা বাজে।
-- আচ্ছা বাবা আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ কর আমাকে। এখন যা ফ্রেশ হয়ে এসে খাবি কিছু।
-- হুম! ভাইয়া কোথায়??
-- তোর ভাইয়া তার রুমেই আছে।
ওকে আম্মাজান আমি গেলাম। বলেই সোজা আমার রুমে চলে গেলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে ভাইয়ার রুমে গেলাম। গিয়ে,,,,,,,,
আমি-- কি করছিস ভাইয়া।
ভাইয়া-- আরে আজিজ তুই? তুই কখন আসলি আয় এদিকে আয় বস এখানে।
-- হুম! ভাইয়া শুনলাম কাল নাকি তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবে।
-- হা,,,, সেই জন্যই তো তোকে নিয়ে আসলাম।
-- কিন্তু তুই নাকি একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করিস। তাহলে তার কি হবে?
-- আরে বোকা তার আবার কি হবে। ওর সাথেই তো বিয়েটা ঠিক হলো। আমার পছন্দের মানুষের সাথে☺
( ভাইয়া তোর সাথে তো তোর ভালোবাসার মানুষ টার বিয়ে হচ্ছে। কিন্তু আমার যে কি হবে আল্লাহ ভালো জানে,,, মনে মনে)
কিরে এত কি ভাবিস?
আমি-- কোই কিছু না তো।
-- হুম তা তোর জান্নাতুল এর কি খবর? এখনো কি তোরে ঝাড়ির উপর রাখে নাকি।
-- ধুর তুই যে কি বলিস না ভাইয়া।
-- মেয়েটা কিন্তু খুব ভালো।
-- হয় তোরে কইছে মেয়ে টা ভালো। তুই কি ওরে দেখছিস নাকি।
-- দেখি নাই তবে কথাতো বলছি।
-- তুই থাক তোর কথা নিয়ে আমি গেলাম এখন ঘুমাবো আবার ডাকতে যাসনে যেনো। কাল কখন যাবি ভাবিকে দেখতে তাই বল।
-- সকাল ১০টার দিকে।
ওকে বায়। বলেই আমার রুমে চলে আসলাম। সারা দিন অনেক ধকল গেছে এখন একটু ঘুমাই।
হঠাৎ করেই ঘুমটা ভেঙে গেলো,, টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখি জান্নাত। জান্নাত সাজগোছ করতেছে। আমি তো দেখেই অবাক। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক,, চুল গুলো খোপা করা,, পরনে একটা কালো সারি। আমি দেখে যেনো মুগ্ধ হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার তাকিয়ে থাকা দেখে জান্নাত বল্লো।
জান্নাত-- কি দেখো অমন করে?
আমি-- তোমাকে,,,,,, তোমাকে একদম পরীর মতো লাগছে।
-- যাহ দুষ্টু ওই ভাবে কেউ বলে। আমার বুঝি লজ্জা করে না।
-- আমার কাছে আবার কিাের লজ্জা সোনা। আসো কাছে আসো আজ তোমার সব লিপস্টিক খাবো। (বলেই হাত ধরে একটানে বুকে নিয়ে আসলাম)
-- এই এই কি করো।
দেখো কি করি। বলেই জান্নাতের ঠোঁটে আমার ঠোঁট চোখ বুজে ডুবিয়ে দিলাম।
কিছুক্ষণ পর
-- একি জান্নাত তোমার ঠোঁট বালু বালু লাগে কেনো,,,,? কি হলো কথা বলোনা কেনো। জান্নাত তোমার লিপস্টিক পানি পানি লাগে কেনো। (চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি জান্নাত নেই😭 আর আমার সামনে রইছে দেয়াল। আর ওটা লিপস্টিক না আমার ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে😢 রক্ত দেখে দিলাম এক চিল্লানি,,, এক চিল্লানিতে পুরো বাড়ি আমার রুমের মধ্যে)
ভাইয়া-- কিরে কি হইছে এত জোরে চিল্লাস কেন। একি তো ঠোঁট কাটলো কেমনে?
আম্মু -- হুম কিরে এতখানি কাটলো কি ভাবে।
আব্বু-- সত্যি করে বলতো কি ভাবে কাটলি। খাটে থেকে পরে টরে গেছিলি নাকি।
(একন এদের আমি কি বলবো যদি বলি সপ্নের মধ্যে জান্নাত কে চুমু দিতে গিয়ে দেয়ালের সাথে ঠোঁট ঘসেছি তাহলে তো মান ইজ্জত সব যাবে😭)
আমি-- আসলে ভাইয়া আম্মু আব্বু আমি খাটে থেকে পরে গেছিলাম। তোমরা তো জানোই আমার ঘুমের মধ্যে এপাশ ওপাশ করার সভাব আছে।
-- সাবধানে ঘুমাতে পারিস না।,,,,, সবাই বিভিন্ন রকম এর কথা বলে চলে গেলো। উফফ বাঁচলাম কি একটা কান্ড হয়ে গেলো বলুনতো। এই জান্নাত কি ঠিক মতো ঘুমাইতেও দেবে না। সপ্নের মধ্যে কত সুন্দর একটা ব্যবহার করলো কিন্তু সামনা সামনি,,,, ওরে বাবা একদম পেতনি। জান্নাত সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করে শুধু আমার বেলায় এমনটা করে কেনো বুঝিনা। হয়তো ভালোবাসার মানুষ টার প্রতি একটু বেশিই অধিকার খাটাতে চায় তাই আমার সাথে এমন করে।
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি খেয়ালই নাই। ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পরে খাওয়া করে রেডি হয়ে ভাইয়ার জন্য মেয়ে দেখতে চলে আসলাম।
তারপর যা দেখলাম মটেও তা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কারন তা হলো,,,,,,,,,,,,
(চলবে.........)
0
4