‘মানুষই আসল, যন্ত্র নয়, সৃষ্টির অর্থ থাকতে হবে’

1 15
Avatar for King74
Written by
3 years ago

মিগুয়েল বেনাসায়াগের সাক্ষাতকার: কিন্তু কোনো মানুষ কি রোবটের সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে? পারবে না, কারণ ভালোবাসা ও বন্ধুত্বকে স্রেফ মস্তিস্কের স্নায়বিক হিসাবনিকাশে পরিণত করা সম্ভব নয়। প্রেম ও বন্ধুত্বের স্থান যেকোনো ব্যক্তির—এমনকি দুজন মানুষের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ারও ঊর্ধ্বে। দুজন মানুষ যখন কথা বলে, দুজনেই তখন ‘ভাষা’ ব্যবহার করে। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, চিন্তার বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটে—এই প্রতীকী প্রক্রিয়াগুলোতে অংশ নেয় সব মানুষ।

মিগেল বেনাসায়াগ

মিগুয়েল বেনাসায়াগ আর্জেন্টাইন দার্শনিক ও সাইকোঅ্যানালিস্ট। হুয়ান পেরোনের শাসনের বিরুদ্ধে চে গুয়েভারার প্রতিরোধ বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। বহুদিন কারাবন্দি থাকার পর ১৯৭৮ সালে তিনি আর্জেন্টিনা থেকে পালান। বেনাসায়াগ এখন প্যারিসে থাকেন। তার প্রকাশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে 'Cerveau augmenté, homme diminué' এবং 'La singularité du vivan.' 

কোন জিনিসটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) থেকে মানব বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা করে?

মানব বুদ্ধিমত্তা কোনো গণনাযন্ত্র নয়। এটি এমন এক প্রক্রিয়া যা আবেগ, বাস্তবতা এবং দোষত্রুটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং মানব ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। অন্যান্য দৈহিক ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত প্রক্রিয়া থেকে মানব বুদ্ধিমত্তাকে আলাদাভাবে বোঝা সম্ভব নয়।

মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী চিন্তা করে তাদের দেহাভ্যন্তরীণ মস্তিষ্কের সাহায্যে। অন্যদিকে একটি যন্ত্র নানান হিসাবনিকাশ করে ভবিষ্যদ্বাণী করে। এই ভবিষ্যদ্বাণীকে সে কোনো অর্থ দিতে পারে না।

একটা যন্ত্র মানুষের জায়গা নিতে পারে কি না, এই প্রশ্নটি আসলে অবান্তর ও অযৌক্তিক। যেকোনো জিনিসকে তাৎপর্য ও অর্থ প্রদান করে জীবেরা, কোনো গণনাযন্ত্র নয়। অনেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষকেরই বিশ্বাস, মানব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যকার পার্থক্যটা পরিমাণগত। 

কিন্তু কোনো মানুষ কি রোবটের সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে? পারবে না, কারণ ভালোবাসা ও বন্ধুত্বকে স্রেফ মস্তিস্কের স্নায়বিক হিসাবনিকাশে পরিণত করা সম্ভব নয়। প্রেম ও বন্ধুত্বের স্থান যেকোনো ব্যক্তির—এমনকি দুজন মানুষের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ারও ঊর্ধ্বে। দুজন মানুষ যখন কথা বলে, দুজনেই তখন 'ভাষা' ব্যবহার করে। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, চিন্তার বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটে—এই প্রতীকী প্রক্রিয়াগুলোতে অংশ নেয় সব মানুষ। কোনো মানুষই স্রেফ নিজের জন্য চিন্তা করে না। চিন্তায় অংশ নেবার জন্য একটি মস্তিষ্ক তার নিজস্ব শক্তি ব্যবহার করে।

কোড বাইনারির পাতা

যারা বিশ্বাস করে যন্ত্র চিন্তা করতে পারে, তাদের প্রতি: কোনো যন্ত্র চিন্তা করতে পারলে এরচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার আর হবে না, কেননা মানবমস্তিষ্কেরও চিন্তা করার ক্ষমতা নেই।

যন্ত্রের চিন্তাক্ষমতা আছে—এর চেয়ে অর্থহীন ও অযৌক্তিক বিশ্বাস আর হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে প্রতিবার যখন দুটো যন্ত্র চালু করা হয়, তারা তখন পদ্ধতিগতভাবে বারবার একই তথ্য বিনিময় করে। এবং এই তথ্য বিনিময় কোনো ভাষা নয়, এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায় না। 

কেউ কেউ যখন বলে তারা একটি 'রোবটের' বন্ধু, ব্যাপারটা তখন অনেকটাই এরকম দাঁড়ায়। কিছু স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের সাথেও 'চ্যাট' করা যায়। তার মানে এই নয় যে অ্যাপগুলোর চিন্তা করার ক্ষমতা আছে। স্পাইক জোঞ্জের সিনেমা 'হার'-এ দেখা যায় একটা লোককে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে তার মস্তিষ্কের নকশা আঁকা হয়। তারপর একটি মেশিন একটা কণ্ঠস্বরকে সংশ্লেষ করে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যে লোকটার মধ্যে প্রেমে পড়ার অনুভূতি সৃষ্টি হয়।

তবে আসলেই কি কোনো রোবটের সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব? না, কারণ ভালোবাসা ও বন্ধুত্বকে স্রেফ মস্তিস্কের স্নায়বিক হিসাবনিকাশে পরিণত করা সম্ভব নয়। প্রেম ও বন্ধুত্বের স্থান যেকোনো ব্যক্তি—এমনকি দুজন মানুষের মধ্যকার সম্পর্কেরও অনেক ঊর্ধ্বে। 

যন্ত্র চিন্তা করতে পারে—এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কোনো যন্ত্র চিন্তা করতে পারলে এরচেয়ে আশ্চর্য ঘটনা আর হবে না, কারণ খোদ মানবমস্তিষ্কও চিন্তা করে না।

মানব বুদ্ধিমত্তা কোনো গণনাযন্ত্র নয়। এটি এমন এক প্রক্রিয়া যা আবেগ, বাস্তবতা এবং দোষত্রুটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।

জীবন্ত সত্তাকে কোডে পরিণত করে ফেলাই কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মূল ব্যর্থতা?

প্রকৃতপক্ষে নিজেদের প্রযুক্তিগত অর্জনে কিছু এআই বিশেষজ্ঞের চোখ এমনই ঝলসে গেছে যে তারা বৃহত্তর ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন না। ছোট বাচ্চারা যেমন নিজেদের বানানো গেমের প্রতি অন্ধ মুগ্ধতা কাটাতে পারে না, ব্যাপারটা অনেকটাই ওরকম। অতি সরলীকরণের ফাঁদে পড়ে গেছেন তারা।

১৯৫০ সালে আমেরিকান গণিতবিদ ও সাইবারনেটিকসের জনক নরবার্ট উইনার তাঁর বই 'দ্য হিউম্যান ইউজ অফ হিউম্যান বিয়িংস'-এ লিখেছিলেন, একদিন আমরা হয়তো 'একজন মানুষকে টেলিগ্রাফ করতে পারব।' চার দশক পর, 'মাইন্ড আপলোডিং'-এর ট্রান্সহিউম্যানিস্ট ধারণাটি এই কল্পনার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে তোলা হয়েছে। এ ধারণা অনুসারে গোটা বাস্তব বিশ্বকে তথ্যের এককে হ্রাস করে এক হার্ডওয়্যার থেকে আরেক হার্ডওয়্যারে পাঠানো যায়।

জীবিত প্রাণীকে তথ্যের এককে পরিণত করা সম্ভব—এই ধারণাটি ফরাসি জীববিজ্ঞানী পিয়েরে-হেনরি গুইয়নের কাজেও দেখা যায়। তার সাথে আমি যৌথভাবে 'Fabriquer le vivant?' ('ম্যানুফ্যাকচারিং দ্য লিভিং?') (২০১২) বইটি লিখেছি। গুইয়ন ডিএনএ-কে কোড স্থানান্তরের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেন।

কিন্তু যেকোনো জীবকে তথ্যের এককে পরিণত করার কথা ভাবতে গিয়ে আমরা ভুলে যাই যে তথ্য ইউনিটগুলোর যোগফল কোনো জীবন্ত জিনিস নয়। এবং কোন কোন জিনিসকে তথ্যের এককে পরিণত করা যায় না, সে ব্যাপারে গবেষণা করার আগ্রহও নেই কারো।

যেগুলোকে তথ্যের এককে পরিণত করা যায় না সেসবকে বিবেচনায় নিলেই আমরা ঈশ্বর, কিংবা অজ্ঞেয়বাদের ধারণার দিকে পরিচালিত হই না। অনুমান ও অনিশ্চয়তার নীতি খাঁটি বিজ্ঞানেও পাওয়া যায়। এ কারণেই সমগ্র জ্ঞানের জন্য ট্রান্সহিউম্যানিস্টদের যে আকাঙ্ক্ষা তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, টেকনোফাইল আলোচনার অংশ। ট্রান্সহিউম্যানিস্টরা সমস্ত অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত এক জীবনের স্বপ্ন দেখে। তবু দৈনন্দিন জীবনে, এমনকি গবেষণায়ও অনিশ্চয়তা এবং বিশৃঙ্খলা নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

মিগেল বেনাসায়াগ

ট্রান্সহিউম্যানিস্ট তত্ত্ব অনুসারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে আমরা একদিন অমর হয়ে উঠব?

আমাদের বর্তমান উত্তরাধুনিক টালমাটাল পৃথিবীতে—যেখানে আমরা আর সম্পর্ক নিয়ে ভাবি না, যেখানে সরলীকরণ ও আত্মকেন্দ্রিকতার রাজত্ব চলছে—প্লেটোর গুহার জায়গা নিয়েছে ট্রান্সহিউম্যানিস্ট প্রতিশ্রুতি।

গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে বাস্তব জীবনকে কায়িক বিশ্বে নয়, চিন্তার জগতে খুঁজে পাওয়া যায়। ট্রান্সহিউম্যানিস্টদের মতে চব্বিশ শতাব্দী পর শরীরী জগতে আর বাস্তব জীবন খুঁজে পাওয়া যাবে না, সে জীবনের অস্তিত্ব থাকবে কেবল অ্যালগরিদমে। তাদের কাছে দেহ স্রেফ একটা অট্টালিকার প্রবেশফটক—যেখান থেকে কেবল দরকারি তথ্য নেওয়া উচিত। তারপর দেহের প্রাকৃতিক ত্রুটি থেকে মুক্তি পেতে হবে। এভাবেই তারা অমরত্ব অর্জন করবেন বলে স্থির করেছেন।

বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে, সিঙ্গুলারিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সদস্যের সাথে দেখা করার সুযোগ হয়েছে আমার। অসংখ্য পদক জিতেছেন তারা। তাদের ইচ্ছে মৃত্যুর পর তাদের মাথা যেন অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় রাসায়নিকের সাহায্যে সংরক্ষণ করা হয়।

আমি একে রক্ষণশীলতার নতুন ধরনের উত্থান হিসেবে দেখি। যদিও আমি নিজেই একজন বায়োকানজারভেটিভ, কারণ আমি ট্রান্সহিউম্যানিস্ট দর্শনের বিরোধী। তবে আমার সমালোচকরা যখন আমাকে প্রতিক্রিয়াশীল বলছেন, তারা রাজনীতিবিদের মতোই যুক্তি ব্যবহার করছেন—যারা দেশের সামাজিক অধিকার নষ্ট করে দেশটিকে আধুনিকায়ন বা সংস্কারের দাবি করেন। আর যারা নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে চান, তাদেরকে গালি দেন রক্ষণশীল বলে।

মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী চিন্তা করে তাদের দেহাভ্যন্তরীণ মস্তিষ্কের সাহায্যে। অন্যদিকে একটি যন্ত্র নানান হিসাবনিকাশ করে ভবিষ্যদ্বাণী করে। এই ভবিষ্যদ্বাণীকে সে কোনো অর্থ দিতে পারে না।

মানুষ ও যন্ত্রের সংকরায়ন তো এখন চাক্ষুষ বাস্তবতা। এটাও তো ট্রান্সহিউম্যানিস্ট ধারণাই।

আমরা এখনও জীবকুল এবং সংকরায়নই ঠিকমতো বুঝতে শুরু করিনি, কারণ জৈব প্রযুক্তি আজও জীবনের প্রায় সমস্ত অংশ বাদ দিয়ে দেয়।

বহু যন্ত্র আছে যেগুলোর সাহায্যে আমরা কাজ করি, যেগুলো দিয়ে আমরা কাজ করাই। কিন্তু এই যন্ত্রগুলোর সবই কি দরকারি? এটাই আসল প্রশ্ন। আমি ককলিয়ার ইমপ্লান্ট এবং বধিরদের সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেছি। লক্ষ লক্ষ বধির লোক দাবি করেন তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তাদের এই দাবির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হয় না। তারা ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করতে রাজি না, কেননা তারা সাংকেতিক ভাষায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বধিরদের সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া এই উদ্ভাবনই কি উন্নতি? এ প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি।

সর্বোপরি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সংকরায়ন যেন জীবনের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে করা হয়। যাহোক, আজ আমরা যন্ত্রের দ্বারা যে সংকরায়ন দেখছি তার মাত্রা মানুষ উপনিবেশ বিস্তার করে যে সংকরায়ন ঘটিয়েছে তার চাইতে বেশি নয়। স্মৃতিগুলোকে মূর্ত আকার দেওয়া হয় বলে অনেকেই কিছুই মনে রাখে না। তাদের এই বিস্মরণের কারণ স্মৃতিভ্রমজনিত কোনো রোগ নয়।

নর্তকী ও রোবট নৃত্যনাট্য রোবট (২০১৩) , রচয়িতা স্প্যানিশ-ফ্রেঞ্চ কোরিয়োগ্রাফার ব্লাঙ্কা লি। মানুষ ও যন্ত্র অধ্যুাষিত আমাদের পৃথিবীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন

কোন জিনিসটা নিয়ে আপনি সবচেয়ে উদ্বিগ্ন?

উদ্ভাবনের যুক্তির মাত্রাতিরিক্ত সাফল্য নিয়ে আমি সবচেয়ে উদ্বিগ্ন। উন্নতির ধারণাটি ভুল পথে চলছে। এর জায়গা নিয়েছে নতুনত্বের ধারণা। অথচ এই ব্যাপারটি একেবারেই আলাদা। এর যেমন কোনো প্রারম্ভিক বিন্দু নেই, তেমনি নেই কোনো শেষ বিন্দুও। এটি ভালও নয়, খারাপও নয়। তাই একে প্রশ্নের মুখে ফেলা উচিত। ১৯৭০-এর দশকে আমি যে অলিভেত্তি টাইপরাইটার ব্যবহার করতাম তার চেয়ে কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসর অনেক বেশি শক্তিশালী। আমার কাছে এটি অগ্রগতি। কিন্তু প্রতিটি স্মার্টফোনে ডজন ডজন অ্যাপ্লিকেশন থাকে। এগুলো সত্যিকার অর্থে কতটা প্রয়োজনীয়, সেই প্রশ্ন খুব কম মানুষই করে। নিত্যনতুন বিনোদন এবং প্রযুক্তির মোহ থেকে নিজেকে রাখার মধ্যেই প্রকৃত প্রজ্ঞা নিহিত।

এছাড়াও একটা দিশেহারা সমাজে ট্রান্সহিউম্যানিস্ট আলোচনাটি খুব বিরক্তিকর। এটি মানুষকে শিশুর মতো করে ফেলে, এবং এর ফলে মানুষ প্রযুক্তির প্রভাবকে বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়। পশ্চিমা দুনিয়ায় প্রযুক্তিকে সবসময়ই সীমা ছাড়ানোর অবলম্বন হিসেবে দেখা হয়েছে। সেই সতেরো শতকেই ফরাসি দার্শনিক রেনে দেকার্ত, যার কাছে শরীর ছিল স্রেফ একটি যন্ত্র, শরীর ছাড়া শুধু চিন্তার অস্তিত্ব কল্পনা করেছিলেন।

বিজ্ঞানের সাহায্যে নিজেদের শরীর ও সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে যাওয়া মানুষের আজন্মলালিত স্বপ্ন ও লোভ। ট্রান্সহিউম্যানিস্টদের বিশ্বাস, একদিন না একদিন এই লক্ষ্যে তারা পৌঁছবেই।

কিন্তু এমন একটি সর্বশক্তিমান, অশরীরী ও সমস্ত সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে যাওয়া মানুষের স্বপ্ন সমাজের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। আমার মনে হয় একে ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থানের মতোই ভয়ংকর বিপদ হিসেবে দেখা উচিত। এ দুটোকে আমি যুদ্ধে মৌলবাদের দুটো রূপ হিসেবে দেখি।

স্পাইক জোঞ্জের ‘হার’ ছবিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি যন্ত্রের প্রেমে পড়ছে

2
$ 0.00
Avatar for King74
Written by
3 years ago

Comments

You are right go boin😋😋😋😋😋

$ 0.00
3 years ago