যেই ছেলেটা দুবছর আগে ফোনে ছবি দেখিয়ে বলেছিল, "ভাই আমাদের জন্য দুয়া করবেন। ৫ বছরের রিলেশন।"
হঠৎ মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়। ছেলেটা ঘরের কোণে পড়ে থাকত। তিন বছর হতে চলেছে, মেয়েটা এখন এক বাচ্চার মা। সব ধাক্কা সামলে নিয়ে ছেলেটাও বিয়ে করে সংসার করছে।
.
ক্যাম্পাসেই এক বড় ভাই থাকতো। সবাইকে হতাশার গল্প শোনাত। সবসময় ভাবত তাকে দিয়ে কিছু হবেনা। গ্রাজুয়েশন শেষ করে পাগলের মত দুইটা বছর চাকরি খুঁজেছে। পায়নি। যেখানে ফ্রেন্ডসার্কেলের সবাই বড় বড় চাকরি করছে। নিত্যনতুন বাড়ি-গাড়ি করছে তখন তিনি ছাদে নিকোটিনের ধোয়া উড়াত। ফ্যামিলি, সমাজ এসবের চাপে পড়ে সবসময় মাথায় ঘুরত আত্মহত্যার কথা।
হঠাৎ কি হলো, সেই ভাইয়ের আর দেখা নেই। মেস ছেড়ে দিয়েছে।
দেখতে দেখতেই একবছর পার হয়ে গেল। হঠাৎ একদিন সেই ভাইকে ক্যাম্পাসে দেখে চমকে উঠেছিলাম। চোখগুলো সব গর্তে ঢুকে গেছে। গাল বসে গেছে। চা খেতে খেতে ভাইয়ের কাছ থেকে শুনলাম তার বিসিএসে তার পছন্দের ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার গল্প । একটা বিষয় খেয়াল করলাম। তিনি আর এখন হতাশার গল্প শোনান না।
.
জীবনে আজ যদি কোনো কিছু আপনার পথ আটকে দাড়ায় তাহলে এর সমাধান শুধু আপনার কাছেই আছে। আপনি যতক্ষণ না নিজের পরিবর্তন চাইছেন, ততক্ষণ আপনার পরিবর্তন সম্ভব না। কোনো বিপদে পড়লে দুশ্চিন্তা না করে কি ভাবে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা ভেবে বের করুন। একটা সময় যখন খুব সুন্দর একটা সমাধান ধরা দিবে তখন আপনি বুঝতে পারবেন জীবন আসলেই সুন্দর। অনেক বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করবে।
.
আপনার পোষ্টটি আমার খুব ভাল লেগেছে। আপনার পোষ্টে যে দুজন মানুষের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন তাতে অনেক কিছু শেখার আছে। যেটা আমর বাস্তব জীবনে অনেক কাজে দেবে।