ভারপুল বনাম এস্টন ভিলা ছোট একটা পয়েন্ট

2 20
Avatar for Khairul28
4 years ago

লিভারপুলের শক্তির জায়গা হচ্ছে তাদের দুই ফুল-ব্যাক এবং দুই উইংগার।

দুই ফুলব্যাক সারাক্ষণ একের পর এক ডি বক্সে পিন পয়েন্ট ক্রস করবে সেগুলো ফিরমিনো, মানে, ওয়াইনাল্ডাম এবং সুযোগ বুঝে ভ্যান ডাইক কাজে লাগাবে।

এছাড়াও ফুলব্যাক ২ জন লাইন ব্রেকিং পাস লং পাস দিয়ে সারাক্ষণ ডিফেন্সকে টর্চারের উপর রাখবে।

আর দুই উইংগারের কাজ ভালো পজিশনে থেকে ফুলব্যাকদের বাড়ানো ক্রস বা কি পাস কাজে লাগাবে বা নিজেরা কাট ইন করে ভিতরে ঢুকবে আর সময় মতো শট নিবে গোল করবে।

ফিরমিনো পুরো বিষয়টাকে পূর্ণতা দেয় সিবি ২ জনকে তার দিকে রেখে বাকি সবার জন্য স্পেস ক্রিয়েট করে।

লিভারপুলের মিডফিল্ডারদের কাজ হচ্ছে ডার্টি গেম খেলা মানে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিপক্ষকে ফাউল করা, হেভি ট্যাকল করে কিছুটা উইক করে দেওয়া, খুব তাড়াতাড়ি বল রিকভার করা এবং দুই ফুলব্যাকদের ডিফেন্সিভলি সলিডিটি দেওয়া।

তাই লিভারপুলের মিডফিল্ডে ক্রিয়েটিভ মিডি ছিলনা আগে। ঠিক এই গ্যাপটা পূর্ণ করতে থিয়াগোকে কিনে ক্লপ।

কারণ লিভারপুলের বিপক্ষে মিডফিল্ড কন্ট্রোল করলে যতটনা চাপে ফেলতে পারবেন তার চেয়ে ৫০ গুণ বেশি চাপে ফেলতে পারবেন যদি তাদের দুই ফুলব্যাককে নিষ্ক্রিয় করে দেন।

সো যদি কোনভাবে প্রতিপক্ষ দুই ফুলব্যাককে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং একই সাথে মিডফিল্ড ও কন্ট্রোলে নিয়ে নেয় তখন লিভারপুলের অবস্থা খুব খারাপ হবে।

ফুলব্যাকদের নিষ্ক্রিয় করলেও টেকনিক্যাল কোন মিডফিল্ড দিয়ে পুলের মিডফিল্ড প্রতিপক্ষ যাতে দখল করতে না পারে সে জন্য ক্লপ থিয়াগোকে সাইনিং করায় কারণ থিয়াগো বিশ্বের সেরা টেকনিক্যাল মিডিদের একজন এবং এমন সিচুয়েশনে সে একাই গেম কন্ট্রোল করতে পারে।

মজার ব্যাপার হলো কাল অ্যাস্টন ভিলা তাদের যা যা করা লাগে সব ভালোমতো করলো কিন্ত লিভারপুলের লাগতো থিয়াগো এবং সেই থিয়াগো ই ছিলনা।

আমি বলতেছিনা শুধু থিয়াগো ই এতবড় হিউমিলিয়েশন থেকে রক্ষা করতে পারতো বা শুধু থিয়াগো না থাকার কারণে ই হারছে। লিভারপুলের ডিফেন্ডিং হতে সবকিছু বাজে ছিল, সব। তবে থিয়াগো থাকলে বিষয়টা হয়তো কিছুটা ভিন্ন হলেও হতে পারতো।

নোটঃ আমি লিভারপুলের ফ্যান না। তাই এটা কোন অজুহাত না একটা অবজার্বেশন মাত্র।


2
$ 0.00
Avatar for Khairul28
4 years ago

Comments