মেসির পুরো সাক্ষাৎকার, আমি নিশ্চিত মাঝের কিছু কথাতে অনেকের বুক ফেটে যাবে কষ্টে।
মেসি,
আমি যখন আমার পরিবার কে জানালাম আমি বার্সা ছাড়তে চাই তখন এক নাটকীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো।
পুরো পরিবারের সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো কারণ আমার বাচ্চারা কেউ স্কুল এবং বন্ধুদের ছেড়ে যেতে চাচ্ছিলোনা।
কিন্তু আমি সবসময় প্রতিযোগিতা করতে চেয়েছি সর্বোচ্চ লেভেলে। তুমি হয়তো কখনো জিতবে কখনো বা হেরে যাবে কিন্তু তোমাকে সবসময় জেতার চেষ্টা করতে হবে। আমি এটাই করতে চেয়েছি।
রোমা,লিভারপুল আর লিসবনের ডিজাস্টারের পর আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
আমি সবসময় জানতাম সিজন শেষে আমি ফ্রি হয়ে যাবো এবং প্রেসিডেন্ট ও সবসময় বলে এসেছে সিজন শেষে আমি যেকোন জায়গায় যেতে এবং যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
অথচ ওরা এখন দাবি করছে আমি জুনের ১০ তারিখের আগে কিছু জানাইনি কেন। অথচ ওইসময় টাতে আমরা লীগ এবং সব প্রতিযোগিতার মাঝপথে ছিলাম। এবং করোনা ভাইরাসের কারণে লীগ ও পিছিয়ে গিয়েছিলো।
তাই এখন আমি বাধ্য হয়ে ক্লাবের হয়ে খেলবো এই সিজন। না হয় আমাকে ক্লাব ছাড়তে ৭০০ মিলিয়ন বাই আউট ক্লজ পে করতে হবে যেটা একেবারেই অসম্ভব বিষয়।
হ্যা আরেকটা উপায় আছে সেটা হলো কোর্টে গিয়ে মামলা করা কিন্তু আমি সেদিকে একেবারেই যাবোনা কারণ আমি বার্সা কে ভালোবাসি। আমি কখনোই বার্সার বিপক্ষে মামলা তে যেতে চাইনা। এই ক্লাব আমাকে সবকিছু দিয়েছে যখন থেকে আমি এখানে এসেছি।
বার্সা আমার জীবনের মতোই প্রিয় এবং এখানেই আমি আমাকে খুঁজে পেয়েছি।
বার্সা আমাকে সবকিছু দিয়েছে আমিও বার্সাকে সবকিছু দিয়েছি তাই আমার ক্লাবের বিপক্ষে আমার কোর্টে যাওয়ার চিন্তা কখনোই আসেনাই।
মাতেও এখনো ছোট তাই তেমন কিছুই বুঝতে পারছেনা কিন্তু থিয়াগো টিভি এবং আশেপাশের অনেক কিছুই দেখছে। সে আমাকে অনেকবার বলেছে, "যেওনা বাবা"। সত্যি বলতে এটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টের ছিলো।
বার্সাকে আমি ভালোবাসি এবং আমি জানি এরচেয়ে ভালো জায়গা আমি আর কোথাও পাবোনা কিন্তু তারপরেও যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। আমি নতুন কিছু অর্জন করতে চেয়েছি।
আমার বাচ্চারা এখানে বড় হয়েছে আমার পরিবার এখানেই অভ্যস্ত হয়েছে কিন্তু তারপরেও আমি বলবো ক্লাব ছাড়তে চাওয়া দোষের কিছুনা। আমার এটা দরকার ছিলো ক্লাবের দরকার ছিলো এবং উভয়পক্ষ এটাতে উপকৃত হতো।
আর হ্যাঁ আমার স্ত্রী কে ধন্যবাদ কারণ সে সকল কষ্ট বুকে চেপে রেখেও আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে পুরো সময়।