একটু চিন্তা করুন তো দেখি ! একটি রক ব্যান্ডের মাঝে যদি একজন Violinist যোগ করা হয় তাহলে কেমন হবে বিষয়টি ? মাইকের সামনে কেমন হবে তা আমি জানিনা, তবে ফুটবলের rectangular মাঠে যে বিষয়টি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয় তার নমুনা হচ্ছে ইয়ুর্গেন ক্লপের রক ব্যান্ড যেখানে সবেমাত্র যোগ হলেন বর্তমানের বিশ্বসেরা Violinist (arguably) THIAGO ALCANTARA.
আমি মনে করি এই মৌসুমের সবথেকে ইম্প্যাক্টফুল সাইন ছিল থিয়াগো আলকান্তারা কে মের্সিসাইডে নিয়ে আসা। কারণটি একটু বুঝিয়ে বলছি : ইউরোপিয়ান অনেক দলই, বিশেষ করে প্রিমিয়ার লীগের টপ ক্লাব গুলো চমৎকার চমৎকার কিছু সাইন করেছে কিন্তু প্রতিটি সাইনই ছিল তাদের পুর্ববর্তী টেকনিক্যাল প্রজেক্ট এর আপগ্রেড ; কিন্তু লিভারপুলের সাইনটি একদম ভিন্ন। এটি শুধু আপগ্রেডই ছিলোনা, সেই সাথে নতুন একটি টেকনিক্যাল প্রজেক্টের সূচনাও ছিল। থিয়াগো কে সাইন করার অর্থ হচ্ছে বিগত বছরগুলোতে লিভারপুল যেই স্টাইলে খেলে সাকসেসফুল হয়েছে সেই স্টাইল কেই পরিবর্তন করা। এই প্রস্পেক্টিভ থেকে চিন্তা করেই আমি থিয়াগোর সাইনটি কে এই মৌসুমের সেরা সাইন হিসেবে দেখছি।
ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুলকে আমরা সবসময় দেখেছি হাই প্রেসিং করে খেলতে। ক্লপের লিভারপুলের মূল ইনগ্রেডিয়েন্টস ছিল তিনটি : প্রেসিং, বল রিকোভার এবং সাথে সাথে ডাইরেক্ট অ্যাকশন। এই কাজটি করার জন্য তারা সবথেকে বেশি ব্যবহার করতো তাদের উইং সাইড গুলো। এক দিকে আলেক্সান্ডার আর্নল্ড - সালাহ অপরদিকে রবার্টসন - মানে। এই দুই উইং এর জন্য স্পেস ক্রিয়েট করতো ফিরমিনো ফলস নাইন হিসেবে নিচে নেমে খেলে। এই ডাইরেক্ট ফুটবলের কারণে মিডফিল্ডে ক্রিয়েটিভিটির কিছুটা কমতি হলেও সমস্যা ছিলোনা কারণ তাদের মূল কাজই ছিল প্রতিপক্ষ কে এগ্রেশন করা এবং ডিফেন্সকে সাহায্য করা। মিডফিল্ডের এই ক্রিয়েটিভ কমিটির কারণে রেডস রা প্রায় সময়ই তাদের খেলা শুরু করতো গোলকিপার এলিসন অথবা সেন্টার ব্যাক ভ্যান ডাইক দের দ্বারা।
এই ফুল সিস্টেম কে চালু রাখতে হলে লিভারপুলকে প্রতিটি ম্যাচের ফুল ৯০ মিনিটই হাই ইনটেনসিটি নিয়ে ফুটবল খেলতে হতো। এই গতির কিছুটা কমতি হলেই দল বিপর্যয়ে পড়ে যেত যেহেতু মিডফিল্ডে দলকে Rhythm দেয়ার মত কেউ ছিলোনা। এই Rhythm হচ্ছে লিভারপুলের নতুন ইনগ্রেডিয়েন্ট যেটি অ্যাড হবে পূর্বের তিনটি ইনগ্রেডিয়েন্টস এর সাথে। এই এ কারণেই থিয়াগোর আগমন।
গত মৌসুমেই লিভারপুলের খেলার মাঝে কিছুটা দুর্বলতা দেখা গিয়েছিলো বিশেষ করে ডিফেন্সিভ দলগুলোর বিপক্ষে যাদের ডিফেন্স ভাঙতে হলে যেই ধরণের ক্রিয়েটিভিটি মিডফিল্ডে প্রয়োজন ছিল তার কমতি ছিল এবং বিপক্ষ দলের পাল্টা প্রেসিং ফেস করার জন্য একজন বল ডিস্ট্রিবিউটর এর অভাব ছিল। এই অভাবগুলোর সমাধান হচ্ছে থিয়াগো। থিয়াগোর বল ডিস্ট্রিবিউশন কোয়ালিটি কোন পর্যায়ের তার নমুনা তো আমরা থিয়াগোর ডেব্যু ম্যাচেই দেখেছি : ডেব্যু ম্যাচেই রেকর্ড পরিমান বল পাস্ যা বলে দিচ্ছে থিয়াগোর কোয়ালিটি এবং এই দলে তার নতুন ভূমিকা ও এই দলের নতুন খেলার প্রজেক্ট। থিয়াগো লিভারপুলে এসেছে রেডস দের খেলায় rhythm দেয়ার জন্য এবং মিডফিল্ডের কোয়ালিটি বৃদ্ধি করার জন্য। তাছাড়া ফুল ৯০ মিনিট যখন খেলার ইনটেনসিটি একই গতিতে রাখা সম্ভব হবেনা তখন জরুরি হবে থিয়াগোর এই খেলা নিয়ন্ত্রণের যোগ্যতা।
লিভারপুল অলরেডি একটি well oiled টীম এবং এই টীমে এই quality addition হতে পারে দেখার মত একটি কম্বিনেশন