ফ্রান্সেস্ক টিটো ভিলানোভা

0 11
Avatar for Khairul28
4 years ago

জিরোনার বেলকেয়ার ডি এম্পোর্ডিয়ার জন্মগ্রহন করা ফ্রান্সেস্ক টিটো ভিলানোভা বার্সার আঙ্গিনায় প্রথম পা রাখেন ১৫ বছর বয়সে। আজীবন যে ফুটবল দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন, যে দর্শন লালন করে গেছেন জীবনের শেষ দিন অব্দি, তার হাতেখড়ি শুরু হয়েছিলো বার্সার আঁতুড়ঘর থেকেই। এখান থেকেই তার বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল জর্ডি রৌড়া, অরেলি আলতিমিরা এবং অবশ্যই যার কথা না বললেই নয়, সেই জোসেপ গার্দিওলার সাথে।

একাডেমিতেই ডাক নাম হয়ে গিয়েছিলো ‘এল মার্কোজ। একজন লম্বা, পাতলা গড়নের মিডফিল্ডার, ফ্রী কিক আর গেম রিডিং এর পটু টিটো ভিলানোভার ইচ্ছেও আর দশটা লামাসিয়ানের মতই খুবই ‘সাধারন’ ছিলো, একদিন বার্সার মুল দলের জার্সি গায়ে চাপানো। বছর দুয়েক অপেক্ষার পরও যখন দেখলেন তারকা খচিত সে সময়কার মধ্যমাঠে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন, তখন ভবিতব্য মেনে নিয়েই ক্লাব ছাড়লেন। খেলোয়াড়ী জীবনের বাকী সময়টা সেল্টা ভিগো, মায়োর্কার মত ক্লাবে খেলে অবসর নিয়েছেন ক্লাব গ্রামেনেট থেকে।

প্রিয় বন্ধু পেপ গার্দিওলার মত হয়ত একই রকমের ক্যারিয়ার সফলতা উপভোগ করতে পারেননি টিটো, কিন্তু তাদের মধ্যে খেলার ধরন ছাড়াও মিল রয়েছিলো আরো অনেক কিছুতেই। দুজনই ছিলেন একই ধরনের ট্যাকনিকাল প্লেয়ার, নির্দিষ্ট একটা ফুটবল দর্শনে দৃঢ় বিশ্বাসী, এবং হ্যাঁ, দুজনই ছিলেন অস্বাভাবিক রকমের পেটুক! গলা অব্দি খেতে পছন্দ করতেন দুজনই! এল পাইস কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারের এক বাক্য থেকেই স্পষ্ট হয় বার্সেলোনার দর্শনের প্রতি তার ধারনাটা কেমন ছিলো “আমরা অবশ্যই ভিন্ন। শুধু জয়ই আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। বার্সেলোনার ফুটবল সংস্কৃতির জন্যই আমাদের সবসময়ই নিজেদের দর্শনে বিশ্বাসী একটা চমৎকার যুবদল থাকতে হবে এবং আক্রমনাত্বক ফুটবলই হতে হবে আমাদের শেষ কথা। হ্যাঁ, খেলার মাঠে আমাদের অনেক বিচ্যুতিই ধরা পরতে পারে, কিন্তু অবশ্যই আমরা কখনোই কাপুরুষের মত খেলবোনা!”

বার্সার মুল দলে খেলার স্বপ্ন কখনো পূরণ না হলেও শৈশবের ক্লাবের প্রতি ভালোবাসার টান কখনোই বিন্দু মাত্র কমেনি। অবসরের কিছুদিনের মধ্যেই তাই সুযোগ পাওয়া মাত্রই লুফে নিলেন আবার বার্সার আঙ্গিনায় পা রাখার সুযোগ। আবার তার সেই আঁতুড়ঘর, যেখান থেকে জন্ম হয়েছিলো তার আজীবন লালিত ফুটবল দর্শনের। এবার দায়িত্ব ছিলো ভিন্ন, নিজের লালিত দর্শন শেখাতে হবে একাডেমির অনুর্দ্ধ ১৩ বয়সী বাচ্চাদেরকে। টিটো কতটা সফল হয়েছিলেন তা করতে? আচ্ছা এক লাইনেই উত্তর দেই তাহলে, তার সেই দলের কিছু খেলোয়াড়ের নাম হলো সেস ফ্যাব্রিগাস, জেরার্ড পিকে এবং লিওনেল আন্দ্রেস মেসি! তার উত্তরসুরির কাছে লিও ছিলেন ‘হোপলেস কিড’, বিগ স্টেজে যার সফলতা নিয়ে তারা সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু টিটোর কাছে মেসি তখনি ছিলেন ভবিষ্যৎ ফুটবল রাজ্যের রাজকুমার! কিন্তু বাচ্চাদের সাথে দারুন সম্পর্কের পরও আরেকবার তার স্বপ্নের ছন্দে ছেদ পরলো বছর খানেক পরই। চুক্তি নবায়ন না করে তাকে চলে যেতে দিল তৎকালীন বোর্ড।

হয়ত সেটাই শেষ হতে পারতো, কিন্তু স্বপ্নের ক্লাবের লালিত স্বপ্নকে হাত দিয়ে ছুয়ে দেখার সুযোগ দিতে ফুটবল বিধাতা যে আরো একটি অধ্যায় তার জন্য তখনো বাকী রেখেছেন, তাকি তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তখন? তার উত্তর আমাদেরও জানা নেই। শুধু জানি, সেই অধ্যায় শুরুর আগে কাতালুনিয়ারই বিভিন্ন ক্লাবে কোচিং করে ক্যারিয়ার পার করছিলেন ভিলানোভা।

বছর কেটে যায়। তারপর এক সকালে হঠাতই সেই মাহেন্দ্রক্ষন এসে দরজায় হাজির হল। প্রিয় বন্ধু পেপ এর ডাক,”বার্সার বি দলের দায়িত্ব নিতে বলছে আমায়, তোমাকে আমার বড্ড দরকার, আসবে নাকি?” এই ডাক আগ্রাহ্য করার সাধ্য কি টিটোর ছিলো? দুই বন্ধু মিলে দূর্দান্ত একটা সীজন পার করলেন বি দল নিয়ে। বছর শেষে দ্বিতীয় বিভাগে তুলে আনলেন দলকে।

সীজন শেষে বি দলের যখন এমন দূর্দান্ত অবস্থা, অন্যদিকে মুল দলে ঠিক তার বিপরীত অবস্থা। মাত্রই এক মৌসুম আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ যেতা মুল দল সেই সীজনে লীগ শেষ করলো টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ আর কোপা দেলরে থেকে বিদায় সেমিতেই। কোন মেজর ট্রফি ছাড়াই পরপর দুইটা সীজন কাটানোর কারনে স্বাভাবিক ভাবেই খড়গ নেমে এসেছিলো ফ্রাংক রাইকার্ডের উপর। কিন্তু শুধু কাউকে সরিয়ে দিলেই তো হবেনা, শুন্যস্থানে কাউকে আনতেও তো হবে? ওমন টালমাল অবস্থায় কে সামলাবে বার্সাকে? বাজারে অনেক হেভীওয়েট কোচ থাকলেও তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ভরসা রাখতে চাইলেন পেপ গার্দিওলার উপর। মুল দলের অফার পেয়ে পেপ গিয়েছিলেন প্রিয় বন্ধুর সাথে আরেকটা বার আলোচনা করতে, “তোমার কি মনে হয়, আমরা কি তৈরি?” টিটোর তৎক্ষণাৎ উত্তর “পেপ, তুমি বরাবরই এই দায়িত্বের জন্য তৈরি!”

তারপর এই দুজনের হাত ধরেই রচিত হয় ক্লাবের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সময়ের, একদিকে যেমন শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর ফুটবল, অন্যদিকে তেমনি সীজন শেষে ট্রফির ছড়াছড়ি। নিঃসন্দেহে ফুটবল ইতিহাসেরই শ্রেষ্ঠতম দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো দুজনের হাত ধরে!

ফুটবলের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া সেই সময়টার কথা যখন আপনি মনে করবেন, বার্সার মুখ হিসেবে আপনার চোখের সামনে প্রথমেই ভেসে উঠবে পেপ গার্দিওলার নাম, তারপর একে একে মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা এবং অন্যরা। কিন্তু ঠিক কত জনের পর টিটো ভিলানোভার নাম আপনার মনে পরতো? কিংবা যদি আদৌ কখনো বার্সার প্রধান কোচ না হতে পারতেন, আমিও কি এই লেখা লিখতাম আজ?

আজীবন লাইম লাইটের থেকে নিজেকে দূরে রাখা মানুষটাকে হয়তো আর দশটা এসিট্যান্টের মতই মনে হবে আপনার কাছে, যার কাচ কোচকে সহায়তা করা, কোচ এবং প্লেয়ারদের মধ্যে মেসেজ কনভেয়ার হিসেবে কাজ করা। কিন্তু গার্দিওলার প্রিয় বন্ধু কখোনই শুধুই একজন সাধারন এসিট্যান্ট ছিলেন না। ইউগো ডি পজেশন, বার্সেলোনার খেলার স্টাইল শুধু একজন পেপ গার্দিওলার হাত ধরে তৈরি হয়নি। বরংচ একটা সিস্টেমের হাত ধরে তৈরি হয়েছিলো। যে সিস্টেমের একটা পার্ট ছিলেন গার্দিওলা স্বয়ং, আর আরেকটা অংশ ভিলানোভা। আমার কথা বিশ্বাস হয়না? গার্দিওলার কথা বিশ্বাস করবেন? তাহলে শুনি কি বলেছিলেন পেপ স্বয়ং; “I was just the voice of the ideas that Tito and I developed together!”

গার্দিওলার মত ক্যারিশমাটিক চরিত্রের অধিকারী ছিলেন না টিটো। কিংবা গার্দিওলার মত কোন উচু স্বরের ব্যক্তিত্বও ছিলেন না। লাইম লাইট নিজের দিকে টেনে নেওয়ার চেয়েও নিজের কাজ শেষ করার প্রতি বেশী মনযোগ ছিলো টিটোর। ড্রেসিং রুমে যখন দল কোন জয় উদযাপন করছে, টিটো তখন ঠিক তার পরের ম্যাচের ট্যাকটিক্স নিয়ে ভাবছে। নতুন পরিকল্পনা, নতুন চিন্তা সবসময়ই মাথায় ঘুরঘুর করতে থাকতো। দলের সাইনিং এর প্লানিং এর ক্ষেত্রেও গার্দিওলার প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন টিটো। টিটোর পরামর্শেই সে সময় ডেভিড ভিয়া এবং ফ্যাব্রিগাসকে সাইনিং করায় বার্সা। খেলার শেষ মুহুর্তে ফলাফল বদলে দেওয়া কোন মুভমেন্টের ক্ষেত্রেও সিদ্ধ্বহস্ত ছিলেন টিটো।

সব রোমাঞ্চকর গল্পেরই একটা শেষ থাকে। পেপ-টিটো মিলে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, হঠাত করেই তার যবনিকা টানলেন একদিন পেপ। তার কারন যাই হোক, তা আজকের আলোচ্য যেহেতু নয়, তাই বাদ দিচ্ছি। বিদায় বেলায় ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সামনে পেপ বলেছিলেন, “যোগ্য হাতেই দিয়ে যাচ্ছি দলের দায়িত্ব।“

পেপ থেকে টিটোর ট্রানজিশন স্মুথ ছিলো, সেটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু টিটো যে একদম মুখস্থ পেপ এর স্টাইল ফলো করে গেছে সেটা বলার উপায় নেই। মূল বেসিক ঠিক রেখে আক্রমনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন টিটো। ফাইনাল থার্ডে অহেতুক পাসের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিলেন, মিডফিল্ডাররা স্পেস পাওয়া মাত্রই তা নষ্ট না করে ডিরেক্ট থ্রউ পাস দিতে শুরু করলো। বার্সার লিগ্যাসি ধরে রেখে সীজন শেষ করলো রেকর্ড ১০০ পয়েন্টে লীগ জিতে। বার্সার ডমিনেন্স কত যুগ চলবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। ফুটবল সুন্দর থেকে আরো সুন্দর হচ্ছিলো। জীবন যেন নিপুন হাতে সাজানো বাগিচা হয়ে উঠছিলো ধীরে ধীরে। সমর্থক থেকে খেলোয়াড়, জীবনে এর চেয়ে নিখুঁত সময় যেন কারো জন্যই কখনো আসেনি! কিন্তু হায়, কে ভেবেছিলো, কোন সুন্দরই দীর্ঘস্থায়ী নয়?!

প্রধান কোচ হিসেবে টিটোর প্রথম ম্যাচ, গ্যাম্পার ট্রফির সেই ম্যাচটা আরো বড় উপলক্ষ্য হয়ে এসেছিলো ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে আবিদালের ফেরার মধ্য দিয়ে। মাইক্রোফোন হাতে আবিদালের উদ্দেশ্যে টিটোর কথাগুলো সম্ভবত আজও কানে বাজছে সেদিনের শ্রোতাদের; “তোমাকে ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তোমার লড়াই আমাদের সবসময় লড়াইয়ের অনুপ্রেরনা জোগাবে, শক্তি জোগাবে। যতক্ষন তোমার তীব্র ইচ্ছা শক্তি রয়েছে, নিজের প্রতি তোমার বিশ্বাস রয়েছে, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করবো, তার জন্য যত সময়ই লাগুকনা কেন!”

আবিদালকে বলা টিটোর কথা গুলো শুধুর ফর্মাল কোন ওয়েলকাম ব্যাক স্পিচ ধরে নিলে ভুল হবে। টিটো জানতেন আবিদাল কিসের সাথে লড়াই করে এসেছেন। তার কিছু মাস আগেই, গার্দিওলা থাকাকালিন সময়তেই টিটোর গলার ক্যান্সার ধরা পরেছিলো। তার ঠিক ১৮ দিন পরই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন টিটো। কি দূর্দান্ত প্যাশন থাকলে এটা করা সম্ভব কারো পক্ষে? কিন্তু ফুটবলের প্রতি এই মারাত্মক টানই কি নিজের প্রতি অবহেলার কারন হয়ে উঠেছিলো? সেই সীজনের মে মাসেই বার্সেলোনা থেকে টিটোর সম্পুর্ন আরোগ্য ঘোষনা করা হল। ব্লাউগ্রানার ব্যাটন সপে দেওয়া হল তার হাতে।

দূর্দান্ত এক সীজন শুরু হয়েছিল। প্রথম ১৫ ম্যাচের ১৪টিতেই জয়। ১৫ তম গেইম উইকে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতিহাসের সেরা শুরু করেছিলাম আমরা। ডিসেম্বর আসলো। আবিদালের সম্পুর্ন আরোগ্য ঘোষনা করে ম্যাচ খেলার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হল। আমরা কিউলসরা যেন ছন্দবদ্ধ এক স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে ছিলাম। তারপর হঠাতই সেই ছন্দপতন! স্বর্গের জলশায় যেন ইন্দ্রের বজ্রনীনাদ! যেদিন আবিদালের ক্লিয়ারেন্স এলো, সেদিনই ঘোষনা এলো ক্যান্সার ফিরে এসেছে বার্সা বসের শরীরে! মেডিক্যাল টিমের পরামর্শ মতে দলের দায়িত্ব জর্ডি রৌড়ার হাতে দিয়ে সাময়িক ছুটিতে যান টিটো। মার্চে যখন ফিরে আসেন, দল তখন লীগ শিরোপা হাতে জয় উদযাপন করছে। তারপর সেই সামারেই মেডিক্যাল টিমের পরামর্শ মতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বার্সার দায়িত্ব ছেড়ে দেন টিটো ভিলানোভা।

আজীবন মিডিয়ার ফোকাসের বাইরে থাকতে চাওয়া মানুষটা এরপর হঠাত করেই যেন একদমই হারিয়ে গিয়েছিলেন সবার কাছ থেকে। কদাচিৎ তাকে বার্সা বি দলের হয়ে খেলা তার ছেলে আদিরার খেলা দেখতে গ্যালারিতে দেখা যেত। বাকী সমস্ত কিছু থেকে যেন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন যত্ন করে। ২০১৪ সালের ৮ই জানুয়ারি হেতাফের বিরুদ্ধে কোপা দেল রের ম্যাচে সর্বশেষ নিজের ভালোবাসার ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারিতে দেখা যায় ভিলানোভাকে। জনসম্মুখে সেটাই ছিলো তার শেষ আসা। এরপর হঠাতই শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়। সেই বছরেরই এপ্রিলে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে পরিবার, পরিজন, প্রিয়জন, খেলোয়াড়, অগনিত সমর্থকে কাদিয়ে চির বিদায় জানান ভিলানোভা।

১৯৬৮ সালের আজকের দিনেই জন্মগ্রহন করেছিলেন ক্ষনজন্মা এই মাষ্টারমাইন্ড। শুভ জন্মদিন ফ্রান্সেস্ক টিটো ভিলানোভা!

আপনার মৃত্যুর পর আপনার আজীবন বন্ধু গার্দিওলা বলেছিলেন "The sadness I feel will accompany me for the rest of my life. We were young, we wanted to beat the world, and we did." হ্যাঁ টিটো, আপনারা পেরেছিলেন, আপনি পেরেছিলেন। আজ আপনার প্রয়ানের এত বছর পরও তাই এখনো পৃথিবী আপনার স্মৃতি রোমন্থন করে। আপনি সর্বদা বেঁচে থাকবেন সুন্দর ফুটবলের সমর্থক প্রতিটা মানুষের মনেই।

Tito, per sempre etern" ("Tito, forever eternal")

4
$ 0.00
Avatar for Khairul28
4 years ago

Comments