মাশরাফি বিন মতুর্জা একটি গর্জনের নাম। যার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারঁ সঠিক নেতৃত্বে ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বাঘা বাঘা দলকে হারিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে সুমি নামের গ্রামের একটি সহজ সরল মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করেন এই টাইগার কাপ্তান। আজ আওয়ার নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য মাশরাফি-সুমির ভালবাসার গল্পের সাথে শোনাব তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অজানা কিছু কথা।
প্রেম-ভালবাসা-বিয়ে:
৫ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে নড়াইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মাশরাফি বিন মূর্তজা। তাঁর ডাক নাম কৌশিক। নড়াইলের ছোট্ট শহরের পাশেই ছোটবেলা কেটেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার। একই গ্রামের মেয়ে সুমনা হক সুমির সঙ্গে তখন থেকেই প্রেমের সম্পর্ক মাশরাফির। এলাকার কারও অজানা ছিল না মাশরাফি ও সুমির প্রেমকাহিনী । সাদা মনের মাশরাফির প্রতিভার বিকাশ হতে সময় লাগেনি মোটেও। বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েই হলেন বড় তারকা। গ্রামের মানুষের মধ্যে তখন সন্দেহ। সুমির বাবাকে প্রতিবেশীরা বোঝাতে চাইলেন। তার মেয়েকে বিয়ে করবেন না মাশরাফি। ও এখন বড় তারকা। একদিন দেখিস অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়ে হাজির হবে।
প্রতিবেশীদের এমন কথায় মাশরাফির বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হন সুমির বাবা। রাজি হয়ে যান দু’জনেই। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে বিয়ে হয় তাদের। বাবা রাজি না হলে আরও কিছুদিন দেরি করে বিয়েটা করতেন মাশরাফি। এখন মেয়ে হুমাইরাকে নিয়ে মাশরাফি-সুমির সুখের সংসার।
মাশরাফি ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন। নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ডান হাতি পেস বোলার হিসেবে খেলা শুরু করেন। দলের দু:সময়ে ব্যাটসম্যান হিসেবেও ব্যাপক সহযোগিতা করেন তিনি। ইনজুরির কারনে খেলা হয়নি ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট। মাশরাফি বিন মূর্তজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছেন।
২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাশরাফির। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিরুদ্ধে ২৬ রানে ৬ উইকেট মাশরাফির সেরা সাফল্য।
টেস্ট ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক ৮ নভেম্বর, ২০০১। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে ৮ ওভার ২ বলে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট।
কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ে মাশরাফি দশ ওভার বল করে ৩৩ রান দেন। ঐ ম্যাচে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটসম্যান এডাম গিলক্রিস্টকে শূণ্য রানে আউট করেন। বাংলাদেশে রফিকের পর মাশরাফিই আন্তর্জাতিক মানের পেস বোলার।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট শিকারীর খেতাব অর্জন করেন মাশরাফি। সেই বছর তিনি অর্জন করেন ৪৯টি উইকেট।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের বিপক্ষে স্মরনীয় জয়ে মাশরাফি মূখ্য ভূমিকা রাখেন। রেখেছেন।
বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাশরাফিই এক ওভারে সর্বোচ্চ ২৬ রান সংগ্রহ করেন ভারতের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ইনজুরিতে পরেন।
২০১০ সালে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েন। এই ইনজুরির কারনে তিনি ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে পারেনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের বাইরে ভারতের আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন।
মাশরাফি বর্তমানে ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে জনগনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সেখানেও তিনি সফলতা পাচ্ছেন।
মাশরাফিকে কেমন ভালোবাসেন,
তার নেতৃত্ব নিয়ে কমেন্ট করুন 😍👇👇
I din't like this play. Nut I supported Bangladesh so eventually I supported Bangladesh team.Thank you.