সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য্য যাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকে, সাগরের বুকে অস্তমিত সূর্যের ম্রিয়মান আলোর রূপ দেখতে যাদের ভাল লাগে, বুক ভরে নিতে চান বিশুদ্ধ বাতাস, তাঁরা অল্পসময়ে স্বল্প খরচে ঘুরে আসতে পারেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে। সাগরের হৃদয় উত্তাল করা ঢেউ আর বাতাস আপনার বুকের ভিতর জমে থাকা কষ্ট ভুলিয়ে দিবে খুব সহজেই।
সৈকতের আশেপাশে পর্যটকদের জন্য বেশকিছু রেস্টুরেন্ট এবং খাবারের দোকান স্থাপিত হয়েছে। সৈকতে বাতির ব্যবস্থা করায় রাতের বেলা পর্যটকদের নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতটি রক্ষাণাবেক্ষণ করায় সৈকতের সৌন্দর্য এখন আগের থেকে অনেকটা সুন্দর হয়েছে। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের আঁচড় নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করে সৈকতে।
এখানে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে সন্ধ্যার পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে সূর্যাস্তের দৃশ্য যেকোন মানুষের মনকে অনেক বেশি পুলকিত করে। সুতরাং সৈকতে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারেন। এখানে ২০ টাকার বিনিময়ে ঘোড়ার পিঠে চড়তে পারবেন আপনি। সেই সাথে আছে স্পিডবোড কিংবা কাঠের তৈরি নৌকাতে করে বেড়ানোর সুযোগ।
শাহ আমানত বিমান বন্দর, বিএনএস ঈশা খান (বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি) ও চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি খুব কাছাকাছি হওয়ায় আলাদা করে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সৈকতেই আছে বার্মিজ মার্কেট। এই মার্কেট থেকে পছন্দের ছোটখাট কেনাকাটা সেরে নিতে পারবেন আপনি।
সৈকতে বেড়াতে এসে যেকোন ধরণের বিপদ কিংবা অভিযোগ করতে পারবেন বন্দরে থাকা ভ্রাম্যমাণ পুলিশ ফাঁড়িতে। স্পীডবোড, নৌকা, ঘোড়ায় চড়ার আগে অবশ্যই ভাড়া ঠিক করে নিবেন। কারণ এখানে প্রায় সবাই ঠকানোর চেষ্টা করে পর্যটকদের। পতেঙ্গা সৈকতের বেশি উত্তর দিকে একা একা হাঁটতে না যাওয়াই ভালো।
Wow . I love the visit sea-beach . You wrote very well about patenga beach. I wanna to visit patenga beach