জেরুজালেম মুসলমান, খ্রিস্টান এবং ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের নিকট পবিত্র স্থান। জেরুজালেমে মুসলমানদের পবিত্র আলআকসা মসজিদ অবস্থিত যা মুসলমানদের স্মৃতিবিজড়িত এবং সেখানে অনেক নবী এবং সাহাবাদের কবর রয়েছে। জেরুজালেমের বেথেলহামে যীশু খ্রিস্ট জন্ম গ্রহণ করেন যার জন্য এই জায়গাটি খ্রিস্টানদের নিকট অধিক পছন্দনীয়। তাছাড়া জেরুজালেমে ইহুদীদের পবিত্র ওয়েলিং ওয়াল অবস্থিত।জেরুজালেম নগরী ইহুদিদের কাছে পবিত্র কারণ এখানে রয়েছে সোলেমানের উপাসনালয় হায়কল-ই সুলাইমান, এখানে রাজত্ব করেছেন কিং ডেভিড। খৃষ্টানদের কাছে এটি পবিত্র কারণ এর পাশেই বেথেলহেম অবস্থিত যেখানে যিশুর জন্ম, মা-মেরির কবর রয়েছে। মুসলমানরা একে পবিত্র জানে কারণ মসজিদুল আকসা এবং ডোম অব দ্যা রক বা পবিত্র পর্বতশৃঙ্গ অবস্থিত এখানে । এই মসজিদ তাদের প্রথম কিবলা। নবী মুহাম্মদ সঃ এখান থেকেই তার মিরাজ সফর শুরু করেন।
মসজিদুল আকসা তৈরি করেন নবী সোলেমান খৃষ্টপুর্ব ১ হাজার সাল পূর্বে। একবার পারস্য সম্রাট নেবুকান্দজ্জোরের হাতে এটি ধ্বংস হয় ৫৮৬ খৃষ্টপুর্বাব্দে । তারপর সম্রাট এজরা এবং নেহেমিয়া একে পুনর্নির্মাণ করেন কিন্তু কিওপেট্রার পিতামহ এপিফেন্সের হাতে আবার এটি ধ্বংস হয় ১৬৭ খিৃষ্টপুর্বাব্দে। হিজকিল -জাকারিয়াদের চেষ্টায় আবার এটি গড়ে উঠে। শেষবার একে ধ্বংস করেন হেরোড ।
দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের বিখ্যাত জেরুজালেম সফরের পর মসজিদটি খুলে দেয়া হয়। বর্তমান কাঠামোটি নির্মিত হয়েছে খলিফা আল-ওয়ালিদের দ্বারা ৬৪ হিজরিতে। এরপর এসেছে ক্রুসেড ১০৯৬ থেকে ১২০২ সাল পর্যন্ত । ক্রুসেডে মসজিদটি কয়েকবার অবরুদ্ধ হয়েছে কিন্তু ধ্বংস করেনি। ১১৯২ সালে সুলতান সালাহদিন আইউবি একে সবার জন্য উন্মুক্ত করেন।
শুক্রবার মুসলমানরা এবাদত করেন, শনিবার ইহুদিরা এবাদত করেন এবং রবিবার খৃষ্টানেরা এখানে এবাদত করেন। এমন আশ্চর্য ইবাদত গৃহ পুরা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই যেখানে মিলিত হয় তিনটি প্রধান সেমেটিক ধর্মের মানুষ।
4
66
great