"বিজ্ঞান দৈনন্দিন জীবনের জন্য আশীর্বাদ"

2 44
Avatar for Jakir
Written by
3 years ago

আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখি সবকিছুই বিজ্ঞান।বিজ্ঞানের অবদানে বদলে গিয়েছে সমগ্র পৃথিবী।বিজ্ঞানের অবদান ছুঁয়ে গিয়েছে সবকিছুতে।

বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক আমাদের পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে।

এক সময় এই পৃথিবীতে জীবনযাত্রার মান ছিল খুব কষ্টকর। মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হতো, তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আদান - প্রদানের অসুবিধা ছিল প্রকট। অসুস্থ্য রুগীকে ট্রিটমেন্ট করার জন্য উন্নত চিকিৎসা ক্ষেত্র ছিল না।

প্রাচীনকালে মানুষ শুধু নিজেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু আজ সর্বক্ষেত্রে মানুষ উন্নতির ধারায় পৌঁছে গেছে।

শিক্ষাব্যবস্থা, শিল্পক্ষেত্রে, চিকিৎসাক্ষেত্রে, কৃষিক্ষেত্রে, বানিজ্য ক্ষেত্র, যাতায়াত ও যোগাযোগ ক্ষেত্র ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বর্তমানে বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার।

বর্তমানে বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবনকে করে তুলেছে কঠিন থেকে সহজ। আমাদের জীবনকে পৌঁছে দিয়েছে সর্বোচ্চ চূড়ায়।

একসময় শিক্ষা ব্যাবস্থা ও শিক্ষার্থিদের পাঠদানের ব্যাবস্থা ছিল খুব নিম্নমানের। কারণ তখন প্রযুক্তি ব্যাবহার ছিল সংকট যার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নগণ্য।

স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা প্রদান করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট উপাদান রয়েছে। শিক্ষাক্রমের প্রধান উপাদানগুলো হলো: উদ্দেশ্য, প্রান্তিক যোগ্যতা, বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন।

বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে বিভিন্ন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে করে তুলেছে আরো উন্নত। শিক্ষাক্রমের উপাদানগুলো বাস্তবায়িত করার করার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান কাজ করে যাচ্ছে অনবরত।

শিক্ষার্থীদেরপাঠদান করার পাশাপাশি প্রাক্টিক্যালি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানের অবদান। কারণ প্রাক্টিকাল শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন সে সকল যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করে আমরা সহজেই প্রাক্টিকাল শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছি।

বর্তমান কোভিড-১৯ সময়ে আমরা সবাই লকডাউন অবস্থায় গৃহবন্দি। তবু অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস করে যাচ্ছি ডিভাইসের (মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার) মাধ্যমে। এ সবকিছু হলো বিজ্ঞানের অবদান ও প্রযুক্তির ব্যবহার।

বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যাবহার ব্যাপক পরিমাণে আলোড়ন। যারা অফিসে যেতে পারছে না তারা নিজের বাসগৃহে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সমাধান করছে সবকিছু এবং ব্যাবসার ডিল করছে। সবকিছুই প্রযুক্তি ব্যাবহার যা বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ফল।

প্রাচীনকালে মানুষ যখন অসুস্থ হতো তখন জঙ্গলের থেকে গাছের লতাপাতা ও বিভিন্ন কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিল বলে এসব ব্যাবহার করতো কারণ এসব ছাড়া অন্য কিছু ছিল না রোগ নিরাময় করার জন্য। উন্নত চিকৎসা পদ্ধতি ছিল না।

যার কারণে সামান্য অসুস্থ্য হয়েও আরোগ্য লাভ না করে মানুষ মৃত্যুবরণ করতো। কিন্তু বর্তমান হলো বিজ্ঞানের যোগ। বিজ্ঞানীদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তৈরি করে ট্রিটমেন্টের জন্য বিভিন্ন মেডিসিন ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা। WBC ,CBC ,widal test, CT-scan, Chest of P/A, Urine examination, Biochemical test, HIV-test, (etc.) আরো বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার আছে যার সাহায্যে খুব সহজেই অসুস্থ্য ব্যাক্তির রোগ নির্ণয় করা যায় এবং ট্রিটমেন্ট করা হয়।এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের অবদানের জন্য।

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।কৃষি আমাদের প্রেরণার উৎস। কৃষির জন্য টিকে আছে আমাদের অস্তিত্ব । উন্নত কৃষি ব্যাবস্থা না থাকলে আমরা কখনোই উন্নত জীবন অতিবাহিত করতে পারতাম না। চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টর ও সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত সেচের জন্য সেচ পাম্পের বিকল্প নেই। যা আমরা অর্জন করেছি শুধু বিজ্ঞানীদের অবদানের ফলে।জমিতে উচ্চ ফলনের জন্য সঠিক সময়ে সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা অত্যাবশ্যক। এই সার ও রাসায়নিক সার বিজ্ঞানের অবদান।

অতএব, বিজ্ঞানীদের এই বিস্ময়কর আবিষ্কার ও বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে যা আমাদের জীবনকে সহজ ও উন্নতির ধারায় পৌঁছে দিয়েছে।

একসময় ছিল, মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের জন্য যানবাহন ছিল না। পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোনো মাধ্যম ছিল না। তখন মানুষের জীবন ব্যাবস্হা ছিল খুব কঠিন। দূরের ব্যাক্তিকে সংবাদ প্রেরণ করতে হতো চিঠির মাধ্যমে যা প্রাপকের কাছে পৌঁছতে সময় লাগতো অনেকদিন।

কিন্তু বর্তমান হলো বিজ্ঞানের যুগ। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বর্তমানে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। যোগাযোগের জন্য মুহূর্তেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খবর হাতের মুঠোয় চলে আসছে নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে। যেকোনো সময় অডিও / ভিডিও কনফারেন্সের এর মাধ্যমে আমরা খবর আদান প্রদান করতে পারি, বার্তা পৌঁছাতে পারি, অনলাইনের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারছি নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে।

যাতায়াতের জন্য বিশেষ ধরনের যানবাহন চলমান আছে এবং ইচ্ছা করলেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে খুব অল্প সময়ে পৌঁছা সম্ভব। শত শত ও হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে অল্প মুহূর্তে মধ্যেই।

এসব কিছু বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞানের জন্যই আমাদের জীবন খুব সহজ ও সুন্দর। বিজ্ঞানের জন্যই আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারছি, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খবর ঘরে বসেই জানতে পারছি। এই বৈচিত্রময় বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে বৈচিত্রময়। দৈনন্দিন জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেছে মানবজাতিকে।

বিজ্ঞানের অবদানের ফলেই আমরা আজ চিনতে পেরেছি সারা বিশ্বকে। বিজ্ঞানের অবদানের ফলেই আমরা জয় করতে পেরেছি সমগ্র বিশ্বকে। বিজ্ঞান আছে বলেই এই এই দুনিয়ার যেকোনো যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা মোকাবেলা করত সর্বদাই প্রস্তুত। বিজ্ঞান আমাদের ভালোবাসা এবং বর্তমান ও অতীতের অনুপ্রেরণা যা টিকে থাকবে আমাদের সবার ভালোবাসার মাধ্যমে।

বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে কঠিন থেকে সহজ জীবন, বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে চলার সামর্থ্য ও অনুপ্রেরণার উৎস। বিজ্ঞানের এ ধারা চলমান থাকবে সারাজীবন। ভবিষ্যতে এই পৃথিবী আরো বৈচিত্রময়, রঙিন, এবং উন্নতর চূড়ায় পৌঁছাবে বিজ্ঞানের অবদানে ফলে।বিজ্ঞান ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব না। পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানীরা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে সকল মানুষের অন্তরে।

2
$ 0.00
Avatar for Jakir
Written by
3 years ago

Comments

Nice writing dear

$ 0.00
3 years ago

Sundor hoiche vai.like dilam

$ 0.00
3 years ago