আমার দেশ 

4 28
Avatar for Jahidur123
3 years ago

ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো, তোমাতে আমরা লভিয়া জনম, ধন্য হয়েছি ধন্য গো।” —- শিল্পী মান্না দে’র কন্ঠের এই বিখ্যাত গানটি দেশমাতৃকার চরণে অর্পিত হয়েছে যেন।  সুজলা – সুফলা – শস্যশ্যামলা আমাদের দেশ ভারতবর্ষ পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার অন্তর্গত। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধান অনুযায়ী ভারত সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।কথিত আছে, ভারত নামটির উৎপত্তি চন্দ্রবংশীয় পৌরাণিক রাজা ভরতের নামানুসারে। জানা যায়, এই ‘বর্ষ’ বা অঞ্চলটি রাজা ভরতকে দান করা হয়েছিল বলে এর নাম ভারতবর্ষ। ইংরজিতে ইন্ডিয়া (India) শব্দটি এসেছে সিন্ধু নদের আদি ফার্সি নাম হিন্দু থেকে। এছাড়াও প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের ইন্দোই অর্থাৎ ইন্দাস (সিন্ধু) নদী অববাহিকার অধিবাসী নামে অভিহিত করতেন। স্বাধীনতার পর ভারতের সংবিধানে ও লোকমুখে ভারত নামটিই প্রচলিত হয়।

ভারতীয় সভ্যতা আনুমানিক পাঁচহাজার বছরের পুরোনো। এই সিন্ধু নদের তীরেই প্রথম ‘সিন্ধু সভ্যতা’ গড়ে ওঠে। এরপর বহিরাগত আর্যজাতির আক্রমণে বৈদিক সভ্যতার প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বহু রাজা-মহারাজা-সম্রাটরা রাজত্ব করেন এ দেশে। ভারত তখন ব্যবসা – বাণিজ্য – ধনসম্পদে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হত। মশলার বৈচিত্র্যের জন্য আজও বিখ্যাত ভারত।

ষোড়শ শতক থেকে বিভিন্ন বিদেশী শক্তিগুলি ভারতে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। পরবর্তীকালে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগ নিয়ে তারা ভারতে উপনিবেশ স্থাপন করতেও সক্ষম হয়। ১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এরপর দুশো বছরের প্রচেষ্টা, একের পর এক ব্যর্থ বিদ্রোহে, যুদ্ধে, নরম-চরম পন্থায় ভারতবাসী ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।দেশের মাটি,মানুষ পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে জন্ম নেয় দেশপ্রেম।দেশপ্রেমের তাৎপর্য বুঝতে হলে দেশের যথার্থ স্বরূপ জানা প্রয়োজন।দেশ মানে গণ্ডিতে আবদ্ধ শুধু মৃত্তিকাময় একটি ভূমি খণ্ড নয়।সীমানা থাকলেও সীমানার কতগুলি প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য কে নিয়েই দেশের পরিধি।

জনমানব শূন্য কোনো ভৌগলিক অঞ্চল একটি দেশ হয়ে উঠতে পারে না।মানুষ পশু পাখি গাছ সবকিছু নিয়ে দেশ।তাই প্রকৃত অর্থে দেশ প্রেম হল দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন - দেশ মৃন্ময় নয়,দেশ চিন্ময়।যার অর্থ দেশ চিত্তময়।আর এই চিত্তের অধিকারী মানুষের মনের সাথে মনের সংযোগ না থাকলে দেশ প্রেম সেখানে অর্থহীন।

5
$ 0.00
Avatar for Jahidur123
3 years ago

Comments

অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধান অনুযায়ী ভারত সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।কথিত আছে, ভারত নামটির উৎপত্তি চন্দ্রবংশীয় পৌরাণিক রাজা ভরতের নামানুসারে। জানা যায়, এই ‘বর্ষ’ বা অঞ্চলটি রাজা ভরতকে দান করা হয়েছিল বলে এর নাম ভারতবর্ষ। ইংরজিতে ইন্ডিয়া (India) শব্দটি এসেছে সিন্ধু নদের আদি ফার্সি নাম হিন্দু থেকে। এছাড়াও প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের ইন্দোই অর্থাৎ ইন্দাস (সিন্ধু) নদী অববাহিকার অধিবাসী নামে অভিহিত করতেন। স্বাধীনতার পর ভারতের সংবিধানে ও লোকমুখে ভারত নামটিই প্রচলিত হয়।

ভারতীয় সভ্যতা আনুমানিক পাঁচহাজার বছরের পুরোনো। এই সিন্ধু নদের তীরেই প্রথম ‘সিন্ধু সভ্যতা’ গড়ে ওঠে। এরপর বহিরাগত আর্যজাতির আক্রমণে বৈদিক সভ্যতার প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর যুগের পরিবর্তনের সাথে সা

$ 0.00
3 years ago

Nc

$ 0.00
3 years ago

এই বিখ্যাত গানটি দেশমাতৃকার চরণে অর্পিত হয়েছে যেন। সুজলা – সুফলা – শস্যশ্যামলা আমাদের দেশ ভারতবর্ষ পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার অন্তর্গত। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবিধান অনুযায়ী ভারত সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।কথিত আছে, ভারত নামটির উৎপত্তি চন্দ্রবংশীয় পৌরাণিক রাজা ভরতের নামানুসারে। জানা যায়, এই ‘বর্ষ’ বা অঞ্চলটি রাজা ভরতকে দান করা হয়েছিল বলে এর নাম ভারতবর্ষ। ইংরজিতে ইন্ডিয়া (India) শব্দটি এসেছে সিন্ধু নদের আদি ফার্সি নাম হিন্দু থেকে। এছাড়াও প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের ইন্দোই অর্থাৎ ইন্দাস (সিন্ধু) নদী অববাহিকার অধিবাসী নামে অভিহিত করতেন। স্বাধীনতার পর ভারতের সংবিধানে ও লোকমুখে ভারত নামটিই প্রচলিত হয়।

ভারতীয় সভ্যতা আনুমানিক পাঁচহাজার বছরের পুরোনো। এই সিন্ধু নদের তীরেই প্রথম ‘সিন্ধু সভ্যতা’ গড়ে ওঠে। এরপর বহিরাগত আর্যজাতির আক্রমণে বৈদিক সভ্যতার প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বহু রাজা-মহারাজা-সম্রাটরা রাজত্ব করেন এ দেশে। ভারত তখন ব্যবসা – বাণিজ্য – ধনসম্পদে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হত। মশলার বৈচিত্র্যের জন্য আজও বিখ্যাত ভারত।

ষোড়শ শতক থেকে বিভিন্ন বিদেশী শক্তিগুলি ভারতে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। পরবর্তীকালে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগ নিয়ে তারা ভারতে উপনিবেশ স্থাপন করতেও সক্ষম হয়। ১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এরপর দুশো বছরের প্রচেষ্টা, একের পর এক ব্যর্থ বিদ্রোহে, যুদ্ধে, নরম-চরম পন্থায় ভারতবাসী ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।দেশের মাটি,মানুষ পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে জন্ম নেয় দেশপ্রেম।দেশপ্রেমের তাৎপর্য বুঝতে হলে দেশের যথার্থ স্বরূপ জানা প্রয়োজন।দেশ মানে গণ্ডিতে আবদ্ধ শুধু মৃত্তিকাময় একটি ভূমি খণ্ড নয়।সীমানা থাকলেও সীমানার কতগুলি প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য কে নিয়েই দেশের পরিধি।

$ 0.00
3 years ago

Such a nice article

$ 0.00
3 years ago