গল্প

4 35
Avatar for Jahid123
4 years ago

রাক্ষসী কন্যা

পর্ব:০১

লেখক:jahid123

প্রাণীজগৎ দেখতে দেখতে ছোট্ট শিশু পিয়ালা তার আব্বু কে প্রশ্ন করল-আব্বু আব্বু জংগলে কি কি থাকে?

--জংগলে থাকে বাঘ,ভাল্লুক, সিংহ, সাপ,বানর আর হরিন।(পিয়ালের আব্বু)

--আব্বু তাহলে জিরাফ ডাইনোসর,গরিলা ওরা কোথায় থাকে?

--ওরাও থাকে জংগলে।

--ওরা কেন জংগলে থাকে আমাদের সাথে এই শহরে কেন থাকেনা?( পিয়াল)

--ওরা জংগলে থাকতে ভালোবাসে তাই।

--আব্বু আমাদের দাদু বাড়িতে তো অনেক জংগল তাইনা?

--হুম আব্বু বিশাল বড় জংগল (পিয়ালের আব্বু)

--আব্বু সেখানে নিশ্চয় বানর,জিরাফ,হরিন,খরগোশ রয়েছে ? আমাকে নিয়ে চলো না আমি বানার,খরগোশ কখনো দেখিনি।

পিয়ালের আব্বু চোখে মুখে আতংক ছাপ নিয়ে বলল,পিয়াল তোমাকে চিড়িয়াখানা দেখাতে নিয়ে যাবো কেমন সেখানে বানর খরগোশ ভাল্লুক আছে আরো অনেক পশুপাখি আছে।এখন যাও অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে পরো।

--কিন্তু আব্বু আমি দাদু বাড়ি যেতে চাই নিয়ে চলনা প্লীজ।

পিয়ালের আব্বু এক ধমক দিয়ে বলল,পিয়াল আমি যখন বলেছি বাড়ি যাবো না এটাই ফাইনাল ডিসিশন যাও এখন বিরক্ত করোনা।

পিয়াল কান্না করতে করতে সে তার রুমে চলে গেল।

ও পাশ থেকে ছেলের কান্নার শব্দ শুনে পিয়ালের আম্মু ছুটে এসে বলল,কি হয়েছে পিয়াল কান্না করছে কেন?

--পিয়াল তার দাদূ বাড়ি যেতে চাচ্ছে!

--ছেলে কে এভাবে না কাঁদালেও তো পাড়তে? ছোট মানুষ একটু বুঝিয়ে বললে কি এমন হত?

দাদূ বাড়ি যাবার অধিকার সবারি থাকে পিয়াল কেন যাবেনা?

--নাহ যাবেনা নাহ।

--আমাকে নিয়ে যাওনি ঠিক আছে আমি কিছু বলিনি কিন্তু নিজের ছেলেকেও যেতে দিবে নাহ এ কেমন কথা?

--উফফ কেন বুঝতে চাচ্ছনা সেখানে আমাদের জন্য সেফ নাহ।কিছু একটা অঘটন ঘটে গেল কি হবে ভাবতে পারছো?

--অঘটন কিসের অঘটন তুমি কি বলতে চাচ্ছ?আমি তো কিছুই বুঝতে পাড়ছি নাহ।

--কারণ সেখানে অনেক মায়াবী রাক্ষসী বাস করে।

--ওহ এর জন্য আচ্ছা তুমি কি কখনো রাক্ষসী নিজের চোখে দেখেছো?

--নাহ তবে শুনেছি।

--কার কাছ থেকে কবে কি শুনেছ সে দিন কি এখন আছে। ছেলের মুখের দিকে অন্তত একবার তাকাও।আমরা না হয় কিছুদিন থেকে চলে আসবো।

--আচ্ছা ঠিক আছে আমরা যাবো তবে ৩ দিন এর বেশি এক মুহূর্ত থাকবো নাহ।

--আচ্ছা তাই করো এবার তো চল ছেলের কান্না থামাবে সেই কখন থেকে কান্না করেই চলেছে।

পিয়াল বিছানা শুয়ে কান্না করছিল পেছন থেকে পিয়াল এর আব্বু পিয়ালের মাথায় হাত রেখে বলল, আব্বু আমরা আগামীকাল তোমার দাদূ বাড়ি যাচ্ছি।

কথাটি শুনা মাত্রই পিয়াল খুশিতে এক লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে যায়। ইয়ে কি মজা কি মজা আমরা দাদূ বাড়ি যাবো।

--পিয়ালের আম্মু বলল,হুম এবার খুশি তো এখন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরো না হলে সকালে উঠতে পারবেনা।

আব্বু আম্মু কে পাপা দিয়ে গুড নাইট বলে পিয়াল বিছানা শুয়ে ঘুমিয়ে যায়।

পর দিন সকালে বাংলো বাড়ি উদ্দেশ্যে সবাই রওনা দিলো ।বিকেল ৫ টার সময় তারা সেখানে পৌঁছে যায়।দীর্ঘ লম্বা পথ জার্নি করার কারনে পিয়াল রাতে খাবার সেরে ঘুমিয়ে পরে।

পরদিন ভোরের আলো উঠার সাথে সাথে পিয়াল ঘুম থেকে উঠে যায়।পিয়াল খোলা মাঠ মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।বাংলো চারপাশ ফুলবাগান ঘেরা। ফুলেরগন্ধ চারদিক মৌ মৌ করছে। নীল আকাশে পাখির কিচিরমিচির শব্দ পিয়াল তাই আজ ভীষণ আনন্দ।

পিয়াল ছুটে এসে আব্বু কে বলল,আব্বু আব্বু আমর এখানে অনেক ভালো লাগছে।শহরে আমার একটুও ভালো লাগেনা আমি এখানেই থাকতে চাই।পিয়াল আবার ছুটাছুটি শুরু করে।

--পিয়ালের আব্বু বলল,পিয়াল বেশি দূর যেও না।

--আচ্ছা আব্বু আমি বেশি দূর যাবো না।

পিয়াল ছুটাছুটি করার সময় হঠাৎ খেয়াল করল বাংলো বাড়ি পেছনে ঝুপের পাশে দুটো ছোট ছোট খরগোশ ছানা খেলা করছে।পিয়াল এগিয়ে যায় সেদিকে। পিয়াল যতই সামনে এগিয়ে যায় ঔ খরগোশ ছানা দুটো সামনে এগিয়ে যায়।এভাবে যেতে যেতে পিয়ালের খেয়ালই ছিলনা সে গহিন অরণ্যে চলে আসে।যখন গভীর জংগল এর ভেতর ঢুকে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে আব্বু আম্মুর কথা মনে পড়ে এবং পিয়াল দাঁড়িয়ে যায়।চারদিকে গভীর ঘন জংগল। পিয়ালের মনে আস্তে আস্তে ভয় ভয় কাজ করে তখন ।গহীন ঘন জংগলে পথ হারিয়ে পিয়াল আব্বু আম্মু বলে কান্না করতে থাকে।

এদিকে খরগোশ ছানা দুটো খরগোশ রূপ ছেড়ে রাক্ষুসে রূপ ধারণ করে।পিয়াল ভয়ংকর রাক্ষস রূপ দেখে আরো ভয় পেয়ে যায় এবং জোরে জোরে কান্না করতে থাকে।

একটি রাক্ষস বলল,এই শিশুটি কে চল আমরা এখনি দুজন মিলে খেয়ে ফেলি।

দ্বিতীয় রাক্ষস বলল,না তার চেয়ে চল এটাকে আমাদের রাক্ষস মহারাজের কাছে নিয়ে যাই।রাক্ষস মহারাজ কি বলেছিল মনে নেই তার অনুমিত ছাড়া আমরা কোন মানুষ ভক্ষণ করতে পারিনা।

--প্রথম রাক্ষস বলল, সবসময় রাক্ষস মহারাজ মানুষ ভক্ষণ করে আর আমাদের ভাগ্যে তেমন কিছুই জুটে না। এই শিশু টাকে আমি এক্ষুনি খাবো। মুখ থেকে রাক্ষসের লালা ঝরছে বড় বড় নখ আর হিংস্র দাঁত নিয়ে ক্রমশ ছোট শিশু পিয়াল এর দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যেতে থাকে।

এই রকম ভয়ংকর একটা রাক্ষস দেখে পিয়াল আরো ভয় পেয়ে কান্না করতে থাকে।

রাক্ষস তার বড় বড় হিংস্র ধারালো দুটো দাঁত পিয়াল এর খুব কাছে

চলবে...............

10
$ 0.00
Avatar for Jahid123
4 years ago

Comments

thank you so much for this story.i really like it.carry on.

$ 0.00
4 years ago

26 Subscribed 14 minutes ago রাক্ষসী কন্যা

পর্ব:০১

লেখক:jahid123

প্রাণীজগৎ দেখতে দেখতে ছোট্ট শিশু পিয়ালা তার আব্বু কে প্রশ্ন করল-আব্বু আব্বু জংগলে কি কি থাকে?

--জংগলে থাকে বাঘ,ভাল্লুক, সিংহ, সাপ,বানর আর হরিন।(পিয়ালের আব্বু)

--আব্বু তাহলে জিরাফ ডাইনোসর,গরিলা ওরা কোথায় থাকে?

--ওরাও থাকে জংগলে।

--ওরা কেন জংগলে থাকে আমাদের সাথে এই শহরে কেন থাকেনা?( পিয়াল)

--ওরা জংগলে থাকতে ভালোবাসে তাই।

--আব্বু আমাদের দাদু বাড়িতে তো অনেক জংগল তাইনা?

--হুম আব্বু বিশাল বড় জংগল (পিয়ালের আব্বু)

--আব্বু সেখানে নিশ্চয় বানর,জিরাফ,হরিন,খরগোশ রয়েছে ? আমাকে নিয়ে চলো না আমি বানার,খরগোশ কখনো দেখিনি।

পিয়ালের আব্বু চোখে মুখে আতংক ছাপ নিয়ে বলল,পিয়াল তোমাকে চিড়িয়াখানা দেখাতে নিয়ে যাবো কেমন সেখানে বানর খরগোশ ভাল্লুক আছে আরো অনেক পশুপাখি আছে।এখন যাও অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে পরো।

--কিন্তু আব্বু আমি দাদু বাড়ি যেতে চাই নিয়ে চলনা প্লীজ।

পিয়ালের আব্বু এক ধমক দিয়ে বলল,পিয়াল আমি যখন বলেছি বাড়ি যাবো না এটাই ফাইনাল ডিসিশন যাও এখন বিরক্ত করোনা।

পিয়াল কান্না করতে করতে সে তার রুমে চলে গেল।

ও পাশ থেকে ছেলের কান্নার শব্দ শুনে পিয়ালের আম্মু ছুটে এসে বলল,কি হয়েছে পিয়াল কান্না করছে কেন?

--পিয়াল তার দাদূ বাড়ি যেতে চাচ্ছে!

--ছেলে কে এভাবে না কাঁদালেও তো পাড়তে? ছোট মানুষ একটু বুঝিয়ে বললে কি এমন হত?

দাদূ বাড়ি যাবার অধিকার সবারি থাকে পিয়াল কেন যাবেনা?

--নাহ যাবেনা নাহ।

--আমাকে নিয়ে যাওনি ঠিক আছে আমি কিছু বলিনি কিন্তু নিজের ছেলেকেও যেতে দিবে নাহ এ কেমন কথা?

--উফফ কেন বুঝতে চাচ্ছনা সেখানে আমাদের জন্য সেফ নাহ।কিছু একটা অঘটন ঘটে গেল কি হবে ভাবতে পারছো?

--অঘটন কিসের অঘটন তুমি কি বলতে চাচ্ছ?আমি তো

$ 0.00
4 years ago

Thanks for writing such a story. I had a lot of fun reading the story. It would be nice to come up with something to do with the ridiculous mysteries to give us as a gift and such an earning site to write articles like this.

$ 0.00
4 years ago