যে কোনো ছবির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কনা হচ্ছে পিক্সেল। অসংখ্য পিক্সেলের সন্নিবেশে এবং সমন্বয়ে তৈরি হয় একটা ছবি বা ইমেজ।

পিক্সেল মানে কম বেশি সবাই আমরা জানি। বর্তমান বিশ্বে অত্যাধুনিক মোবাইল ব্যাবহারের কারনে পিক্সেল ব্যাপার টা আরো বেশী জনশ্রুত হয়ে গেছে।

সেই ইমেজ টা কত উন্নত কোয়ালিটির এবং কত টা নিখুঁত, তা ডিপেন্ড করে সেই ইমেজ টা কত গুলো পিক্সেলের সন্নিবেশে তৈরী হয়েছে।

অনেক পুরোনো মোবাইলে সাধারণত ৬৪০ বাই ৪৮০ পিক্সেলে ছবি তোলা যেতো। তার মানে সেই ছবি তে মোট পিক্সেল সংখ্যা প্রায় তিন লাখ সাত হাজার। মানে ০.৩ মেগাপিক্সেল। সেই একই ছবি আজ আমরা তুলি ৮ মেগাপিক্সেল এ। মানে আশি লক্ষ পিক্সেলের সন্নিবেশ থাকে সেই ছবি তে। একটা ফুল এইচ ডি ছবির মোট পিক্সেল সংখ্যা প্রায় বিশ লক্ষ। আবার এক টা ফোর কে রেজুলুশনের ছবি হচ্ছে আট মেগাপিক্সেলের। আশি লক্ষ কনা। তার মানে ছবি টা জুম ইন করে করে একটা পিক্সেল দেখতে আপনার প্রায় মাইক্রোস্কপিক দৃষ্টিশক্তির প্রয়োজন।

অথচ এখন অনেক ক্যামেরাই ৮০/১০০ মেগা পিক্সেলে ছবি তুলতে সক্ষম। মানে একটা ছবিতে দশ কোটি পিক্সেল রয়েছে।

পৃথিবীর ভেতরে তোলা সবচেয়ে বড় ছবি টা হচ্ছে ইউরোপ'স মন্ট ব্লাঁ। পাহাড়ের পুরো প্যানারমিক ছবি টার সাইজ মেগাপিক্সেলে নয়, গিগাপিক্সেলে। ছবি টার সাইজ ৩৬৫ গিগাপিক্সেল। মানে এর মোট পিক্সেল সংখ্যা তিন হাজার ছয়শ পঁয়ষট্টি কোটি।

আর পৃথিবীর বাইরে হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে প্রায় ১৮ বছর ধরে ৩৬০০ এক্সপোজার মোজাইক করে তৈরী ছবি হাবল লেগ্যাসি ফিল্ড। আকার প্রায় ৫০০ গিগাপিক্সেল। যার ফুল ইমেজ টা একসাথে উপভোগ করতে আপনাকে ৬২৫০০ টা ফোর কে মানের মনিটর অ্যারে সাজিয়ে দেখতে হবে।

আসুন, একটু মজা করি।

মনে করুন আমাদের এই সুবিশাল পৃথিবী টা একটা ছোট্ট বিন্দু। একটা ইমেজ পার্টিক্যাল। মানে, এক পিক্সেল।

তার মানে আপনার হাতের দামী মোবাইলে তোলা ১০ মেগাপিক্সেলের অর্ডিনারী এর ছবি টা হচ্ছে সৌরজগত ছাড়িয়ে হেলোস্ফিয়ার পার হয়ে প্রায় ঊর্ট ক্লাউডের সম্পূর্ণ ছবি।

আর সেই মন্ট ব্লাঁ এর ছবি টা প্রক্সিমা সেঞ্চুরাই পর্যন্ত এলাকা টা। সেই সুবিশাল ছবি, যাতে তিন হাজার ছয়শ পঁয়ষট্টি কোটি পিক্সেল আছে, তার একটা কনা, একটা পিক্সেল আমাদের পৃথিবী।

আমাদের এই সুবিশাল পৃথিবী! যার ভেতর আমরা ক্ষমতার দম্ভে চলি, নিউক্লিয়ার বোমার হুমকি, সেই পৃথিবীর পরাশক্তি আমেরিকা। রাশিয়া।

এদের তুলনায় শত ভাগের এক ভাগ আমাদের বাংলাদেশ। এখানে বসে আমাদের কত অহমিকা! কত প্রতিপত্তি! কত বিশাল আমরা!! আমাদের কতই না ক্ষমতা!!

এবার আসুন, আমাদের দুর্নিবার মহাপরাক্রমশালী পৃথিবী কে যদি এক পিক্সেল বানিয়ে, একটা ক্ষুদ্র ছবির কনা বানিয়ে, সারা মিল্কিওয়ের ছবি আমরা তুলতে চাই, তাহলে ছবি টার সাইজ কত হবে?

সেই মিল্কিওয়ে কে এক সাথে উপভোগ করতে হলে আপনার প্রয়োজন পড়বে এক কোটি বিশ লক্ষ ফোর কে টেলিভিশন।

যেগুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে একটা পুর্নাঙ্গ টেলিভিশন বানাতে আপনার পুরো ঢাকা মেট্রো সিটি টা পঞ্চাশ ইঞ্চি ফোর কে টেলিভিশন দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে।

আর সেই ত্রিশ স্কোয়ার কিলোমিটার টিভি স্ক্রিনে জুড়ে আপনি আমাদের প্রিয় হোম গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে দেখতে পাবেন। আর সেই ত্রিশ বর্গ কিলোমিটারের আলট্রা হাই ফোর কে রেজুলুশনের মাপ হবে চুরাশি হাজার গিগাপিক্সেল।

মানে চুরাশি লক্ষ কোটি পিক্সেল থেকে একটা পিক্সেল কনা খুঁজে বের করতে পারবেন???

যেটা আমাদের পৃথিবী?? আমাদের অসীম গর্ব আর দম্ভের স্থান???মনে করুন আমাদের এই সুবিশাল পৃথিবী টা একটা ছোট্ট বিন্দু। একটা ইমেজ পার্টিক্যাল। মানে, এক পিক্সেল।

তার মানে আপনার হাতের দামী মোবাইলে তোলা ১০ মেগাপিক্সেলের অর্ডিনারী এর ছবি টা হচ্ছে সৌরজগত ছাড়িয়ে হেলোস্ফিয়ার পার হয়ে প্রায় ঊর্ট ক্লাউডের সম্পূর্ণ ছবি।

আর সেই মন্ট ব্লাঁ এর ছবি টা প্রক্সিমা সেঞ্চুরাই পর্যন্ত এলাকা টা। সেই সুবিশাল ছবি, যাতে তিন হাজার ছয়শ পঁয়ষট্টি কোটি পিক্সেল আছে, তার একটা কনা, একটা পিক্সেল আমাদের পৃথিবী।

আমাদের এই সুবিশাল পৃথিবী! যার ভেতর আমরা ক্ষমতার দম্ভে চলি, নিউক্লিয়ার বোমার হুমকি, সেই পৃথিবীর পরাশক্তি আমেরিকা। রাশিয়া।

এদের তুলনায় শত ভাগের এক ভাগ আমাদের বাংলাদেশ। এখানে বসে আমাদের কত অহমিকা! কত প্রতিপত্তি! কত বিশাল আমরা!! আমাদের কতই না ক্ষমতা!!

এবার আসুন, আমাদের দুর্নিবার মহাপরাক্রমশালী পৃথিবী কে যদি এক পিক্সেল বানিয়ে, একটা ক্ষুদ্র ছবির কনা বানিয়ে, সারা মিল্কিওয়ের ছবি আমরা তুলতে চাই, তাহলে ছবি টার সাইজ কত হবে?

সেই মিল্কিওয়ে কে এক সাথে উপভোগ করতে হলে আপনার প্রয়োজন পড়বে এক কোটি বিশ লক্ষ ফোর কে টেলিভিশন।

যেগুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে একটা পুর্নাঙ্গ টেলিভিশন বানাতে আপনার পুরো ঢাকা মেট্রো সিটি টা পঞ্চাশ ইঞ্চি ফোর কে টেলিভিশন দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে।

আর সেই ত্রিশ স্কোয়ার কিলোমিটার টিভি স্ক্রিনে জুড়ে আপনি আমাদের প্রিয় হোম গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে দেখতে পাবেন। আর সেই ত্রিশ বর্গ কিলোমিটারের আলট্রা হাই ফোর কে রেজুলুশনের মাপ হবে চুরাশি হাজার গিগাপিক্সেল।

মানে চুরাশি লক্ষ কোটি পিক্সেল থেকে একটা পিক্সেল কনা খুঁজে বের করতে পারবেন???

যেটা আমাদের পৃথিবী?? আমাদের অসীম গর্ব আর দম্ভের স্থান???

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ❤🤙📸।