"আমাদের শ্রেণীগত পরিচয় একটাই - আমরা শ্রমিক!"

0 15
Avatar for IrfanSagor
4 years ago

“আমি শ্রমিক- আপনি ?! ১”

আপনি অফিসের অনেক বড়ো কর্তা কিন্তু কতো বড়ো !?

আপনিও মাসের সেই দিনের দিকে তাকিয়ে সারা মাস শ্রম দেন- যেদিন মাসিক মজুরী (বেতন) পাবেন; ঠিক যেমন আমি দেই আর যেমন দেয় আমাকে আপনাকে যিনি আমাদের দাপ্তরিক কাজে সহায়তা করে থাকেন!

আমার নিয়োগপত্রে যেমন লিখা আছে আমাকে দরকার না হলে অফিস যেকোনো সময় আমাকে চলে যেতে বলতে পারবে ঠিক একি শর্ত- আপনি আবার পড়ে দেখুন- আপনার নিয়োগপত্রেও আছে !

বছর শেষে যেমন আমার কাজের মূল্যায়ণ হয় ঠিক একিভাবে আপনারও হয়। আমারটা নাহয় আপনি করেন বলে মনে মনে নিজেকে আমার চেয়ে উপরের শ্রেণীর কেউ ভাবছেন কিন্তু আপনারটা যখন আরেকজন করছেন তখন !?

আমি যেমন অফিসে না গেলে অথবা দেরীতে গেলে “বস”কে জানাই আপনিওতো তাই!

ছুটি কাটালে আমরা দু’জনই দরখাস্ত করি!

কোনো অন্যায় করলে দু’জনকেই শাস্তি পেতে হয়!

আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা মিলিয়ে দেখুন- আপনি আমি যে যে প্রতিষ্ঠানেই মাসিক মজুরীর বিনিময়ে কাজ করিনা কেনো ঐ প্রতিষ্ঠানের Employment Policy কিন্তু একটিই- আমি শ্রমিক আমার জন্য যা- আপনি বড়ো অফিসার আপনার জন্যও তাই!

তাহলে এবার বলুন আমি “শ্রমিক” হলে আপনি “কে” !?

“অফিসার” “ম্যানেজার” এসব শব্দগুলো মানসিক এবং আপেক্ষিক আর বিমূর্ত। নিজেকে অফিসের প্রভাবশালী বড়ো কর্তা পরিচয় দিতে আমি বা আপনি এবং আমার আপনার পরিবার, আমাদের পাড়া প্রতিবেশী, আমাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব যে গর্ববোধ করে তার শিকড় মূলত লুকিয়ে আছে আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতার ধারাবাহিকতায়- যার বস্তুনিষ্ঠ কোনো ভিত্তি নেই।

অফিসে আমার আপনার পদমর্যাদাভিত্তিক যে অবস্থানগত পার্থক্য সেটি মূলত: কাজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৃষ্ট; যা কোনোভাবেই আমাদের মধ্যকার শ্রেণীগত পার্থক্য নির্দেশ করেনা।

আমাদের শ্রেণীগত পরিচয় একটাই - আমরা শ্রমিক!

আপনি অফিসের যতো বড়ো কর্তাই হ’ন না কেনো- অফিসের বা মালিকের চেয়ে আপনি বড়ো নন আর তাই অফিস কিংবা মালিকের এবং মালিক প্রতিনিধিদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বলয়ের বিপরীতে একজন কর্মজীবি মানুষ হিসেবে আপনার অধিকার যাতে সুসংগত থাকে - আপনি যাতে আইনী নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকেন- সেজন্যই আইনপ্রনেতাগন আপনাকে “শ্রমিক” হিসেবে দেখতে চেয়ে আপনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রনয়ণ করেছেন এবং বিচার বিভাগও একি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিগত প্রায় ৪০ বছর যাবৎ বিভিন্ন মামলায় রায়ে এই বিষয়টি সুষ্পষ্ট করেছে – কে “শ্রমিক” ।আপনি অফিসের অনেক বড়ো কর্তা কিন্তু কতো বড়ো !?

আপনিও মাসের সেই দিনের দিকে তাকিয়ে সারা মাস শ্রম দেন- যেদিন মাসিক মজুরী (বেতন) পাবেন; ঠিক যেমন আমি দেই আর যেমন দেয় আমাকে আপনাকে যিনি আমাদের দাপ্তরিক কাজে সহায়তা করে থাকেন!

আমার নিয়োগপত্রে যেমন লিখা আছে আমাকে দরকার না হলে অফিস যেকোনো সময় আমাকে চলে যেতে বলতে পারবে ঠিক একি শর্ত- আপনি আবার পড়ে দেখুন- আপনার নিয়োগপত্রেও আছে !

বছর শেষে যেমন আমার কাজের মূল্যায়ণ হয় ঠিক একিভাবে আপনারও হয়। আমারটা নাহয় আপনি করেন বলে মনে মনে নিজেকে আমার চেয়ে উপরের শ্রেণীর কেউ ভাবছেন কিন্তু আপনারটা যখন আরেকজন করছেন তখন !?

আমি যেমন অফিসে না গেলে অথবা দেরীতে গেলে “বস”কে জানাই আপনিওতো তাই!

ছুটি কাটালে আমরা দু’জনই দরখাস্ত করি!

কোনো অন্যায় করলে দু’জনকেই শাস্তি পেতে হয়!

আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা মিলিয়ে দেখুন- আপনি আমি যে যে প্রতিষ্ঠানেই মাসিক মজুরীর বিনিময়ে কাজ করিনা কেনো ঐ প্রতিষ্ঠানের Employment Policy কিন্তু একটিই- আমি শ্রমিক আমার জন্য যা- আপনি বড়ো অফিসার আপনার জন্যও তাই!

তাহলে এবার বলুন আমি “শ্রমিক” হলে আপনি “কে” !?

“অফিসার” “ম্যানেজার” এসব শব্দগুলো মানসিক এবং আপেক্ষিক আর বিমূর্ত। নিজেকে অফিসের প্রভাবশালী বড়ো কর্তা পরিচয় দিতে আমি বা আপনি এবং আমার আপনার পরিবার, আমাদের পাড়া প্রতিবেশী, আমাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব যে গর্ববোধ করে তার শিকড় মূলত লুকিয়ে আছে আমাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতার ধারাবাহিকতায়- যার বস্তুনিষ্ঠ কোনো ভিত্তি নেই।

অফিসে আমার আপনার পদমর্যাদাভিত্তিক যে অবস্থানগত পার্থক্য সেটি মূলত: কাজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৃষ্ট; যা কোনোভাবেই আমাদের মধ্যকার শ্রেণীগত পার্থক্য নির্দেশ করেনা।

আমাদের শ্রেণীগত পরিচয় একটাই - আমরা শ্রমিক!

আপনি অফিসের যতো বড়ো কর্তাই হ’ন না কেনো- অফিসের বা মালিকের চেয়ে আপনি বড়ো নন আর তাই অফিস কিংবা মালিকের এবং মালিক প্রতিনিধিদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বলয়ের বিপরীতে একজন কর্মজীবি মানুষ হিসেবে আপনার অধিকার যাতে সুসংগত থাকে - আপনি যাতে আইনী নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকেন- সেজন্যই আইনপ্রনেতাগন আপনাকে “শ্রমিক” হিসেবে দেখতে চেয়ে আপনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রনয়ণ করেছেন এবং বিচার বিভাগও একি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিগত প্রায় ৪০ বছর যাবৎ বিভিন্ন মামলায় রায়ে এই বিষয়টি সুষ্পষ্ট করেছে – কে “শ্রমিক” ।

পরবর্তী পোষ্টগুলোতে মূল আইন এবং তার বিচার বিভাগীয় ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হবে।

আগ্রহীগন সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন !

Sponsors of IrfanSagor
empty
empty
empty

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য।

3
$ 0.17
$ 0.17 from @TheRandomRewarder
Sponsors of IrfanSagor
empty
empty
empty
Avatar for IrfanSagor
4 years ago

Comments