ফরজ গোসলের মাসয়ালা

0 24
Avatar for Imran25
3 years ago

প্রশ্ন:-হস্তমৈথুন করলে কি গোসল ফরজ হয়ে যায়?

উত্তর:-জি।হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত করলে গোসল ফরজ হয়ে যায়।

বীর্য হলো: গাড়-সাদা পানি যা যৌন-উত্তেজনাসহ ঠিকরে বের হয়, যারপর শরীর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বীর্য গন্ধে অনেকটা পঁচা ডিমের মতো।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ হয়েছে :

( وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُوا..)

(আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও) [ সূরা আল মায়েদা:৬]

আলী রাযি. বলেছেন, ‘তুমি যদি সজোরে পানি নির্গত করো, তবে গোসল করো।’

(আবু দাউদ)

হাদীসে আরও এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘পানি তো পানির জন্য’(বর্ণনায় মুসলিম) অর্থাৎ বীর্যপাত হলে গোসল ফরজ হবে’।

সুতরাং যদি কেউ হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তার উপর গোসল ফরজ হয়ে যায়।তাকে পবিত্র হতে অবশ্যই ফরজ গোসল করতে হবে।কিন্তু যদি বীর্যপাত না হয় শুধু "মযি" বা "বীর্যরস" বের হয় তাহলে শুধু ওযু করলেই হবে।

‘আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন

তিনি বলেনঃ আমার অধিক মযী বের হত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা আমার স্ত্রী হবার কারনে আমি একজনকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালাম। তিনি প্রশ্ন করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উযূ কর এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেল।

(সহীহ বুখারি-২৬৯)

সুুতরাং সবেগে বীর্যপাত ঘটলে গোসল ফরজ হয়ে যায়।তাই হস্তমৈথুন করলে ফরজ গোসল করে পবিত্র হতে হয়।

ফরজ গোসলের নিয়ম অনুযায়ি যদি আপনি ফরজ গোসল না করেন তাহলে যদি সারা জীবন সমুদ্রেরও পানির মধ্যে ডুব দিতে থাকেন তবুও আপনি পবিত্র হবেন না।কারণ,সেটা নিয়ম মাফিক হয় নাই।

ফরজ গোসলের নিয়ম:-

ফরজ গোসলের ফরজ ৩ টি-

১.গড়-গড়াইয়া কুলি করা।

২.নকের নরম স্থানে পানি পৌঁছানো।

৩.সমস্ত শরীর ভালোভাবে ধোয়া।

অর্থ্যাৎ প্রথমে গড়-গড়াইয়া ৩বার কুলি করতে হবে।এরপর হাতে পানি নিয়ে ওযুর মতো নাকে ৩ বার পানি দিতে হবে, মানে নাক দিয়ে কিছুটা পানি টেনে তুলতে হবে এরপর তা ছেড়ে দিতে হবে।এরপর সমস্ত শরীর ভালোভাবে ধুতে হবে,মানে এমন ভাবে গোসল করতে হবে যাতে শরীরের বাহ্যিক কোন অংশই যেন ১ চুল পরিমাণও শুকনা না থাকে।নাহলে ফরজ গোসল সম্পন্ন হবে না।

এই ৩ টার মধ্যে কোন একটাও যদি ছুটে যায় বা পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা না হয়,তাহলে পবিত্র হবে না।সবচেয়ে ভালো।হয় গোসলের আগে নামাজের মতো ওযু করে নেওয়া।তবে ওযু শেষে পা ধুতে হবে একটু দূরে।অর্থ্যাৎ যেখানে বসে ওযু করেছেন সেখান থেকে ১ হাত বা ২-৩ কদম দূরে পা ধুতে হবে।

এছাড়াও গোসলের কিছু ওয়াজিবও আছে যেমন:-বিসমিল্লাহ বলে ডান হাতে পানি নিয়ে ওযু শুরু করা,গোসলের সসময়ডান পাশে ৩ বার পানি ঢালা এরপর বামপাশে ৩ বার,বীর্য বা নাপাকিটা ভালো করে ধুয়ে নেওয়া এরপর হাত মাটিতে ঘসে ধোয়া।

1
$ 0.00
Avatar for Imran25
3 years ago

Comments