ড Asadullahil Galib এর কভিড-১৯ ভাবনা আমাদের পথ দেখাতে পারে
==========================
আমি ডাঃ আসাদুল্লাহিল গালিব খুলনা মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
আমি, আমার স্ত্রী ডাক্তার মাকসুদা খানম, কন্যা তারান্নুম গালিব এবং খালা কমলা বেগম করনায় আক্রান্ত হই।
আমার অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ভেন্টিলেটর ছাড়া চিকিৎসার সব সাপোর্টই নিয়েছি।
তৃতীয় দিন মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। সেচুরেশন কমে যাওয়ায় মাঝে মাঝে অক্সিজেন নিচ্ছিলাম। জিহ্বাটা মনে হচ্ছিল আমার না। একটু স্বস্তি পাবার জন্য হাসফাস করছিলাম। এরই মাঝে একবার আধা মগ পানি গরম করে মগের মুখে হাত দিয়ে নাক মুখ দিয়ে যতটুকু সম্ভব গরম ভাপ নিতে থাকি। পানি একটু ঠান্ডা হয়ে আসলে চায়ের মত ধীরে ধীরে সময় নিয়ে পান করতে থাকি।
লক্ষ্য করলাম শ্বাসকষ্ট কমে যাচ্ছে এবং জিহ্বায় স্বাদও ফিরে আসছে। এভাবে ঘন্টা খানেক শ্বাসকষ্ট কম থাকছে জিহ্বার স্বাদও বজায় থাকছে। খেতেও পারছি।
এরপর থেকে আমি এবং বাসার অন্য সবাই এক ঘন্টা পরপর ভাপ নিতে থাকি। একইভাবে গরম পানিও খেতে থাকি।
একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার এবং আমার স্ত্রী ডাঃ মাকসুদার অবজারভেশন হচ্ছে যেহেতু করোনাভাইরাস নাক, মুখ ও ফুসফুসসহ শ্বাসতন্ত্রে (রেসপ্রিয়েটরী সিস্টেমে) থাকে সেজন্য রোগী মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভোগে। নিশ্বাস নিতে পারেনা। গরম পানির ভাপ নেয়া ও খাওয়ার ফলে এইসব জায়গায় ভাইরাসের মাত্রা বা ভাইরাল লোড কমে যায়। রোগী স্বস্তি পায়। হয়তো সংক্রমণ বা অসুস্থ্যতা থেকেও মুক্তি পায়।
করনাকালের লকডাউনসহ নানা কারনেই আমরা বাসায়ইতো বসে আছি। যার কাছে যা শুনছি তাই করছি। নানারকম টোটকা নিচ্ছি।
আমরা এখন যেমন সবাই হাত ধুচ্ছি বা হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করছি। ঠিক একইভাবে সারা দেশের সবাই যদি এক নাগাড়ে ১৪দিন একঘন্টা পরপর গরম ভাপ নেই এবং গরম পানি খাই তাহলে এই মহামারী থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ হতে পারে।
নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টি সবাইকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
0
13