স্বামী বাজারে গিয়ে স্ত্রীকে
ফোন করছে,
কিন্তু নাম্বার ওয়েটিং, স্বামী
বাসায় এসে
দরজার ওপাশ থেকে স্ত্রীকে
সালাম
দিলেন, তারপর জিজ্ঞাসা করলেন
কেমন
আছো??
স্ত্রী বলল ভাল, স্বামী বলল,
তোমায়
ফোন
করেছিলাম, কিন্তু নাম্বার
ওয়েটিং
ছিলো,
কোথায় কথা বলছিলে, স্ত্রী বলল
আমার
বান্ধবীর সাথে,
স্বামী বলল, আমার আল্লাহ
সুবহানাহু তায়ালা আদেশ করেছেন
সত্য বলার
জন্য, যদিও তোমার জীবন বিপন্ন
হয়ে
যায়,
আর বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে,
তখন
তাহার
মিথ্যা কথার দুর্গন্ধে ফেরেশতা ১
মাইল দূরে
চলে যায়। আর আল্লাহর রাসূল
বলেছেন,
আমার উম্মত কখনো মিথ্যাবাদী
হতে
পারেনা।
স্ত্রী কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলল,
আমার
এক
বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম,
স্বামী বলল দেখ
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা, স্বামী
স্ত্রীর
সম্পর্ক হালাল, আর তুমি যে ছেলের
সাথে
কথা বললে, এমন ছেলেদের সাথে
কথা
বলা
হারাম, তুমি কি জানো জান্নাত
কোথায়।
স্ত্রী বলল না,
স্বামী বলল, হুজুর পাক (সাঃ)
বলেছেন, জান্নাত তোমার দু উরু ও দু
চোয়ালের মধ্যেখানে, যে ব্যক্তি
এই
দুটি
জিনিসের হেফাজত করবে, সে
জান্নাতি।
স্বামী নামাজে দাঁড়ালেন,
নামাজ
শেষে
স্ত্রীর জন্য দোয়া করলেন, ইয়া
আল্লাহ
তুমি
যদি হযরত ওয়াশী( রাঃ)মতো কঠিন
হৃদয়ের
মানুষকে, দ্বীনের বুঝ দিতে পারো,
হযরত
উমার ফারুক (রাঃ) মতো কঠিন
মানুষকে
দ্বীনের বুঝ দিতে পারো, তাহলে
আমার
স্ত্রীকে ও তুমি হেদায়েত দাও,
তার
মাধ্যমে
আমাকে নেক্কার সন্তান দাও।
স্ত্রী স্বামীর মোনাজাত শুনে,
চিন্তা করলো
আমি যার সাথে কথা বলি সে তো,
এই
মানুষের জুতা টানার যোগ্যতা
নাই, সব
কিছু
জেনেও আমাকে এতোটা
ভালবাসে।
আর
নয়, আজই তওবা করবো, আর স্বামীর
পায়ে
ধরে ক্ষমা চাইবো।
গভীর রাতে স্ত্রী তার স্বামীর
পায়ে ধরে
ক্ষমা চাইছে, স্বামী বলছে, আমি
জানি তুমি
অবুঝ, তাই ভূল করেছো, আল্লাহ
তোমায়
হেফাজত করুন, স্বামী তাহার
স্ত্রীকে
বুকে
টেনে নিয়ে চোখের পানি ছেড়ে,
আল্লাহর
দরবারে
শুকরিয়া আদায় করলো।
আমাদের সমাজে আজকাল এমন
ছেলে
পাওয়াই কষ্টকর, আপনার স্ত্রী তো
আর
ফেরেশতা নয়,
তাহলে তার ভূল গুলো কেন
সুধরে নিতে পারেন না।
আল্লাহ্ সবার ভাগ্যে এমন নেককার
স্বামী স্ত্রী নসিব
করে দিও,
আমিন,,,,
দয়া করে পড়বেন 🙏🙏🙏🙏
আল্লাহুম্মা আমিন। হে আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করো।