শহিদের আগে নামাজি ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ

0 20
Avatar for Hossain628
4 years ago

শহীদের আগে নামাজীর বেহেশতে প্রবেশ

"হজরত আবু হোরায়রা (রা:) বলেন, কোন এক গোত্রের দুইজন সাহাবী একসাথে ইসলাম গ্রহণ করলেন। তারমধ্যে একজন সাহাবী জেহাদে অংশ নিয়ে শহীদ হন। অপরজন একবছর পরে ইন্তেকাল করেন। আমি স্বপ্নে দেখলাম এক বছর পরে যিনি ইন্তেকাল করলেন, তিনি শহীদের আগেই জান্নাতে প্রবেশ করলেন। এতে আমি অবাক হলাম এবং হুজুর (সা:) এর কাছে ঘটনা বললাম। হুজুর (সা:) জবাব দিলেন, যে ব্যক্তি পরে মারা গেল তার পুন্যের প্রতি কি তোমরা দেখতে পাওনা যে তা কত বেশি বৃদ্ধি পেয়ে গেল? পূর্ণ একটি রমজানের রোজা ও ছয়হাজারের বেশি নামাজের সওয়াব তার আমলনামায় বৃদ্ধি পেয়ে গেল। -( আহমাদ)

ফায়দা: বছরের সবকটি মাসই যদি ২৯ দিনে ধরা হয় এবং শুধু ফরজ ও বেতেরের বিশ রাকাত নামাজেরই হিসাব করা হয় তবু বছরে ছয়হাজার নয়শ ষাট রাকাত নামাজ হয়। আর যেসব মাস ত্রিশ দিনে হয় তাদের প্রত্যেকটিতে বিশ রাকাত করে অতিরিক্ত হবে। এর সাথে সুন্নত ও নফলের যোগ হলে তো হিসাবের অন্তই নাই। ইবনে মাজাহ গ্রন্থে হজরত তালহা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নিজেই স্বপ্নে দেখেন এক গোত্রে দুইজন ব্যাক্তি একসাথে ইসলাম গ্রহণ করেন। এদের মাঝে এক ব্যক্তি বীর যোদ্ধা ছিলেন, যিনি কোন যুদ্ধে শহীদ হন। অপর ব্যক্তি এক বছর পরে ইন্তেকাল করেন। আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি বেহেশতের দরজায় দাড়িয়ে রয়েছি আর ওই দুই লোকও সেখানে হাজির রয়েছেন। এমন সময় ভেতর থেকে এক লোক এসে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গেলেন যিনি এক বছর পরে ইন্তেকাল করেছেন। শহীদ ব্যক্তি দাড়িয়ে রইলেন। কিছুক্ষন পরে আরেকজন লোক এসে শহীদ ব্যক্তিকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিল। আর আমাকে বলল তোমার এখনো সময় হয়নি, তুমি ফিরে যাও। ভোরে আমি যখন লোকের কাছে স্বপ্নের কথা বললাম, সকলেই এতে বিস্মিত হল যে, শহীদ কেন পরে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি পেল। লোকেরা হুজুর (সা) এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা:)! যে ব্যক্তি বীর যোদ্ধা ছিল এবং যার শাহাদাতও নছীব হলো সে কেন পরে জান্নাতে প্রবেশ করল? উত্তরে হুজুর (সা:) বললেন, দেখ যে ব্যক্তি আগে জান্নাতে প্রবেশ করল সে কি এক বছর বেশি এবাদত করেনি? সবাই বললেন, অবশ্যই করেছে। হুজুর (সা:) আবার বললেন, সে কি পুরা রমজানের রোজা বেশি রাখেনি? সবাই বললেন, অবশ্যই রেখেছে। হুজুর (সা:) আবার বললেন, সে নামাজের ভিতর কি এত সেজদা করেনি? সবাই বললেন, অবশ্যই করেছে। হুজুর (সা:) বললেন তবে তো দুজনের মাঝে আকাশ পাতাল পার্থক্য হয়ে গেল। আবু দাউদ শরীফে অন্য দুইজন সাহাবীর কথা উল্লেখ আছে যাদের মৃত্যুর ব্যবধান ছিল মাত্র ৮দিনের , তবুও যিনি পরে মৃত্যুবরণ করেন তিনিই প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করেন। প্রকৃতপক্ষে আমরা কল্পনাও করতে পারি না যে, নামাজ কত বড় দৌলত। যাকে হুজুর (সা:) উনার চোখের শীতলতা ও তৃপ্তিদায়ক বলে আখ্যায়িত করেছেন তা কোন সাধারণ বস্তু হতে পারেনা। অন্য হাদিসে আছে, দুই ভাই ৪০ দিনের ব্যবধানে ইন্তেকাল করেন। যিনি প্রথম আমরা যান, সাহাবীগণ বুজুর্গ হিসাবে তাকে প্রাধান্য দিতে লাগলেন। হুজুর (সা:) উনাদেরকে প্রশ্ন করলেন, দ্বিতীয় ভাই কি মুসলমান ছিলেন না? সকলেই বললেন ,নিশ্চয়ই ছিলেন। তবে সাধারণ পর্যায়ের ছিলেন। হুজুর (সা:) উত্তর দিলেন, তোমাদের কি জানা আছে যে, উক্ত লোককে চল্লিশ দিনের এবাদত কোন পর্যায়ে পৌছে দিয়েছে? আসলেই নামাজ এমন একটি সুমিষ্ট গভীর নহরের সমতুল্য যা বাড়ির সামনেই প্রবাহিত এবং মানুষ এতে দৈনিক পাচবার গোছল করে, যাতে করে তার শরীরে কোন ময়লাই থাকতে পারে না। হুজুর (সা:) আবার বললেন, তোমাদের কি জানা আছে পরবর্তী নামাজগুলো তাকে কোন মর্যাদায় পৌছে দিয়েছে?

4
$ 0.00
Avatar for Hossain628
4 years ago

Comments