নামাজই সবচাইতে মুল্যবান

0 19
Avatar for Hossain628
3 years ago

নামাজই সবচাইতে মূল্যবান

" একজন সাহাবী বলছেন, আর যখন যুদ্ধে জয়লাভ করে খায়বার দুর্গ দখল করি। যার মধ্যে বিভিন্ন মাল ও যুদ্ধবন্দীও ছিল। অত:পর বেচাকেনা শুরু হয়ে গেল। এমন সময় একজন সাহাবী হুজুর (সা:) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা:)! আজকের ব্যবসায় আমি যত লাভ করেছি আর কারো ভাগ্যে তা সম্ভব হয়নি। হুজুর (সা:) বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা তুমি কত উপার্জন করেছ? সাহাবী বললেন এতে আমার তিনশ আওকিয়া অর্থাৎ আড়াই লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে। এটা শুনে হুজুর (সা:) বললেন, আমি কি তোমাকে সবচেয়ে লাভজনক জিনিস কি তা বলে দেব? সাহাবী বললেন, নিশ্চয়ই বলে দিন ইয়া রাসুলাল্লাহ। হুজুর (সা:) বললেন, ফরজ নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ। -(আবুদাউদ)"

ফায়দা: চল্লিশ দিরহামে এক আওকিয়া হয়, এবং বর্তমান বাংলাদেশী টাকার হিসাবে এক দিরহামে ২১ টাকার চেয়ে বেশি হয়। উক্ত হিসাব অনুসারে ঐ সাহাবীর প্রায় আড়াই লাখ টাকার উপরে লাভ হয়েছে। তবুও হুজুর (সা:) এই আড়াই লাখ টাকাকে দুই রাকাত নামাজের তুলনায় কোন লাভের মাঝেই গন্য করেননি। আসলে লাভ বলতে তাকেই বোঝায় যা অনাদি অনন্তকালের জন্য স্থায়ী হয়। আমাদের ঈমান ও বিশ্বাস যদি এরকম সুদৃঢ় হত তবে দুই রাকাত নামাজের কাছে আড়াই লাখ টাকার কোন মূল্যই থাকত না। প্রকৃতপক্ষে নামাজ আমাদের জন্য একটি মহাসম্পদ। এজন্যই হুজুর (সা:) নামাজকে উনার চক্ষুর শীতলতা ও তৃপ্তি বলে উল্লেখ করেছেন। এবং ওফাতের আগের মুহুর্তে যে শেষ উপদেশ দান করেন তাতেও নামাজের প্রতি যত্নবান থাকার উপদেশই দিয়েছেন। হজরত উম্মে সালমা (রা:) বলেন, অন্তিম শয্যায় যখন জবান মোবারক থেকে ঠিকভাবে শব্দও উচ্চারিত হচ্ছিলনা, তখনও আল্লাহর নবী (সা:) নামাজ ও গোলামদের হক্ব সম্পর্কে তাকীদ করে গেছেন। হজরত আলী (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, হুজুর (সা:) এর শেষ অছিয়ত ছিল নামাজ সম্পর্কে তাকীদ ও গোলামদের হক্ব সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করা।

হুজুর পাক (সা:) কোন এক উদ্দেশ্যে কয়েকজন সাহাবীকে নজদ অভিমুখে পাঠালেন। তারা অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর গনিমতের মাল সাথে করে বিজয়ীর বেশে মদিনায় ফিরে আসেন। অল্প সময়ের মধ্যে এতবড় সাফল্য দেখে লোকজনের মধ্যে বিস্ময়ের সঞ্চার হল। হুজুর পাক (সা:) বললেন, আমি তোমাদেরকে এর চেয়েও অল্প সময়ের মধ্যে এর চেয়েও বিস্ময়কর সাফল্যের কথা কি বলে দেব? তারা ঐসব লোক যারা জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায়ের পরে ওই স্থানে বসে থাকে এবং সুর্যোদয়েরও অনেকক্ষণ পরে দুই রাকাত এশরাকের নামাজ আদায় করে, তারা অতি অল্প সময়ে অধিক সম্পদ অর্জন করল। বিখ্যাত সুফী হজরত শাক্বিক বলখী (রহ:) বলেন, আমি পাচ জিনিস অনুসন্ধান করে পাচটি স্থানে পেয়েছি। ১- রুজির বরকত চাশতের নামাজে। ২-কবরের জ্যোতি তাহাজ্জুদের নামাজে। ৩- মনকির নাকীরের প্রশ্নের উত্তর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে। ৪-পুলছেরাত সহজে পার হওয়া যায় রোজা ও সদকার ভিতরে। ৫-এবং আরশের ছায়া পেয়েছি নির্জনতার মাঝে। -(নুজহাতুল মাজালেছ)

5
$ 0.00
Avatar for Hossain628
3 years ago

Comments