নামাজের ফজিলত (পর্ব ৮)
যে ব্যক্তি এখলাসের সহিত নামায পড়িবে এবং নামাযের আদব ও মুস্তাহাবসমূহের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া নামায আদায় করিবে, সে নিজেই না জানি কতবার তওবা ও এস্তেগফার করিবে। ইহা ছাড়া নামাযের মধ্যে আত্তাহিয়্যাতুর শেষে আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী-র মধ্যে তো খোদ তওবা ও ইস্তেগফার রহিয়াছেই।
এই সমস্ত রেওয়ায়াতে উত্তমরূপে ওযু করার জন্যও হুকুম করা হইয়াছে। যাহার অর্থ এই যে, ওযূর আদব ও মুস্তাহাবসমূহকে ভালভাবে জানিয়া যত্নসহকারে আমল করা।
উদাহরণ স্বরূপ- যেমন ওযূর একটি সুন্নত হইল মিসওয়াক, যাহার প্রতি সাধারন্তঃ গাফলতি করা হয়। অথচ হাদীস শরীফে বর্ণিত হইয়াছে, যে নামায মিসওয়াক করিয়া পড়া হয়, উহা ঐ নামায হইতে সত্তর গুন উত্তম যাহা বিনা মিসওয়াকে পড়া হয়। এক হাদীসে আছে, তোমরা মিসওয়াকের এহতেমাম করিতে থাক; ইহাতে দশটি উপকার আছেঃ ১. মুখ পরিষ্কার করে ২.আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির কারণ হয় ৩. শয়তানকে রাগান্বিত করে ৪. মিসওয়াককারীকে আল্লাহ তায়ালা মহব্বত করেন এবং ফেরেশতাগণও মহব্বত করেন ৫. দাঁতের মাড়ী মজবুত করে ৬. কফ দূর করে ৭. মুখে সুগন্ধি আনয়ন করে ৮. পিত্তরোগ দূর করে ৯. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ১০. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
সর্বোপরি মিসওয়াক করা সুন্নত। ওলামায়ে কেরাম লিখিয়াছেন, মিসওয়াকের এহতেমাম করার মধ্যে সত্তরটি উপকার আছে। তার মধ্যে একটি এই যে, মৃত্যুর সময় কালেমায়ে শাহাদত নসীব হয়। কিন্তু মিসওয়াকের বিপরীতে আফিম সেবনে সত্তর প্রকারের ক্ষতি রহিয়াছে। তার মধ্যে একটি এই যে, মৃত্যুর সময় কালেমা স্মরণ হয় না। উত্তমরুপে ওযু করার ফযীলতসমূহ বহু হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে। কেয়ামতের দিন ওযুর অঙ্গসমূহ উজ্জ্বল ও চমকদার হইবে এবং ইহার দ্বারা হুযুর (সঃ) সঙ্গে সঙ্গে আপন উম্মতকে চিনিতে পারিবেন
Nice post bi thanks for Islamic post keep uploading like this type of post iam support you make sure you support me Bro Iam subscribed you can u subscribe me