হযরত আবু সাঈ’দ খুদরী রদিয়াল্লহু আ’নহু এর পিতার ইন্তেকাল
হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু বর্ণনা করেন, আমাকে উদুহের যুদ্ধের জন্য পেশ করা হইল। আমার বয়স ছিল তের বছর। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কবুল করিলেন না। আমার পিতা সুপারিশও করিলেন যে, তাহার যথেষ্ট শক্তি আছে এবং হাড়ও মোটা আছে। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমার দিকে দৃষ্টি উঠাইতেছিলেন এবং নামাইতেছিলেন। অবশেষে অল্প বয়স্ক হওয়ার কারণে অনুমতি দিলেন না। আমার পিতা ঐ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিলেন এবং শহীদ হইয়া গেলেন। কোন ধন সম্পদ কিছুই ছিল না। আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে কিছু চাওয়ার উদ্দেশ্যে হাজির হইলাম। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখিয়া এরশাদ করিলেন, যে সবর করে আল্লহ তায়া’লা তাহাকে সবর দান করেন, যে আল্লহ তায়া’লার নিকট পবিত্রতা চায় করে আল্লহ তায়া’লা তাহাকে পবিত্র করিয়া দেন। আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম হইতে এই কথাগুলি শুনিয়া আর কিছু না চাহিয়াই চুপচাপ ফিরিয়া আসিলাম। ইহার পর আল্লহ তায়া’লা তাঁহাকে ঐ মর্যাদা দান করিলেন যে, কম বয়সের সাহাবীগণের মধ্যে তাঁহার মত বড় মর্তবার আলীম আরেকজন পাওয়া সুষ্কর বায়পার। (ইসাবাহ, ইস্তীআব)
সুবহানাল্লাহ, শিক্ষানিও হাদিস এটা, এই পোষ্টি করে আপনি খুব ভাল কাজ করেছেন। আপনি এই রকম আরো ইসলামি পোষ্ট করবেন। আমি আপনাকে সাবস্ক্রাইব করেদিছি। ভাল লাগলে আপনিও আমাকে সাবস্ক্রাইব করেদিয়েন।