শেষ_আদর (জীনের গল্প)
#raz_রাজ
পর্বঃ১
নাঈম ছাড়ো না প্লিজ।
হচ্ছে টা কি???
আগে কাপড় গুলো তো বদলে নি!
তুমি এভাবে কাছে টানছো যেনো আমি প্রথম বারের মতো তোমার কাছাকাছি আছি!
আজব!!
তাছাড়া, কাগজে কলমে এবং ধর্মীয় ভাবে আমি তো তোমারই।
এবং,
তোমার বউ তো পুরনো হয়ে গেছে!!
নাঈম বলেঃ মিম,তুমি আমার কাছে সবসময় নতুন। তোমার মাঝে আমি হারিয়ে যেতে চাই।হারিয়ে যেতে চাই মিমের মাঝে।
তুমি সবসময় আমার কাছে নতুনত্ব হয়ে ধরা দাও।
মিম বলেঃআচ্ছা বুঝতে পারছি।
এবার একটু জায়গা দাও ওয়াশরুমের মধ্যে যাবো।
নাঈম তো নাছোড় বান্দা।মিমের কথা কানে তোলে নি।মিমের পিছু নিলো।
তখনই,
মিম বলেঃ
আরে আরে ওয়াশরুমের মধ্যে কেনো চলে আসলে??
আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি তো??
একটু অপেক্ষা করো!!
নাঈম তার বউ মিম এর কোন কথা শুনে নি।ওয়াশরুমের মাঝে গিয়ে দরজা টা বন্ধ করে দেয় সাথে ঝর্ণাটা ও ছেড়ে দেয়। মিমের সারা শরীর ভিজে গেছে। নাঈম ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে মিমের দিকে।নাঈম ডুবে যাচ্ছে মিমের মাঝে। মিম ও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি নাঈম থেকে। দুজন ডুবে যাচ্ছে দুজনার মাঝে।
আজকে নাঈম ও মিমের বিয়ের ১ বছর পূর্ণ হলো। মিম অনেক খুশি তাদের বিয়ে হওয়াতে। নাঈমের সাথে তার বিয়ে টা ভালোবেসে হয়ে ছিলো। একটু আগে তারা পার্টি থেকে এসেছে। নাঈম পার্টির কাপড় গুলো খোলে ফ্রেশ হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে পারছে না। তাই মিমের সাথে ওয়াশরুমের মধ্যে প্রবেশ করে ।
আজকে অবশ্য পার্টি টা তাদের জন্য ছিলো। আজ তাদের বিবাহ বার্ষিকি উপলক্ষে।
দুজন মিলে পার্টি করেছে ।মিম আজ অনেক সুন্দর করে শাড়ি পড়েছে। খুব সুন্দর লাগছে মিম কে।
নাঈম কে তো ভয়ংকর হ্যান্টসাম লাগছিলো। মিম তো চোখ জোড়া সরাতেই পারছিলো না তার বরের থেকে।
হঠাৎ করে, নাঈমের মাথা টা হাল্কা করে ধাক্কা খেয়ে পড়ে ঝর্ণাতে।নাঈম একটা টেডি হাসি দেয়।
মিম বলেঃ ইস আমার বর টা এমন কেনো!
রুমে প্রবেশ করার জন্য সময় টুকুন দিচ্ছে না। এখন কেমন লাগছে ওয়াশরুমে মধ্যে রোমাঞ্চ?? ব্যথা পেলে তো,!!!
নাঈম বলেঃ আহা মিষ্টি বউ।ব্যথা পাইনি মাথা তে।
তাছাড়া কি করবো!
আজকে যে তোমাকে দেখে আমার বাসর রাত করার শখ জাগছে।
এতো ভয়াবহ সুন্দর লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।
মিমের মুখ লাল হয়ে গেছে লজ্জায়। মিম আলতো করে নাঈমের মাথা তে স্পর্শ করে দেয়।
মিম বলেঃ ভালোবাসবা তো আজীবন এমন করে?
কখনো আমাকে এড়িয়ে যেওনা!
কখনো বিশ্বাস ঘাতক করো না।
নাঈম বলেঃ এসব আমি কল্পনা ও করতে পারি না।
ভালোবাসা গুলো কখনো ফুরিয়ে যায় না। ভালোবাসতে জানলে সময়ের সাথে সাথে ভালোবাসা নতুন ভাবে আমাদের কাছে ধরা পড়ে।
মিম তার ঠোঁট জোড়া ডুবিয়ে দিল নাঈমের ঠোঁটের মধ্যে। নাঈম উন্মাদ হয়ে ভালোবাসার পরশে ভরিয়ে দিচ্ছে মিমের সারা শরীর জুড়ে।
দুজনেই হুশ হারিয়ে ফেলে। তাদের মনে ছিলো না তারা যে ওয়াশরুমের মধ্যে।
বেশ কিছুক্ষণ পর, মিমের মোবাইলে কল আসে। তখন দুজনের মাঝে হুঁশ ফিরে আসে।
নাঈম তার বউ কে কোলে তুলে রুমে প্রবেশ করে। এবং মিমকে বিছানার উপর নিয়ে আসে। খুব যত্ন করে মিমের শরীর মুছে দিচ্ছে।
মিম তাকিয়ে আছে তার বরের দিকে। মানুষ টা বড্ড আগলে রাখে মিম কে।
এতো যত্ন। যেমনটা ভালোবাসা দেখিয়েছে বিয়ের আগে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা দিচ্ছে এখন।
মিম কাপড় পড়ে নিয়েছে।নাঈম ও কাপড় পড়ে নেয়। নাঈমের ঘুম আসে না মিম কে জড়িয়ে না ধরলে।মিমকে জড়িয়ে ধরে নাঈম ঘুমিয়ে পড়লো।
নাঈম সকালে উঠে অফিসে চলে গেল। মিম আজ বড্ড দেরি করে ঘুম থেকে উঠে। কখনো এতো দেরি করে নি।
মিমের মাথা টা চক্কর দিচ্ছে। সারাদিন শুয়ে ছিলো। কিছু ভালো লাগছে না তার।নাঈম কল করে ছিলো রিসিভ করে কথা বলেছে।
তবে আজ কেনো জানি তার নাঈম কে বিরক্ত লাগছে??
কখন যে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে মিম বুঝতে পারে নি। সারা ঘর অন্ধকার করে রেখেছে।আজ মিমের অন্ধকার ভালো লাগছে।
দূরে গাড়ির হর্ন শুনতে পেল মিম।নাঈম এসে পড়েছে। তাও মিম যেভাবে ছিলো সেভাবে বসে আছে।
নাঈম ঘরে প্রবেশ করে, ঘরে অন্ধকার। বেশ কয়েক বার মিম কে ডাক দেই কিন্তু কোন সাড়াও মিলছে না।
নাঈম নিজের রুমে প্রবেশ করে। নাঈম দেখে বেলকনিতে মিম বসে আছে। চুল গুলো খোলা রেখেছে। আজ বড্ড অগোছালো লাগলো মিম কে।
নাঈম এসে মিম কে খাইয়ে দেয়। মিম ঘুমিয়ে পড়লো। তবে নাঈম লক্ষ্য করছে, মিম বেশ কয়েক বার ঘুম থেকে উঠে পড়েছে।নাঈম সকালে অফিসে চলে গেল। মিম আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটতে চলে গেল তার বান্ধবী তিশার সঙ্গে।
মিম আজ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে আসে। হাটতে ভালো লাগছে না তাই বাসায় ফিরে আসে সাথে তিশা ও ফিরে আসে।তিশা নিজের ঘরে চলে গেল। এবং,
মিম বাসায় ফিরে নিজের রুমে প্রবেশ করে।
মিম নিজের রুমে প্রবেশ করে অবাক হয়ে গেছে। কি দেখলো সে?
কাল যে কথা গুলো বলেছে, সে কথার কি হবে?
সে কথা গুলো কি তাহলে মূল্যাহীন!!!
মিমের মাথা টা চক্কর দিয়ে উঠে।
মিম,
কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছে না!
কি হচ্ছে এগুলো?
কি দেখছে এসব?
মিমের আর দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি ছিলো না। সাথে সাথে ড্রয়িং রুমে চলে আসে। মিম বসে আছে। অপেক্ষা করছে, নাঈমের জন্য। কিন্তু নাঈম আজ রুম থেকে বেরিয়ে আসতে দেরি করছে।
মিম অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো। মিমের চোখ জোড়া খুলে রাতে। মিম বুঝতে পারছে না সে এতোটা সময় ধরে কেমনে ঘুমালো।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত গভীর রাত হয়ে গেছে। নাঈম বাসায় ফিরে আসে।
মিম বসে আছে নাঈমের সামনে। নিরবতা ভেঙ্গে মিম বলেঃ......
চলবে.....
**কি মনে হয় মিম কি দেখেছে?
মিম কি বলবে?
কি ঘটেছে সুখী দাম্পত্য জীবনের মাঝে??
কমেন্ট করে বলেন!!!!
দেখি সবার কি মনে হয়?
****
আরেকটা কথা,
যদি গল্পতে সাড়া পাই তাহলে পরবর্তী লিখবো।ভালো না লাগলে জানাবেন পরবর্তী লিখবো না।