আসুন আজকে একটা ছেলের ভুতুরে অভিঙ্গতার গল্প করি আপনাদের সাথে।
চলুন শুরু করা যাক-
একটা ছেলে, তার নাম রফিক। ছেলেটা বেশ চন্চল,আবার দুষ্টও বলা চলে।গ্রামে সারাক্ষন বন্ধুদের সাথে ছুটে চলে। বাবা মায়ের ছোটো ছেলে সে।মা-বাবাও তাকে খুব ভালোবাস। আবার শাসনও করে সবসময়।ছেলের দুষ্টমির জন্য তারা খুবই অতিষ্ট।
হিন্দু ধর্মাবলীদের প্রথামত অমাবস্যার রাত হচ্ছে চোরদের সায়িত করার রাত।তারা নাকি সামান্য কিছু হইলেও এই রাতে চুরি করে।এই কথাটা রফিক জানতে পেরেছে।তার মাথায় এখন দুষ্টু বুদ্ধি খেলেছে।সেও ঠিক করেছে আজকে চুরি করবে।কিন্তু কি চুরি করবে তা বুঝতে পারছিল না। তাই সে সব বন্ধুদের বলেছে রাতে তৈরি থাকতে।আজ রাতে তারা কলা চুরি করবে।
এখন কথামতো সবাই রাতে একসাথে বেরিয়ে এসেছে।পাশের গ্রামের এক লোকের গাছ থেকে এক ছরি কলা পেরে নিয়ে এসে বাসায় রেখে দিয়েছে সে।এখন পরের দিন সেই লোক রফিকের বাসায় আসে।নালিশ দেয় বাড়িতে তার নামে।রফিক ছিল এই চুরির লিডার।সে এখন ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।কোথাও কেউ খুঁজে পাচ্ছেনা তাকে।
যাক অবশেষে সে বাসায় ফিরে এসেছে। কেউ আর তাকে শ্বাসন করেনি।সে মহাবিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে।এখন তার উচ্চ শিক্ষা নিতে হবে। এইজন্য রফিককে শহরে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছে।এখন গ্রামের মায়া ছেরে তাকে শহরে যেতে হবে।শহরে এসে তার নন ভালো লাগে না।তবুও অনেক বন্ধু বানিয়ে নিয়েছে এখানে।
একসাথে তারা পাঁচ জন একই ঘরে থাকে। সবাই মিলেমিশে বেশ ভালোই রয়েছে।একদিন সে একাকি বাইরে গেলো ঘুরতে। হঠাৎ সে খেয়াল করল একটা লোকের পা ঠিক ঘোড়ার খুরের মতো।সে খুব ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল ওখন থেকে। এরপর আশেপাশের আরো কয়েকজনের পা সে এমন দেখে খুব ভয় পেয়ে গেল।এবার দ্রুত বাসায় ফেরার জন্য সে একটা রিক্সায় উঠলো।সাহস করে রিক্সাওয়ালাকে সে তার ভয়ের কারণ জানালো।এবার রিক্সা চালক রফিককে তার নিজের পা দেখিয়ে বলল দেখুনতো ভাই আমার পায়ের মতো কিনা।এবার সে বেশি ভয় পেল।একই পা।তবুও তাকে কিছু না বলে সে বাসায় চলে এলো।
এবার সে ভয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসে।এসে বলে এই শহরের সবাই পরি আমি আর ফিরব না এই শহরে।বাড়ির সবাই বুঝিয়ে আবার তাকে পাঠিয়ে দেয় সেই শহরে। শহরে এসে আবার পড়াশোনায় মন দেয় সে।এখন তার ঘুম পাচ্ছে তায় সে শুয়ে পরেছে।আর এক বন্ধুকে বলেছে লাইট বন্ধ করতে।রফিকের ঘুমের ঘোরে মনে হইল লম্বা একটা ছায়া দেখেছে।কিন্তু তেমন কোনো মনোযোগ দেয়নি সে।পরের দিন রাতে রফিক জেগে ছি। সবাই ঘুমিয়েছে আর একটা ছেলে জেগে ছিল।রফিক ছেলেটাকে লাইট বন্ধ করতে বললে ছেলেটি হাতটা সাত হাত মতো লম্বা করে লাইটটি বন্ধ করে দিল।এইটা দেখে রফিকতো অনেক ভয় পেয়ে গেল।ছেলেটি রফিকের কাছে অনুরোধ করল অন্যদেরকে ব্যাপারটা না জানাতে।
সেই রাত অনেক কষ্টে কাটিয়েছিল রফিক।তবে পরের দিন সকাল থেকে আর কেউ ছেলেটিকে দেখতে পায়নি।
ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন।
#ঘরে থাকুন
#সুস্থ থাকুন।
amar kache voutik golpo onek valo lage..asha korchi amon golpo aro share korben..