হ্যালো বন্ধুরা।কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আল্লাহ তা'আলার অশেষ রহমতে ভালো আছি।
বেশ কিছুদিন ব্যক্তিগত কিছু কারণে আপনাদের মাঝে আসতে পারিনি আমি।তবে আপনাদের সবাইকে অনেক মিস করেছি আমি।এই সাইট টা একটা ভালোবাসার জায়গা আমার কাছে। রিড.ক্যাশ এই সাইট টাকে অল্প দিনেই অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।
অনেক দিনের বিরতির পর ভাবলাম ভালোবাসা নিয়েই লেখাটা শুরু করি।তবে আমার আজকের গল্পটা একটা অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প।যে ভালোবাসাটি কখনো পরিণতি পাইনি আর ভবিষ্যতেও পাবে না।তবে ভালোবাসাতো ভালোবাসাই যা কখনো ফুরিয়ে যায় না,কিছু পরিস্থিতির কারণে শুধু আড়ালে থেকে যায় ভালোবাসা।
★চলুন তবে শুরু করা
গল্পটা একটা ছেলে আর একটা মেয়ের।তারা দুজনেই ছোটোবেলা থেকেই একসাথেই বড় হয়েছে।এমনকি তারা পড়াশোনাও করেছে একসাথেই।গল্পটা আসলে ছেলেটাকে নিয়েই প্রধানত।ছেলেটা প্রথম থেকেই মেয়েটাকে ভালোবাসত।আসুন ছেলেটার ভালোবাসার গল্প শুরু করার আগে তার স্বভাব সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেই।
ছেলেটা ছিল খুব চন্চল এবং হাসি-খুশি।তার জীবনে ছোটোবেলা থেকেই অনেক কষ্ট।পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে অনেকবার তার মনোবল ভাঙতে চেয়েছে কিন্তু সে তার মনোবল কখনো ভাঙতে দেয় নি।সবসময় শক্ত করে হাল ধরে রেখেছিল সে।একটু শান্তি পাওয়ার জন্য সে জীবনে অনেক কিছু করেছে।তবে সব কষ্ট বুকে চেপে রেখে সকল মানুষের সামনে হাসি-খুশি থাকতো সবসময় আর সবাইকে হাসানোর চেষ্টা করত। মজা করতো সবার সাথে।বন্ধুদের সাথেও ছেলেটা অটুট সম্পর্কের বন্ধনে বাধাঁ ছিল।বন্ধুদের সকল সুখে-দুঃখে সবার পাশেই থাকতো সে।
ছেলেটা মেয়েটিকে খুব ভালোবাসত।অনেকবার বলার চেষ্টা করেছে তার অনুভূতিটা।সবসময় যেখানে সেখানে সবার সামনেই বলতো ভালোবাসার কথা।কিন্তু ছেলেটা সবার সাথেই এই একই কথা বলে।সবাই মজা ভেবেই তাকে কিছু বলে না।আর ছেলেটার কথাগুলো সিরিয়াসভাবে না নেওয়ার জন্যই ছেলেটা তার আসল ভালোবাসাটাকে হারায়।
অনেকবার বলার চেষ্টা করেছে ছেলেটা মেয়েটাকে তার মনের কথা।আচ্ছা, ছেলেটা আর মেয়েটা এভাবে আর কতক্ষণ বলি বলুনতো আপনারা।তাদের একটা রুপক নাম দেই তবে, মনে করুন ছেলেটার নাম অপু আর মেয়েটার নাম হৈমন্তী।অপু চেষ্টা করেছিল অনেকবার হৈমন্তী কে তার মনের কথা বলার,তাকে বিশ্বাস করানোর যে অপুর প্রথম ভালোবাসাটাই হচ্ছে হৈমন্তী আর সত্যিই সে তাকে অনেক ভালোবাসে।অপুর বন্ধুরা অপুকে বারবার বলেছিল তোর মনের কথাটা ওকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা কর।আলাদাভাবে ডেকে তোর মনের কথাটা জানা।কিন্তু আলাদাভাবে বলার মতো সাহস তৈরি করতে পারেনি কখনো অপু।খুব ভয় পেত অপু হৈমন্তীকে।
এখন অপুর মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।সে যখন নিজে জানাইতে পারছেনা এবার তার দাদিকে বলবে তার হয়ে মেয়েটার কাছে প্রস্তাব রাখতে।যথারীতি সে তার দাদিকে গিয়ে জানালো তার মনের কথা।দাদী নাতির কথা চিন্তা করে তার মুখের উপর আর কিছু বলল না।অপুর দাদি একবার শুধু গিয়ে মেয়েটিকে বলল আমার নাতি এসব কি বলছে আমাকে!!হৈমন্তী স্বভাবতই উত্তর দিল যে অপু মজা করেছে।সবসময় ই অপু এমন মজাই করে।অপুর দাদিও একই কথা বলে ওখান থেকে বিদায় নিল।
এবার বাড়ি ফেরার পর যখন নাতি তার উত্তর জানতে চাইল তখন অপর দাদি তাকে অনেক কিছু বুঝাইল।হৈমন্তী নাকি অপুর নামে অনেক খারাপ কথা বলেছে।কখনোই এমন কিছু হবেনা এসব বলেছে।আরো বলেছে হৈমন্তী অপুকে তার পরিবারকে গরীব বলেছে।গরীবদের সাথে কোনো সম্পর্কে জরাবে না এসব বুঝিয়েছে।অপু অনেক কষ্ট পেয়েছে,তবুও কখনো নিজের মুখে কিছুই শিকার করেনি হৈমন্তীর কাছে।তাদের জীবনের মোড় ঘুরে গেল।দিন দিন তাদের জীবন জটিল হয়ে গেল।তাদের রাস্তা এবার আলাদা হয়ে গেল।
বহু বছর পর তাদের আবার কথা বলা শুরু হল।অপু বাসায় না জানিয়েই তাদেরই আরেক বান্ধবীকে বিয়ে করেছে।কাউকেই বলেনি গোপন রেখেছি ব্যাপারটি।এবার অপু তার মনের কথাটা হৈমন্তীকে বলে দিয়েছে।আর একটাই অনুরোধ করেছে যে,এবার আমার কথাটাকে বিশ্বাস কর হৈমন্তী তুই,আমি কোনো মজা করিনি তোর সাথে।হৈমন্তী এবার আসলেই একটু মন থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে।সেওতো সত্যিই পছন্দ করতো অপুকে, কিন্তু যদি মজা হয় এই ভয়ে কখনো বিশ্বাস করতে পারে নি কথাটা।হৈমন্তী ভাবতে থাকে যদি বিশ্বাস করতে পারতো তবে তার জীবনটা সত্যিই একটু অন্যরকম হতো।কিন্তু দুজনেরই এখন মনের মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও আর এক হয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নায়।হৈমন্তী ও যে এখন অন্যকাউকে ভালোবাসে।আর অপুও যে এখন বিবাহিত।
তাদের বন্ধুত্ব চিরদিন এর জন্য অটুট হয়ে থাকবে আর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।ভালোবাসা রয়ে যাবে মনের এক কোণে।
গল্পটা কেমন লেগেছে আপনাদের, অবশ্যই তা কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
Onak sundor akta golpo likhachan valobasa sotti khub odvut