আজকে এক প্রেমিক যুগলের গল্প করব আপনাদের সাথে। ছেলেটার নাম আজ্জু আর মেয়েটার নাম গুপি।ছেলেটার বাড়িতে সবাই আছে। তবে তার বাবা দুটো বিয়ে করেছে।সে ছোটো পক্ষের সন্তান তবে বাড়ির বড় ছেলে।আর তার সৎমা বাড়ির বড় বউ কিন্তু তার ছেলে আজ্জুর চাইতে বয়সে ছোট।আর গুপি একটা এতিম মেয়ে তার মা -বাবা কেউ নেই।
এখন বলি আজ্জুকে কিন্তু বাড়িতে সবাই আরইয়ান বলেই ডাকে।আজ্জু ছিল তার ডাকনাম। তার দাদা যতদিন বেচে ছিল শুধু ততোদিনই তাকে এই নামে ডাকা হইত।এরপর বাড়ির সবাই তাকে আরইয়ান নামেই ডাকত।আর এখনও এই নামেই ডাকে।
এখন সমস্যাটা হচ্ছে আরইয়ান এর সৎমা সবার সামনে দেখাই তিনি খুব ভালো আর আরইয়ানকেউ তিনি খুব ভালোবাসেন।কিন্তু ব্যাস্তবে তিনি চান যে আরইয়ান মারা যাক আর তাদের সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে তার নিজের ছেলে রোহান।কিন্তু রোহান ছেলেটা সত্যিই অনেক ভালো।আর সবাইকে বেশ ভালোবাসে।
এখন আরইয়ানের সৎমা আরইয়ানকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলো।আর আগেই কিছু গুন্ডাদের ঠিক করে রেখেছিল। তাদেরকে বলেছিল আরিয়ানকে কিডনাপ করে দূরে একটা গ্রামে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলতে। গুন্ডাগুলোও কথামতো আরিয়ানকে দুরে একটা গ্রামে এনে বেধে রাখল।এ গ্রামেই থাকে গুপি নামের এতিম মেয়েটি।
গুপি হঠাৎ দেখলো অন্ধকার ঘরে একটা ছেলে কাঁদছিলো।গুপি লুকিয়ে ঘরের ভেতরে ঢোকে এবং আজ্জুর থেকে সব শোনে ওকে নিয়ে ওখান থেকে পালিয়ে আসে।গুন্ডারা জেনে গেছে, এখন সবজায়গায় আজ্জুকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।এখন আজ্জুর প্রচুর খিদে পেয়েছে। কারোরই কাছে কোনো টাকা নেই কি করবে বুঝে ওঠতে পারছিল না।তবু একটা দোকানে গিয়ে আজ্জু আর গুপি পেটভরে পরোটা খেয়েছে।এবারতো টাকা দেওয়ার পালা।এখন তারা কি করবে ভাবছে!!এমন সময় গুপি আজ্জুকে নিয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেলো। দোকানদার দৌড় দিয়েও ওদেরকে ধরতে পারল না।
এবার আজ্জুকে গুপির বাড়ি ফেরানের পালা। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এবার আজ্জুকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে গুপি। বাড়ির সবাইতো খুব খুশি আরইয়ানকে ফিরে পেয়ে কিন্তু আরইয়ানের সৎমা খুশি হয়নি। গুপিকে একটা এতিমখানায় রাখা হয়।ওখান থেকে একটা ভালো পরিবার তাকে দত্তক নেয়।আর তার নতুন নাম দেয় মৈথিলী। দু'জন দুজনকে হারিয়ে ফেলে তবে ভুলে যায়না। খুঁজে বেড়াই এখনো।
অনেকদিন পর একটা বিয়েবাড়িতে আসে দুজনই।কিন্তু কেউ কাউকে চেনে না।তবে তারা তাদের দুজনের উপস্থিতিই বুঝতে পারে।তবে আরইয়ান একটু ভুল বোঝে।সে ভাবে মৈথিলীর ছোটবোন ফারহাই হচ্ছে তার ছোটবেলার গুপি।আর তাই সে ফারহাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে যায়।কিন্তু ফারহা জানতো আজ্জু গুপির ভালোবাসার গল্প।তাই সে বিয়ের দিন পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে।আরইয়ান খুব ভেঙে পরে আর ফারহাকে খুঁজতে থাকে।এরমধ্যে বাড়ির লোকজন সব জেনে যায় আর মৈথিলীর সাথে আরইয়ানের বিয়েটা একরকম জোর করে দিয়ে দেয়।
বিয়েটা জোর করে হলেও তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তবে আরইয়ান এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছে তার গুপিকে।তবে এরমধ্যে অনেক কিছু ঘটে যায় তাদের জীবনে। হঠাৎ করে একদিন মৈথিলি আরইয়ানদের পরিবারের ছবির এ্যালবাম দেখতে পায় আর আরইয়ানের ছোটোবেলার ছবি দেখে।এবার গুপিকে জানতে হবে ছবির এই ছোটো ছেলেটা আসলে এ বাড়ির কে? সে তার ছোট ননদকে জিঙ্গেস করলে সে বলে এইটা আরইয়ান ভাইয়ার ছবি।এইটা শোনে গুপি খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু এখনো আরইয়ানকে বলতে পারেনি যে মৈথিলী ই তার গুপি।
আরইয়ানের সৎমা সব জেনে গেছে।তিনি চান না আরইয়ান আর মৈথিলী এক হয়ে যাক। এখন মৈথিলী ভাবছে কিভাবে জানাবে আরইয়ানকে?আর আরইয়ানের সৎমা তো বাঁধা সৃষ্টি করেই যাচ্ছে দুজনের মধ্যে। তবু্ও সব বাঁধা পেরিয়ে এবার আরইয়ানকে মৈথিলী বলে দিয়েছে আমিই তোমার গুপি।
অবিশ্বাস্য হইলেও এইটাই সত্যি। ভালোবাসা কখনো হারায় না।তাকে খুঁজে নিতে হয়।
Sundor akti golpo valobasa jodi sothi hoy tahole sob kisuk har manay valobasa kono badha mane na