আজকে একটা ভালোবাসার গল্প শোনাতে চায় আপনাদেরকে।যদিও গল্পের শেষটা খুব কষ্টের তবুও আশা করছি ভালো লাগবে আপনাদের।
আজকে দুই প্রেমিক যুগলের গল্প বলতে চাই আমি।
ছেলেটার নাম রবিন আর মেয়েটার নাম অনুরাধা।তারা দুজন একই স্কুলে পড়ত। ছেলেটা প্রথম থেকেই মেয়েটাকে ভালোবাসত। কিন্তু কখনো মেয়েটাকে বলার সাহস করে উঠতে পারেনি ভয়ে।কারণ মেয়েটির পরিবার অনেক বিত্তশালী আর রাজনৈতিক পরিবার হওয়ায় এলাকার সবাই খুব ভয় পাই তাদেরকে।
অনুরাধাও রবিনের ছোটো ছোটো খুনসুট, পাগলামি খুব ভালোবাসে।কিন্তু কখনো বলতে পারে নি।
তাদের খুনসুটি এভাবেই চলতে থাকল।
কিন্তু একদিন অনুরাধার ভাইয়েরা সব ঘটনা জানতে পেরে বাড়িতে গিয়ে সবাইকে বলে দিল।অনুরাধার বাবা মিথ্যা মামলায় রবিনকে থানায় বন্ধ করে রেখে দিল।
অনুরাধা জানতে পারল তার বাবা রবিনকে গুলি করে মেরে ফেলবে।এইটা শুনে সে থানায় গিয়ে রবিনকে নিয়ে পালিয়ে গেল। তার বাড়ির লোক তাদেরকে খোঁজে পেল না আর।
অনুরাধা আর রবিন দুরে গিয়ে বিয়ে করে নিজেদের নতুন সংসার পেতেছে। দুইজন দুই কোম্পানিতে চাকুরী করছে।তিন বছর পর তাদের সংসারে নতুন মেহমান এসেছ। তাদের ফুটফুটে একটা ছেলে হয়েছে।
অনুরাধার ভাইয়েরা জেনে গেছে এদের নতুন ঠিকানা।ওরা অনেক উপহার নিয়ে এসে হাজির হয় অনুরাধাদের নতুন বাড়িতে।এসে ভাগ্নেকে কোলে নেয় আর বলে বাবা সব মেনে নিয়েছ। তোদেরকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছে।এই বলে অনুরাধাকে আলাদা করে ওদের গাড়িতে নেয় আর রবিন আর তাদের ছেলেকে অন্য গাড়িতে দেয়।
কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর একটা বড় ট্রাক এসে রবিনদের গাড়িটাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।বাবা ছেলে দুজনই মারা যায়।
অনুরাধা কাঁদতে কাঁদতে ছোটে যায় তাদের কাছে,,,,,
Interesting 🥰