আল্লাহ তা’আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ । কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আল্লাহ তা’আলা নামাজের হিসাব নিবেন। নামাজ না পড়া জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। তাইতো রাসূল সা. বলেছেন, ইচ্ছাকৃত নামাজ পরিত্যাগ কারী জাহান্নামী কারণ ইচ্ছাকৃত নামাজ পরিত্যাগ কারা কুফুরী। নামাজ একটি ফরজ এবাদত , এই ফরজ এবাদত আল্লাহর রাসূল সা. এর তরিকায় আদায় করতে হবে। কিন্তু দুক্ষজনক হলো মুসলমানরা ইচ্ছাকৃতভাবে আজকে নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ এবাদতকে ছেড়ে দিচ্ছে আর যারা নামাজ পড়ে তারাও নিজেদের মন মত নামাজ আদায় করে থাকে। সহীহ তরিকা শিখার চেষ্টাও করে না । অথচ রাসূল সা. বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যারা সুন্দরভাবে আদায় করে আল্লাহ তা’আলা তাকে পাঁচটি বিশেষ পুরুস্কার দান করে সম্মানিত করবেন।
(১) তার থেকে মৃত্যুও কষ্ট দূর করে দিবেন।
(২) কবরের শাস্তি থেকে তাকে মাফ করে দিবেন।
(৩) কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে ডান হাতে আমালনামা দান করবেন।
(৪) বিদ্যুাতের গতিতে ফুলসীরাত পার করবেন।
(৫) বিনা হিসাবে জান্নাত দান করবেন।
অতএব সহীহ তরিকায় নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা শিখে নেওযা জরুরী। রাসূল (সা) কে আল্লাহ তা’আলা জিব্রাইল (আ) এর মাধ্যমে সহীহ তরিকার নামাজ পড়া শিখিয়েছেন। আর রাসূল (সা) নিজেওহযরত জিব্রাইল (আ) এর দেখানো তরিকায়ই সব সময় নামাজ পড়তেন । কারণ এটিই ছিল আল্লাহ তা’আলার শিখানো তরিকা। হযরত সাহাবায়ে কেরাম (রা) রাসূল (সা) কে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছেন ঠিক সেভাবেই তারা নামাজ আদায় করেছেন। কারণ এটাই নামাজের বিশুদ্ধ তরিকা। সম্মানিত পাঠক আসুন কিভাবে সহীহ তরিকায় নামাজ আদায় করতে হয় তা আমরা জেনে নেই।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সুন্নতি তরিকায় সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন আমিন।
Very nice and important for our life