দাদার খুব পরিচিত সেই ভরাট কন্ঠে , অনেকদিন পর গাওয়ালার প্রিয় গানটা শুনতে শুনতে অন্যমনে খেয়াল উড়িয়ে দিয়েছিলাম আমি ।হঠাৎ দাদা গানটা থামিয়ে দিল , হয়তো আমাকেও তার সাথে সুরটা ধরতে বলছে ।অথবা ,হয়তো দাদা ভাবছে- গানের শেষ স্তবকটা তার জন্যে না , শুধুই আমার জন্যে ।তাই আমিও পথের জলসায় হঠাৎ সুযোগ কুড়িয়ে পেয়ে ভাঙা গলায় গাইতে শুরু করলাম সেই গানের শেষটা-
অথবা যে আজ নি:শব্দ / সশব্দে ফেটে যাবে কাল সে,
ভুলে যাবে চোখে আছে চশমা / ভুলে যাবে চোখে আছে চালশে।
আজকে যে শিষ দিয়ে গান গায় / যেনো গান গেয়ে উঠে কাল সে,
চোখ থেকে খুলে নিয়ে চশমা / মন থেকে মুছে দিয়ে চালশে----।।।
-তা শুভ , আমার কথা তো অনেক শুনলি , এবার তোর কথা বল , তোর খবর শুনি ।
-আজ না দাদা , আরেকদিন ।আমার গল্পটা না হয় অন্য কোন একদিন শুনবে , একটা না-মানুষের গল্প। ঠিক যেমন করে মুখুজ্যে (শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়) বলেছিল , ঠিক তেমনি করে , সেই গল্পটায় আমি আমার চেনা দুঃখ আর চেনা সুখগুলোকে আলাদা করে করে আঁটি বেঁধে রেখেছি , কিন্তু কোনটা কোন খাতে যাবে তা ধরিনি ।সব সুখই তো আর জমা নয় , সব দুঃখই যেমন নয় খরচ--------------।।।।।
গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।