করোনাভাইরাস মহামারীর আগে বাসে ভাড়ার যে হার ছিল, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই হারে ভাড়া নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং জনস্বার্থ বিবেচনা করে সরকার আগামী ১ সেপ্টেম্বর হতে গণপরিবহনের আগের নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে ৬৬ দিনের লকডাউন শেষে গত ১ জুনে থেকে শর্তসাপেক্ষে বাস চলাচল শুরু হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে বাসমালিকদের ক্ষতি পোষাতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা এবং নগর পরিবহনের বাস ও মিনিবাসের ভাড়া তখন ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়। তবে ভাড়া বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত বলে যাত্রীদের অসন্তোষ রয়েছে।
তিন মাস পর আগের ভাড়ায় ফেরার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতিপালন করতে হবে বলে মন্ত্রী কাদের জানান।
“গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী, টিকেট বিক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনা যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অর্থাৎ যত সিট তত যাত্রী পরিবহন নীতি কার্যকর হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।”
প্রতিটি ট্রিপের শুরু এবং শেষে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করার শর্তও দেওয়া হয়েছে।
“আমি নিয়ম মেনে এবং শর্ত মেনে পরিবহন চালানোর জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণকেও মাস্ক পরিধানসহ নিজের সুরক্ষায় সচেতন থাকার অনুরাধ জানাচ্ছি।”
মহামারীর এই পরিস্থিতিতে আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত কার্যক্রম জোরদারে বিআরটিএকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।