ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রার শেষ ধাপে আমাকে আটকাল ইমিগ্রেশন পুলিশ। একা যাওয়ার কথা শুনে চোখজোড়া তাঁদের রীতিমতো কপালে ওঠার জোগাড়। দ্বিতীয়বার একই প্রশ্ন করলেন। তাঁদের অবাক করে দিয়ে আবার একই কথা বললাম, ‘সত্যিই বলছি, যাত্রী শুধুই আমিই। আমাকে একা নিয়ে যাচ্ছে।’
কথাটা বললাম বটে। কিন্তু তখনো আমার নিজের পুরোপুরি বিশ্বাস হয়নি যে উড়োজাহাজে আমি একাই যাচ্ছি। ইমিগ্রেশন কর্মীদের ভাবখানা দেখেও তা–ই মনে হলো, নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো খাতির চলে না! তাঁরা ফোন দিলেন সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজ সংস্থার অফিসে। ঘটনার সত্যতা জানলেন।
নিয়ম মেনে বোর্ডিং হয়ে গেল। ফটক পেরিয়ে দেখি গাড়ি অপেক্ষা করছে। রানওয়েতে উড়োজাহাজ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার গাড়ি। গাড়িতে উঠে দেখি, আমি একা। ‘একা যাচ্ছেন’ কথাটা তখন বিশ্বাস হতে শুরু করল। যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের শুরু সন্ধ্যায়, কাউন্টারে। সে সময় আমাকে অপেক্ষমাণ দেখে ফ্লাইটের একজন এসে জানতে চেয়েছিলেন, ‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’ উত্তরে গন্তব্যের কথা জানাতেই তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি তো একাই যাচ্ছেন’।
আসলে এখনকার অবস্তা খুব খারাপ।