করা। এবং কোনাে সত্যসারণীতে উপাদান
বচনসমূহের সমুদয় সম্ভাব্য মান নিবেশন করে
সংশ্রিষ্ট যৌগিক বচনের মান নির্ণয় করাকে বলা হয়
মানবিশ্লেষণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য য
বখন একটি যৌগিক বচন বা অপেক্ষকের দুটি
উপাদান বচন একটি যােজক স্বারা যুক্ত হ
তখন তাকে বলে সবল যৌগিক বচন। আর এরূপ
একাধিক সরল যৌগিক বচন যখন অপ
কোনাে যােজক দ্বারা যুক্ত হয় তখন তাকে বলে
জটিল যৌগিক বচন। অর্থাৎ জটিল যৌগিত
কন বা অপেক্ষকে এক বা একাধিক উপাদান বচন
দুই বা ততােধিক যােজক দ্বারা সংযুক্ত
প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা
হয়। অন্যকথায় জটিল যৌগিক বচনকে বিশ্লেষণ
করলে এতে দুই বা ততাধিক।
যৌগিক বচন বা অপেক্ষক পাওয়া যায়। উদাহরণ
স্বরূপ, যদি বৃষ্টি হয় বা সেচ দেওয়া হয়।
তাহলে ফসল ভালাে হবে এবং দেশের সমৃদ্ধি
হবে'-এ বচনটিকে প্রতীকায়ন
(Symbolisation) করলে এর আকারটি হবে নিম্নরূপ :
এটি একটি জটিল যৌগিক অপেক্ষক। কারণ একে বিশ্লেষণ করলে দুটি সরল ক
পাওয়া যায়, যারা যুক্ত হয়েছে একটি প্রাকল্পিক যােজক দ্বারা। লক্ষণীয় যে, আলাে
অপেক্ষকটিতে p, q হচ্ছে p V q-এর উপাদান বচন। একইভাবে r, s হচ্ছে r s-এর
উপাদান বচন, এবং p v q, r - s হচ্ছে (p v q) = (r s) এর উপাদান বচন।
উল্লেখ্য যে, প্রাত্যাহিক জীবনে সাধারণ ভাষার মাধ্যমে বচন বা বচনাকারের সত্যমান,
ন্যায় বা ন্যায়াকারের বৈধমান এবং যৌক্তিক যোজকগুলাের অর্থ ও তাৎপর্য নির্ণয় করারযাে
ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই নানাবিধ জটিলতার সম্মুখীন হই, এবং এতে যেমন অনেক সময় ব্যয়
(p v q) (r-s)
যােজ
হয় তেমনি আবার এক্ষেত্রে ক্রুটি-বিচ্যুতি ঘটারও সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। আর এরপ
তে
ক্ষেত্রেই সত্যসারণী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ আমরা যাদ
সত্যসারণী প্রয়ােগের মাধ্যমে বচন বা বচনাকারের সত্যমান, ন্যায় বা ন্যায়কারের বৈধমান
এবং যৌ্তিক যােজকের অর্থ ও তাৎপর্য নির্ণয় করি, তাহলে যেমন আমরা সময় সাপ্রয়
করতে পারি তেমনি এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যায়। আবার অ
বিশেষ জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না। আর এদিক থেকেই প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায
সত্যসারণী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত
হয়ে থাকে।
সত্যসারণী গঠন পদ্ধতি
0
4
Written by
Foysal
Foysal
4 years ago
Written by
Foysal
Foysal
4 years ago