→•মিডিলক্লাস•←
গার্লফ্রেন্ডের ফোন আসলো ফোনে বললো তাড়াতাড়ি এসো আমি রেস্টুরেন্টে বসে আছি। পকেটে হাত দিয়ে দেখি মাত্র ২০ টাকার একটা নোট আছে। তাই নিরুপায় হয়ে বললাম ক্লাসে আছি এখন যেতে পারবো না। কারণ ২০ টাকা দিয়ে কি হবে গাড়ি ভাড়াও তো হবে না।
~~~ভার্সিটির হল থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় হাঁটছিলাম এমন সময় ভার্সিটির এক ছোট আপুর সাথে দেখা দুটা কথা বলছিলাম।
~~হঠাৎ সামনে আমার গার্লফ্রেন্ড। আমাকে দেখে বললো এই তোর ক্লাস। অনেক কিছু বলে গেলো প্রথম কোন মেয়ের হাতে থাপ্পড় ও খেয়েছিলাম।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম আর মনে মনে বলছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের জন্য এইসব প্রেম নামক বিলাসিতা মানাই না।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সাথে গায়ের ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম মানাই।মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সাথে দামি দামি রেস্টুরেন্টে মানাই না।
~~ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সাথে পাশের টোং দোকানের নিম্ন মানের খাবার মানাই।
আমাদের ডিপার্টমেন্টেরের হলের বড় ভাইরা মিলে ভ্রমনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম চাঁদা কত করে ভাই। আমিও যাবো।
~~~ এক ভাই আমাকে হেসে বললো থাক তোর যেতে হবে না তুই দিতে পারবি না।
--- পাশের থেকে একজন বললো দেখ ভাই আমার কাছে টাকা ধার চাবি না। আমি দিতে পারবো না। কারণ টাকা ধার দিলে তুই দিতেও পারবি না।
""""পরের দিন আমি পকেট থেকে ১০০০ টাকা বাহির করে ভ্রমনে চাঁদা দিয়ে দিই। আর ৫০০ টাকা কাছে ছিল। রেখে দিয়েছিলাম পরে কাজ লাগতে পারে। কিন্তু সেই দিন আমার রুমমেট এর ১৫০০ টাকা হারিয়েছিল। টাকা চুরির দোষ আমার উপর দিয়েছিল। হল থেকে বাহির করে দিয়েছিল। পরে জনতে পেরেছিলাম ওর কোন টাকা হারাই নাই।
|
|
আজকে একটা ছোট খাটো চাকরির ইন্টারভিউ আছে। রুমমেট কে বললাম তোর পারফিউম টা একটু দেতো। রুমমেট বললো তোর তো সু, কোর্ট, টাই কিছুই নেই। এমনিতেই চাকরি হবে না। সবার সব আশা করতে নাই। আর আমার পারফিউম এর দাম কত জানিস।
~~একটা শর্ট পেন্ট আর আর স্যান্ডেল পরে ইন্টারভিউ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিন্তু আমাকে ইন্টারভিউ এর রুমে ঢুকতেই দিল না। কারণ অন্য সবার মতো আমার কোর্ট টাই আর সু ছিল না।
~~~পকেট থেকে ১০ টাকা বাহির করে বাদাম কিনে খেতে খেতে চলতে থাকলাম আর ভাবলাম। এদেশে মেধার কোন দাম নাই সবকিছু পোশাক আর টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আজকের দিনটা হয়তো এই দশ টাকার বাদাম খেয়েই চলে যাবে।
দিনের সব ক্লান্তি শেষে ছাঁদে এসে বসে আছি। বাসায় মাকে একটু ফোন দিলাম।
হ্যলো বাবা কি করিস?
~~এইতো মা ছাদে বসে আছি।
খাওয়া দাওয়া করেছিস বাবা?
~~ হ্যাঁ মা খাওয়া দাওয়া করলাম মাত্র।
কি দিয়ে খাওয়া দাওয়া করলি বাবা?
~~মাংস দিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছি।
চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মনে মনে বললাম যেই ছেলে বাবা মায়ের সাথে কখনো মিথ্যা বলে না আজ সে প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে যাচ্ছে।
~~তোর বাবা অসুস্থ কিছু টাকা পাঠাতে পারবি বাবা।
আচ্ছা মা চিন্তা করিও না কাল টাকা পাঠিয়ে দিব। কথা শেষ হতে না হতেই ফোনের ব্যালান্স শেষ।
~~কাল হয়তো বাবার দেওয়া শখের ফোনটা বিক্রি করে দিতে হবে। বাবা অসুস্থ বাসায় যে টাকা পাঠাতে হবে। উপরে আল্লাহ আছে তো এতো বছর যখন চলে আসছি বাকি সময়টা ও আল্লাহ পার করিয়ে দিবে।
°°°★🍁সত্য ঘটনা 😊
__
0
8