যুক্তিবিদ্যা এবং ভাষা
ত। কাজেই সব।
জটি উল্লেখিত ছকদ্বয় দ্বারা কপি যা বােঝাতে চেয়েছেন তা হলাে, সত্য বচন নিয়ে যুক্তি বৈধ
অবৈধ ও অবৈধ দুই-ই হতে পারে। একইভাবে মিথ্যা বচন নিয়েও যুক্তি বৈধ ও অবৈধ হতে পারে।
মিথ্যা আশ্রয়বচন ও সত্য সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তি বৈধ ও অবৈধ উভয়ই হতে পারে।
যেমন আবার
, সত্য আশ্রয়বচন ও মিথ্যা সিদ্ধান্ত নিয়ে গঠিত যুক্তি সর্বদাই অবৈধ হবে। কখনই বৈধ।
কেবল
না।
হতে পারবে
নিঃসৃত সত্যতা ও বৈধতার মধ্যে পার্থক্য
between truth and validity
Defference
যেমন, সত্যতা ও বৈধতার স্বরূপ বিশ্লেষণ করলেই এদের মধ্যেকার পার্থক্য অনুধাবন করা যায়।
কিন্তু তারপরও বােঝার সুবিধার্থে এদের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পার্থক্য সুনর্দিষ্টভাবে
তুলে ধরা হলাে।
প্রথমত, সত্যতা হচ্ছে বচনের বৈশিষ্ট্য। আর বৈধতা হচ্ছে যুক্তির বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ
F সিদ্ধান্ত বচনের ক্ষেত্রেই কেবল সত্যতা মিথ্যাত্ব আরােপ করা যায়। এককথায় কেবল বচনই সত্য বা
মিথ্যা হয়ে থাকে। অন্যদিকে বৈধতা বা অবৈধতার বিষয়টি আরােপ করা হয় যুক্তির উপর।
অর্থাৎ একমাত্র যুক্তিই বৈধ বা অবৈধ হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত, একটি বচন যখন বাস্তবের অনুরূপ হয় অথবা যখন এর মধ্যে অন্তর্বিরােধ
থাকে না তখনই তা সত্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অন্যথায় তা মিথ্যা হিসেবে প্রতিপন্ন
হয়। পক্ষান্তরে, আশ্রয়বচন থেকে নিয়মসঙ্গত উপায়ে যখন সিদ্ধান্ত নি: সৃত হয় তখন একটি
যুক্তি বৈধ বলে পরিগণিত হয়। অন্যথায় যুক্তিটি অবৈধ হয়ে পড়ে।
তৃতীয়ত, সত্য হওয়ার জন্য একটি বচনকে আকারগত ও বস্তুগত উভয় দিক থেকেই
নিঃসৃত। এবং সত্য হতে হয়। অর্থাৎ সত্য হতে হলে একটি বচনকে যেমন বাস্তবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে
হয়, তেমনি একে হতে হয় নিয়মানুসারী। অন্যদিকে, বৈধ হওয়ার জন্য যুক্তিকে কেবল
প্রকাশ আকারগতভাবে সত্য হতে হয়। অর্থাৎ যুক্তিকে হতে হয় নিয়মসঙ্গত। এককথায় সংশ্লিষ্ট
যুক্তিকে এমনভাবে গঠিত হতে হয় যেন এর সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বচন থেকে অনিবার্যভাবে
নি: সৃত হতে পারে। কাজেই যুক্তিকে বৈধ হওয়ার জন্য এর বস্তুগতভাবে সত্য হওয়া জরুরি
নয়।
চতুর্থত, বচনের সত্যতা বা মিথ্যা তথ্যগত বিষয়, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়ােজনে
বা সাধারণ মানুষের জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশে আলােচিত হয়। পক্ষান্তরে যুক্তির বৈধতা বা
অবৈধতা নির্ণয়ের দায়িত্ব হচ্ছে যুক্তিবিদ্যার। অর্থাৎ সত্যতা বৈজ্ঞানিক বা সাধারণ মানুষের
আলােচ্য বিষয়, আর বৈধতা হচ্ছে যুক্তিবিদ্যার আলােচ্য বিষয়।
উল্লেখ্য যে, যুক্তিবিদ্যার মূল আলােচ্য বিষয় হচ্ছে যুক্তির বৈধতা, আর বৈধতা সম্পর্কে
সুস্পষ্ট ধারণা লাভের জন্য সত্যতার সাথে এর পার্থক্য জানা অত্যন্ত জরুরি। বস্তুত এ
কারণেই যুক্তিবিদ্যায় বর্ণিত সত্যতা ও বৈধতার আলােচনায় এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য
নির্ধারণের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
.
যুক্তিবিদ্যা
প্রতীকী ১
যে, আয়বচন ও
যায়
দেখা যায়। এগুলাে হলাে
থেকে পাওয়া
বা ফ্লাক্তি যুক্তি, 2
ন্যায় আলোচনা বৈধ থাকে। যেমন
অজাঞ্জ Argument সংক্রান্ত তিন ধরনের বৈধ হয়ে
Sound সম্পর্ক মোট যুক্ত
ও বৈধতার ভিত্তিতে সত্য হলে প্রাণি
সততা সম্পর্কের বচন
| সত্য-মিথ্যার সবগুলাে
ভক্তগত হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণি। 6
স্লারি সকল মানুষ একজন মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন।
| এক
সক্রেটিস হলাে বচনই সত্য এবং যুক্তিটির সিদ্ধা,
সুতরাং সক্রেটিস প্রতিটি
এ যুক্তিটি বৈধ। কারণ এর অন্তর্গত
বচন মিথ্যা হলেও হয়েছে যুক্তি। বৈধ হতে পারে। যেমন,
দুই অশ্রয়বান যুক্তির থেকে অক্তৰ্গত নিয়মসঙ্গত সবগুলাের উপায়ে অনুসৃত
কোনাে সম্পদশালী ব্যক্তি নয় সুখী।
।
সকল মানুষ হয় সম্পদশালী নয় সুখী।
এ যুক্তিটি বৈধ সুতরাং। যেহেতু কোনাে এর মানুষ সিদ্ধান্ত আশ্রয়বচন থেকে নিয়মসঙ্গত উপায়ে অনুত
হয়েছে। যদিও আলােচ্য যুক্তির অন্তর্গত প্রতিটি বচনই মিথ্যা।
তিন যুক্তির অন্তর্গত আশ্রয়বচন মিথ্যা হয়ে সিদ্ধান্ত সত্য হলেও যুক্তিটি বৈধ হতে পারে।
যেমন
সকল মাছ হয় স্তন্যপায়ী
সকল তিমি হয় মাছ ।।
সুতরাং সকল তিমি হয় স্তন্যপায়ী |
আলেচ্য যুক্তিটির দুটো আশ্রয়বচনই মিথ্যা, যদিও এর সিদ্ধান্তটি সত্য
যুক্তিটি বৈধ। কেননা এর। কিন্তু তারপরও
উপযুক্ত তিনটি যুক্তির সিদ্ধান্তটি পর্যালােচনার আশ্রয়বচন ভিত্তিতে থেকে নিয়মসঙ্গত মিথ্যাবচন উপায়ে থাকা সমাধান সত্ত্বেও অনুসৃত দেয়ার যুক্তির হয়েছে লক্ষ্যেই বৈধ।
অনেক অন্তর্গত Conditions হওয়ার যুক্তির যুক্তিবিদ বিষয়ে সবগুলাে শর্তাবলি প্রশ্ন আলােচ্য বচনই দেখা সত্য দিতে যুক্তিগুলাের পারে থাকে। মধ্যে, আর তাকেই পার্থক্য এরূপ বলা নিরূপণ প্রশ্নের হয় যৌক্তিক অভ্রান্ত করতে ন্যায় গিয়ে বা উপরে যুক্তি। প্রদত্ত প্রথম
আকারের যুক্তিকে
অভ্রান্তি ন্যায় বা যুক্তি নামে
হয়ে করেছেন
আখ্যায়িত
বৈধ। অর্থাৎ যেসব যুক্তির।
একটি of valid
যুক্তিকে argument
বৈধ
হওয়ার
এ প্রেক্ষিতেই জন্য একে
কতগুলাে
এ শর্তগুলাে শর্ত
নিয়ে পালন
উল্লেখ করতে
হয়
করা।
হলাে। তবে এ শর্তগুলাের।
হয়। আর
৩১
যুক্তিবিদ্যা এবং ভাষা
১. কোন যুক্তিকে বৈধ হতে হলে সেই যুক্তির অশ্রয়বচনের সাথে সিদ্ধান্তের একটা যৌক্তিক
সম্পর্ক থাকতে হয়।
২. বৈধ হওয়ার জন্য অবরােহ অনুমানের যুক্তিকে আকারগতভাবে সত্য হতে হয়। অর্থাৎ
এক্ষেত্রে যুক্তিকে হতে হয় নিয়মানুসারী। অন্য দিকে আরােহ অনুমানের যুক্তিকে
আকারগত ও বস্তুগত উভয় দিক থেকেই সত্য হতে হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যুক্তিকে
নিয়মানুসারী হওয়ার পাশাপাশি বাস্তবের সাতে সঙ্গতিপূর্ণও হতে হয়।
৩, অবরােহ অনুমানের কোনাে বৈধ যুক্তির সিদ্ধান্ত আশ্রয়বচন থেকে ব্যাপক হতে পারে না।
অর্থাৎ এরূপ যুক্তিপদ্ধতি প্রয়ােগ সার্বিক কোনাে বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করে একটি বিশেষ
বিষয়কে প্রমাণ করতে হয়।। অন্যদিকে আরােহ অনুমানের কোনাে বৈধ যুক্তির
সিদ্ধান্তকে আশ্রয়বচন থেকে অবশ্যই ব্যাপক হতে হবে। অর্থাৎ এরূপ যুক্তিপদ্ধতি
প্রয়ােগ পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিশেষ কতগুলাে বিষয়কে সার্বিকীকরণ বা সামান্যীকরণ
করতে হয়।
৪. কোনাে অবরােহ যুক্তিকে বৈধ হতে হলে সেই যুক্তির আশ্রয়বচন থেকে সিদ্ধান্তকে
নিয়মসঙ্গত উপায়ে অনুসৃত হতে হয়। অন্যদিকে কোনাে আরােহ যুক্তিকে বৈধ হতে
অনুসৃত হলে বিশেষ বিশেষ কতগুলাে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্তের যথাযথ পর্যবেক্ষণের
ভিত্তিতে সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করতে হয়।
পারে। ৫. কোনাে বৈধ যুক্তির সবগুলাে আশ্রয়বচন সত্য হলে তার সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সত্য হতে
হবে। অর্থাৎ কোনাে বৈধ যুক্তির ক্ষেত্রে এর আশ্রয়বচনসমূহ সত্য হলে তা থেকে
নি: সৃত বা অনুমিত সিদ্ধান্ত কখনােই মিথ্যা হবে না।
৬. সর্বোপরি বৈধ হওয়ার জন্য অবরােহ বা আরােহ যে কোনাে ধরনের যুক্তির
আশ্রয়বচনসমূহের মধ্যে অনিবার্য সম্পর্ক থাকতে হবে।
পরও উল্লেখ্য যে, যুক্তিবিদ্যার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে যুক্তির বৈধতা নিরূপণ। = আর এই লক্ষ্য অর্জনে
উপযুক্ত শর্তগুলাে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কাজেই যে কোনাে বৈধ
টু। যুক্তি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আলােচ্য শর্তগুলাের যথাযথ প্রয়ােগ ও পালন একান্ত আবশ্যক।
বৈধ।
ক্ষ্যই
প্রথম
মার
যুক্তিবিদ্যা
প্রতীকী
উত্তর: স
১১. যে
উত্তর: ‘ এ
, যা অশুদ্ধ যুক্তি।
। ১২. সত্য
অনুশীলন
প্রকা” সংজ্ঞাটি লিখ জগ।
স্কৃতি সংক্ষিপ্ত বাপির ও পদ্ধতিসমূহের
সম্পর্কে নীতি স}
ফুলাবিদ্যা সেই বিজ্ঞান। ১৩,
১. হচ্ছে
পৃথক করে। হ ’ কী? উত্তর:
উত্তর: যুক্তিবিদ্যা ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার
সুকে বুৎপত্তিগ’তে হচ্ছে- ১৪. আ
২. যুক্রাবার অর্ষে যুক্তিবিদ্যা?
উত্তর: বুৎপত্তিগত বিষয় কী
কেন্দ্রীয় হচ্ছে- যুক্তি বা অনুমান।
৩. যুক্তিবিদ্যার কেন্দ্রীয় বিষয় প্রকাশিত রূপ। হ
উত্তর: যুক্তিবিদ্যার ভাষায়
Nice