গল্পঃ #রাতের_তাঁরা।(A Real Love Story)
#পর্বঃ১.
আজ রাতের আকাশ তাঁরায় পরিপূর্ণ। আজ আকাশেতে চাঁদ নেই কিন্তু পুরো আকাশ ঘিরে রয়েছে অসংখ্য অসহস্র তাঁরা ★।
মনে হচ্ছে রাতের আকাশের বিশাল চাঁদটিকে কেঁটে ছোট্ট ছোট্ট টুকরোয় বিভক্ত করে পুরো আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে,তাইতো আকাশে আজ চাঁদ নেই আছে শুধু অসংখ্য তাঁরা।
আজ রাতের আকাশে বিন্দু মাত্র মেঘ ☁ নেই কিন্তু আমার মনের আকাশ মেঘে পরিপূর্ণ।
আজ আমার বিয়ে। তবে আমার মনে একটু খানি ও শান্তি নেই।কারণ আমি যার সাথে বিয়ের স্বপ্ন দেখে ছিলাম সে আজ #রাতের_তারা।
আমি আজ চাইলেও তাকে ছুঁতে পারব না।
আমি জানি আপনাদের মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে।তাহলে চলুন ডুব দিই অতীতের গভীরে।
২২বছর আগে......
আমি নিরব মাহমুদ। মা -বাবার একমাত্র ছেলে আমি।আমার মা বাবা দুইজনেই অনেক বড় বিজনেস ম্যান।তাঁরা সর্বদা নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকে।আমার একটি ছোট বোন আছে,নাম নিরা।
আমি তখন ক্লাস 4 এ পড়ি। ছোট বেলা থেকেই আমার পড়ালেখা করার প্রতি কোনো আগ্রহই ছিল না।
আমি প্রতিদিন লাস্ট বেঞ্চে বসতাম আর অনবরত দুষ্টামি করতাম।
প্রতিদিন স্কুলে বড়ই আচার নিয়ে যেতাম এবং বড়ই খেয়ে বড়ই এর বিচি গুলো মানুষের গায়ে মেলা মারতাম।
প্রতিদিন স্কুল ছুটির পরে স্যাররা আমাকে কান ধরিয়ে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতো।সবাই আমাকে দেখে হাসাহাসি করতো।কিন্তু তাতে আমার কোন কিছু যায় আসতো না।
কারণ তখনও পর্যন্ত আমার বেঁচে থাকার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।আর না ছিল আমার কোনো আসক্তি।
আমি প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসতাম এবং স্যাররা আমাকে রোজ কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতো।
সময়টা ছিল গ্রীষ্মকাল। আমি আমার রুমে ঘুমিয়ে আছি। জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের প্রখর আলো প্রবেশ করে আমার চোখে পড়তেই ঘুমটা ভেঙে গেল।
আস্তে আস্তে চোখটা খুলে ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখি ৭টা৫৫ বাজে,আর ৮টা থেকে আমার ক্লাস।
আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে স্কুলের দিকে রওনা দিলাম।(বলে রাখা ভালো,আমার মা-বাবা গতকাল বোনকে নিয়ে শহরের বাহিরে গেছে।আর আমি কোনদিন স্কুলে যাওয়ার আগে নাস্তা করে যাই নি, প্রতিদিন স্কুল থেকে এসে নাস্তা করি।)
আজ স্কুলে যাওয়ার সময় বড়ই অদ্ভুত লাগছিল।
কারণ রাস্তা ঘাট পুরো নিস্তব্ধ।
স্কুলে পৌঁছে আরো অবাক হলাম, কারণ স্কুলে আলাউদ্দিন আংকেল(দাড়োয়ান) ছাড়া আর কেউ নেই।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আজ আমার স্কুল বন্ধ, কিন্তু যখন স্কুলের দেওয়ালে থাকা দেওয়াল ঘড়িটির দিকে আমার নজর পড়লো তখন আমি অবাকের শেষ সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।
ঘড়িতে দেখতাম সবেমাত্র ৬টা১৫ বাজে।তখন আমি বুঝলাম বাসায় যখন আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ছিলাম তখন শুধু আমি মিনিটের কাঁটাটাই দেখেছিলাম, ঘন্টার কাঁটাটার দিকে ভালোমতো খেয়াল করিনি।
যাক স্কুলে এসে যখন পড়েছি, তখন আমি আমার ক্লাসে ঢুকে লাস্ট বেঞ্চে গিয়ে বসলাম।
কিছুক্ষণ পর অনুভব করলাম, খুবই দ্রুত গতিতে কেউ একজন ক্লাসে প্রবেশ করলো।
আমি মাথা প্রথমে নিচু করে ছিলাম তাই দেখতে পাইনি কে প্রবেশ করেছে।
যখন আমি মাথা উঁচু করলাম তখন আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
দেখলাম একটি মেয়ে খুবই দ্রুত গতিতে ক্লাসে প্রবেশ করছে।আমি কখনো মেয়েদেরর দিকে তেমন করে তাকাই নি,, কিন্তু এই প্রথম আমি কোনো মেয়ের দিকে ডেব ডেব করে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছি।
মেয়েটার গায়ের রং একেবারে দুধে আলতা,চোখগুলো হরিণী,চোখগুলোতে যেন এক অদ্ভুত মায়া বা নেশা আছে, যেন সেই নেশায় যেকোনো মানুষ হারিয়ে যেতে বাধ্য।
ঠৌঁট দুইটা হালকা লাল।অর্থাৎ কমলা ও লাল রঙের মাঝামাঝি,চওড়া কপাল,সিল্কি চুল,চুল গুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে,সুন্দর উঁচু নাক।
মেয়েটির কপাল ও নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম এসে জমা হয়েছে যা মেয়েটার সৌন্দর্যকে হাজার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
হঠাৎ এই প্রথম আমার হার্টবিট.......
চলবে....
চলবে নাকি....
(ছোট করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন। প্লিজ কেউ গল্প কপি করবেন না।আপনাদের সাড়া পেলে নেক্সট পর্ব লিখব। গল্পটা একটু অন্য রকম, তাই প্লিজ গল্পটা ধৈর্য্য ধরে পড়বেন। ধন্যবাদ।)
#রাতের_তাঁরা।(A Real Love Story)
#পর্বঃ১
#Happy_Reading.
3
9
গল্পটা খুবই সুন্দর। গল্পটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। লেখককে ধন্যবাদ জানাই। রাতের তারা সবাইকে খুব মনোরঞ্জন করে।