সিনিয়র আপুর ভালবাসা

0 3
Avatar for Foysal
Written by
4 years ago

সিনিয়র আপুর রোমান্টিক ভালোবাসা

পার্বঃ ৬

🍃

কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই মসজিদ থেকে আশা মুয়াজিমের আজান শুনে ঘুম ভাঙ্গলো।

ঘুম থেকে উঠে ওযু করে মসজিদে গেলাম নামাজ পড়তে. নামাজ শেষে একটু হাদিসের বই পড়লাম, এর পরে বাসাই আসলাম

এসে আবার একটা ঘুম দিলাম, কতোক্ষণ ঘুমিয়েছি জানিনা এর মধ্যে ছোটো বোনটা আমাকে ডাক দিয়ে ঘুম থেকে তুললো,

(আমি) কিরে পাগলি বোনটা আমার সকাল সকাল ডাকছিস কেনো? আজ আমার কলেজ নাই তো.তাও ডাকছিস কেন? কি হয়েছে বল!

(খুশি) ভায়া মা তোকে ডাকছে নাস্তা করার জন্যে, তাড়া তাড়ি আয় আর এখন সকাল 9টা বাজে বুঝলি?

(আমি) কি 9টা বেজে গেছে আগে বলবিতো আমায়, চল তাড়াতাড়ি চল,

তার পরে আমি টিবওয়েল থেকে ফ্রেস হয়ে এলাম মা কিছু খাবার খেতে দিলো তা খেয়ের বেরিয়ে পড়লাম,

শাওনের সাথে দেখা করা কথা ছিলো সকাল 10টাই তাই । একটা রিকশাই চড়ে চলে

এলাম নদির ধারে,

রিকশা থেকে নেমে ভাড়াটা দিলাম, একটু দুরে যেতেই শাওনকে দেখতে পেলাম,আসসালামু আলাইকুম বন্ধু কেমন আছিস তুই?

(শাওন) আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি রে বন্ধু তুই কেমন আছিস?

আর কালকে রেজাল্ট দিয়ার পরে তুই কোথাই হরিয়ে গেছিলি আমার সাথে দেখা করিলি না কেন?

(আমি) আমিও ভালোই আছি বাট কল তোর সাথে দেখা করেই আসতাম রে, একটা কারণে পারিনি Sorry বন্ধু,

(শাওন) কেন রে বন্ধু কি হয়েছিলো কালকে?

(তার পরে শাওনকে আমি কালকে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বললাম) এখন তুই বল আমি কি করবো, সাদিয়া কেনো আমার সাথে এমন করে?

(শাওন) আরে ব্যাটা তুই এখনো এটাই বুঝতে পারলিনা সাদিয়া তোকে ভালোবাসে যার কারণে তোকে কোনো মেয়ের সাথে মিশতে দেয়না,

সব সময় চখের আগে রাখে ও চায়না যে তুই কোথাও হারিয়ে যাস, ও তোকে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলছে যার কারণে তোকে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখলে শজ্জো করতে পারে না বুঝলি?

(আমি) ও কেনো আমাকে ভালোবাসতে যাবে রে আমিতো একটা গরিব ঘরের ছেলে, যদিও ভালোবাসে তা হলেতো ওর বাবা মেনে নিবেন না

(শাওন) আরে পাগল ভালোবাসা ধনি গরিব দেখেনা ভালোবাসতে ভালো একটা মন লাগে, আর সাদিয়া যদি তোকে মন থেকেই ভালোবাসে তা হলে যে করেই হোক ও তোর কাছেই আসবে,

এবার ওর সাথে দেখা হলে তুই আগে Propose করবি ঠিক আছে? কারণ মেয়েদের বুক ফাটবে তাও মুখ ফুটবেনা, তাদের লজ্জাটা একটু বেশি ছেলেদের চাইতে।

(আমি) কিন্তু আমি যে বিয়ের আগে প্রেম করবোনা,

(শাওন) তাহলেতুই সরা সরি বিয়ের কথা বলবি সাদিয়াকে, তার পর দেখ কি উত্তর দেয় সাদিয়া

(ওদিকে সাদিয়া তার মা বাবাকে নিয়ে আমাদের বাসাই আসে বিয়ের কথা বলতে)

(সাদিয়া) আনটি দরজাটা খুলেন আমি সাদিয়া বলছি,

(ওহ আপনাদের তো বলাই হয়নি যে সাদিয়া এর আগে আমার সাথে একবার আমাদের বাসাই এসেছিল, আমার বন্ধু পরিচয় দিয়ে)

তার পরে আমার মা দরজা খুলে দিলো. (মা) আরে সাদিয়া যে আসো মা ভিতরে আসো, আর ইনারা কে মা তোমার সাথে?

(সাদিয়া) আনটি ইনারাই আমার মা বাবা.

এর পর আমার মা তাদেরকে বাসার ভিতরে নিয়ে গিয়ে বোসতে দিলেনএকটু পরেই আমার বাবা আসলেন তাদের কছে।

(বাবা) আরে আশরাফ ভাই যে আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনি?

( আমার বাবা সাদিয়ার বাবাকে চিনেন,

কারণ সাদিয়ার বাবা একদিন তাদের Car চালানোর সময় রাস্তাই Accident করেন,

আর সেই সময় আমার বাবা বাজার করে ওই রাস্তা দিয়েই বাসাই আসছিল,

আর সাদিয়ার বাবাকে রাস্তাই পড়ে থাকতে দেখে Hospital নিয়ে গেছিল সেদিন বেশি কিছু হয়নি সাদিয়ার বাবার অল্প একটু আঘাত লেগেছিল তার পর থেকে একটু পরিচয়)

(আশরাফ খান) ওয়ালাইকুম আসসালাম. আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ভাই আর এইটা

তোমার বাসা নাকি?

(বাবা) হ্যা ভাই এটাই আমার বাসা তা কি মনে করে এই গিবের বাসাই আসলেন আপনি?

(আশরাফ খান)আমি যানতাম না যে এটা তোমার বাসা, আর তোমার একটা ছেলেও আছে, জানলে তো আরো আগেই আসতাম, আমার আসার কারণ পারিবারিক দরকার আছে তাই আসলাম রে ভাই,

দেখি তোমার সাথে আরো ভালো করে সর্ম্পক করা যাই কিনা! আর তোমার যে একটা ছেলে আছে আগে কখনো বলো নিতো

(বাবা) আপনার সাথেতো বেসি কথাই হয়না. আর আপনিও সে ভাবে কিছু বলেননি আমারো কিছু বলা হয়নি, আর আপনি তো ব্যাস্ত মানুষ।

(সাদিয়া) এক মিনিট দাড়াও বাবা, তুমি অংকেল কে আগে থেকেই চিনো নাকি?

(আশরাফ খান) হুম মামনি তোমার আংকেল কে আমি আগে থেকেই চিনি, যানোতো আমি একবার Accident করেছিলাম! আর ইনি আমাকে বাচিয়ে ছিলেন।

(সাদিয়া) ওহ তাহলে তো আরো ভালো হলো, তুমি তাড়া তাড়ি আসল কথা বলো, আমি একটু খুশির কাছে গেলাম।

(আশরাফ খান) আচ্ছা তুমি যাও আমরা কথা বলছি

(বাবা) তো বলেন ভাই এই গরিবের সাথে কি কথা?

(আশরাফ খান) ভাই রে আমার এক মাত্রো মেয়ে সাদিয়া, ছোটো থেকেই তার কোনো কথা বা চাওয়াই অপুরন্য রাখিনি, তা আমার মেয়েটা আপনার ছেলেকে নাকি ভালোবাসে আর তাকেই বিয়ে করবে।

আমি আর না করতে পারিনি, আপনারা যদি রাজি থাকেন তা হলে ওদের বিয়ের কথা বাতত্রা বলতাম।

(বাবা) তা ঠিক আছে ভাই কিন্তু আপনারা এতো বড়োলোক আর আমরা এতো গরিব তা কি করে হয় বলুন, আর আমারছেলে তো এখনো কোনো কিছু করে না, লেখা পড়া করছে, তা হলে কি করে বিয়ে দিবো বলেন? আর কি খাওয়াবে আপনার মেয়েকে?

(আশরাফ খান) আরে বিয়াই আপনি এতো চিনকা করছেন কেনো? আমি আছি কেনো! আমি ওর একটা চাকরির ব্যাবস্তা করেদিবো। আপনার চিন্তা করতে হবেনা।

(বাবা) আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তাই হবে, দিন তারিখ ঠিক করা যাক।

(হঠাৎ তাদের কথার মাঝে সাদিয়া এসে কথা বলা শুরু করে দেয়)

(সাদিয়া) বাবা যতো তাড়াতাড়ি পারো Det fixed করো, আর আংকেল আপনাদের বলছি, এই বিয়ের কথা যেনো কোনো ভাবেই জানতে পারেনা ঠিক আছে?

আর বাবা তোমাকে বলছি কালকেই বিয়ের আয়জন করো তুমি ,আমি আর দেরি করতে দিবনা, আর বিয়েটা যেনো শরীয়ত সম্মতো হয়,

(আশরাফ খান) আচ্ছা মামনি তোমার কথা মেনে নিলাম, বিয়ে কলকে হবে।

(তার পরে সদিয়ারা চলে গেলো)

(এদিকে আমি আর শাওন গল্প করছিলাম )

(শাওন) আচ্ছা এখন চল আমার সাথে, তার পরে শাওন আমাকে নিয়ে একটা রেস্তরাই গেলো, সেখানে খাওয়া দাওয়া করলাম.

বিলটা শাওনই দিলো, 1500 টাকা বিল হয়েছিল, শাওনকে

বিদায় দিলাম, তর পর,,,,

,,,,,চলবে ?

1
$ 0.00
Avatar for Foysal
Written by
4 years ago

Comments