অতীতের মিশর! ভাবতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ধূধূ মরুভুমি আর চোখ ঝলসানো রোদের মাঝে উটের উপর বেদুঈনদের এগিয়ে চলা। দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল পিরামিডের ছায়াও হয়তো কল্পনায় চলে আসে হঠাৎ। কিন্তু কল্পনার সুতো ছিড়ে যায় সেখানেই। কারণ প্রাচীন মিশরের মানুষের জীবন আসলে কেমন ছিল সে বিষয়ে খুব বেশি জানা নেই আমাদের।
মিশরে পুরাকীর্তি আবিষ্কার হওয়া খুব একটা আহামরি বিষয়ের মধ্যে পড়ে না। কারণ যে সভ্যতার শুরু প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে, সেই জাতির দীর্ঘ ইতিহাসের চিহ্ন মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া স্বাভাবিকই বটে। কিন্তু এর মাঝেও কিছু আবিষ্কার প্রাচীন এই সভ্যতার এমন কিছু অংশ তুলে ধরে যে প্রত্নতাত্ত্বিক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়।
তেমনটাই ঘটেছিল ২০১৩ সালে, যখন ফরাসি আর মিসরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের সমন্বিত একটি দল প্রাচীন এক গুহার ভেতরে বেশ কিছু প্যাপিরাসের খন্ড খুঁজে পায়। বয়সের হিসেবে এই প্যাপিরাসগুলোই মিশরে খুঁজে পাওয়া প্যাপিরাসের মাঝে সবচেয়ে পুরোনো। লোহিত সাগরের উপকুলের কাছে, প্রাচীন মিসরীয় বন্দর ওয়াদি এল-জার্ফ-এর প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রাচীনতম নথিগুলো। পাঠযোগ্য যেকোনো নথি থেকেই নতুন কিছু না কিছু জানা সম্ভব। সেই নথি যদি হয় কয়েক হাজার বছরের পুরোনো তাহলে ইতিহাসের হাতছানি যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিককে উত্তেজিত করতেই পারে।
good post , carry on dear .i stay with you