"""'হীরা""""(পর্ব-১)

0 13
Avatar for Fariha2020
4 years ago

#সহবাসের মুহূর্তে গায়ে একটি সুতো ও সহ্য করে না আবির,দুদিন আগেও এমনটি ভালো লাগতো।উপভোগ করতাম,আমার সুগঠিত শরীর আবিরমুগ্ধ হয়ে দেখতো আমি গর্বিত হতাম ।অথচ সেদিনের পর থেকেই গায়ের কাপড় খুলে ফেললেই আমার কেন যেন মনে হয় আমি উলঙ্গ হয়ে মর্গে শুয়ে আছি ।ডোম আমার কন্ঠনালী থেকে তলপেট পর্যন্ত ছুরি দিয়ে চিড়ে ফেলছে । আবিরের আদর আমি অনুভব করি না ।মাথার ভিতর হাতুরীর আঘাত পরে মগজ গুলো গড়িয়ে পাখির পালকের বালিশে পরে থাকে ।সেগুলো আবির জ্বীহ্বা দিয়ে চেটে চেটে নগ্ন দেহে উল্লাস করে ।

আমি চিৎকার করি থামো ।আবির থমকে যায় , গাঢ়স্বরে বলে কি হলো ?

আমি বাস্তবে ফিরে আসি । হাত দিয়ে শরীর স্পর্শ করি ,না চেরা নয় সব ঠিক আছে ।

এমন ভয়ংকর সঙ্গম আমি আর সহ্য করতে পারছি না । বিয়ের বয়স বিশপেরিয়েছে ,আমরা নি:সন্তান ।সমস্যা আমার নিজেরই । একটা বাচ্চা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম ,আবির রাজী হয় নি ।বলেছিল বাচ্চা চাই না ।আমার তুমি থাকলেই যথেষ্ট ।

সে দিন সন্ধ্যায় আকাশ ভেঙ্গে ঝড় এলে যথারীতি সারা শহর অন্ধকারে ডুবে গেলো । আমি মোম আনতে নিচতলার স্টোর রুমে গেলাম ।মোমের আলোয় একটা কাঠের কফিন দেখলাম ।তীব্র ভয়ে চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম ।বুকে কাঁপন নিয়ে ভাবছি এটা কোথা থেকে এলো ?কবে থেকে ?কার কফিন ?আবির আমাকে কিছু জানায় নি কেন ? থরথর করে কাঁপছি ।অথচ মন বলছে কফিনে কি আছে আমাকে জানতেই হবে ।

মোম হাতে স্টোরে গেলাম । কফিনের ডালা খুলে ছিটকে সরে এলাম । একটি মেয়ের চেরা শরীর ।কন্ঠ নালী থেকে তলপেট পর্যন্ত ।দক্ষ ডোমের কাজ । আমি চিকিৎসক তাই বুঝলাম এটা পাঁচ ছয় দিন আগের লাশ । কিন্তু লাশটা কার?এখানে কেন ?ওর শরীর চেরা কেন ?

বিদ্যুৎ চমকে মনে পরলো আবির হীরা ব্যবসায়ী ? নাকি পাচারকারী ?হাত থেকে মোমটা পরে নিভে গেলো ।

এখানে কি করছো ? আবির টর্চ জ্বালিয়ে আমার হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে গেল ।গ্লাসে হুইস্কি ঢেলে আমাকে দিলো ,নিজেও নিলো ।মেডিকেলে তো কঙ্কাল লাগে তাই না ? এটা তোমার জন্যেই এনেছিলাম ,তুমি একজন চিকিৎসক ।হাসপাতালে শতশত কাটাছেড়া লাশ দেখো অথচ এটা দেখে এতো ভয় পাচ্ছো কেন ?তোমাকে এটার কথা আজই বলতাম । তার আগেই তুমি দেখে ফেললে ?

আমি তোমার সাথে আর থাকবো না আবির । আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারছিনা ।ভাইয়ের কাছে অষ্ট্রেলিয়া চলে যাবো ।আজ এক্ষুনি আমি বাড়ি ছেড়ে যাবো ।

দরোজায় দুজন অপরিচিত লোক এসে দাড়ালো ।আবির চকচকে ধারালো চাকু হাতে নিলো ,ভেবে দেখো ,যেতে চাও ,নাকি আমার প্রিয়া হয়ে থাকবে ?কথা দিলাম তোমার ক্ষতি আমি কখনই করবো না ।যতদিন তুমি আমার অনুগত থাকো ততদিন।

আমি বাঁচতে চাইলাম ।আবির আমায় বাঁচিয়ে রাখলো ।তবে তিনদিন আমি গৃহবন্দী হয়ে থাকলাম ।সে রাতেই আবির সমস্ত প্রমান লোপাট করলো । তিনদিন পর সে আমার ফোন ফিরিয়ে দিয়ে ,হাসপাতালে যেতে দিলো । হাসপাতালে কাজে মন বসলো না ।থানায় গেলাম ।এস পির সাথে দেখা করে তিনদিন আগের ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা বললাম । আমার সন্দেহের কথা জানালাম ।আবিরকে এরেষ্ট করতে অনুরোধ করলাম ।তিনি আমাকে আশ্বস্ত করলেন ।

আপনি ঘরে ফিরে যান ।গভীর রাতেই তাকে এরেষ্ট করবো ।

আমি ভারমুক্ত হয়ে ঘরে ফিরলাম ।অন্যায় কারীর শাস্তি হওয়া উচিৎ ।আপনজন হলেও অপরাধ কম হয় না । হতে নেই ।

রাতে আবির বহুমূল্যের একটা হীরার নেকলেস ভালোবেসে গলায় পরিয়ে দিলো ।চুমুতে চুমুতে সারা মুখ ভিজিয়ে দিয়ে , কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে গেলো । ওর চোখ দেখে আমি চিৎকার করে বললাম না ।আমায় মেরো না প্লীজ ।প্লীজ আবির ।

তুমি তো আমার অনুগত থাকো নি সোনা ।এবার অষ্ট্র্লিয়ায় যাও ।তুমি তো তাই চেয়েছিলে তাই না সোনা ?

দরোজায় সেই অপরিচিত লোক দুটি এসে দাড়ালো,,???

1
$ 0.01
$ 0.01 from @TheRandomRewarder
Sponsors of Fariha2020
empty
empty
empty
Avatar for Fariha2020
4 years ago

Comments