তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা ও কর্মকাণ্ডকে সহজ করার চেষ্টা সারাবিশ্বে। ব্যাংকিং সেবাতেও তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে নানা মাত্রায়। একসময় এ যে ব্যাংকিং পেশা শুধু পেন্সিল আর লাল কালো কালির বড় বড় লেজার বইয়ে আটকা থাকত সেই পেশাটিতে এখন সময়ের প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি, যার কল্যাণে ব্যাংকিং সেবায় আসছে বৈচিত্র।
ব্যাংকিং:-ব্যাংক হচ্ছে আর্থিক মধ্যস্থতাকারী একটি প্রতিষ্ঠান। আর ব্যাংকিং বলতে বুঝায়,"The business conducted or services offered by a bank". যেমন : আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, আমানতকারীদের টাকা পরিশোধ, তাদের চেকের মূল্য সংগ্রহ, বিনিময় বিল বাট্টাকরণ, এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেন ইত্যাদি। কিন্তু আধুনিক ব্যাংকিং এর প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বহুমুখী সেবা।
তথ্যপ্রযুক্তি:-তথ্য বলতে বুঝায় বিভিন্ন উপাত্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিচালন এবং সঙ্ঘবদ্ধ করণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল যা মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। আর প্রযুক্তি হল কিছু প্রায়োগিক কৌশল যা মানুষ তার প্রতিবেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করে।
তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ:-ষাটের দশকে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকাতে প্রথম একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ধারা সূচিত হয়। নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগ থেকে এদেশে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
ব্যাংকিং এ তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ:-তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং এর অন্য নাম ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং। ব্যাংকিংয়ে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ বলতে দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কম্পিউটার, ব্যাংকিং সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো, ইত্যাদির ব্যবহার কে বোঝায়।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা
পিসি ব্যাংকিং:-গ্রাহক ঘরে বসে তার পিসি ব্যবহার করে যে লেনদেন করে। পিসি ব্যাংকিং দুই ধরনের: অনলাইন ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং।
ক্রেডিট কার্ড:-ক্রেডিট কার্ডধারী গ্রাহকগণ লিমিটের মধ্যে নগদ টাকা উত্তোলন এবং ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত (POS) থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারেন।
ডেবিট কার্ড:-গ্রাহকের নগদ টাকা বা কোন ডিপোজিট একাউন্ট বিপরীতে ইস্যুকৃত ডেবিট কার্ড অনেকের কাছে 'ব্যাংক কার্ড 'নামে পরিচিত।
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার সবার মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেটে টিকে থাকার উপায়।