অনেকদিন পর লিখতে বসলাম আজকে আমি মূলত আর্জেন্টিনা ফুটবলের কিছু বাস্তবতা তুলে ধরলাম।
আমি খুব ছোট কাল থেকেই আর্জেন্টিনা সাপোর্ট বলতে গেলে ২০০৬ থেকে। রোমান রিকুয়েলমের একজন বড় ফ্যান ছিলাম। তার জন্যই আর্জেন্টিনাকে সার্পোট করা শুরু। ২০০৬ বিশ্বকাপে দল হিসেবে আর্জেন্টিনা অনেক আশা জাগিয়েও কোয়াটার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় জার্মানির কাছে হেরে। ঠিক একই দলের কাছে ২০১০ এবং ২০১৪ সালে ফাইনাল খেলেও হারের মুখ দেখতে হয়। সেই সাথে কোপা আমেরিকায়ও পরাজিত। আর্জেন্টিনার ৩২ বছরের ট্রফি খরা এখন ৩৬ বছরে রুপ নিচ্ছে।। স্কালোনির আন্ডারে আর্জেন্টিনা ভালো করলেও আসলে বাস্তবিক অর্থে অন্য জায়ান্ট টিমের সাথে টক্কর দেওয়া যাবে তো!!! আসলে আমরা আর্জেন্টিনা সাপোর্টাররা অনেক আশা করে বসি প্রতি বিশ্বকাপ আর কোপা আমেরিকা নিয়ে কিন্তু আশা গুলা যখন ভেঙে যায় তখন আমরাও বেশি কষ্ট পাই। মাঝে মাঝে ভাবি এতো দল থাকতে এই দলটাকেই কেন সাপোর্ট করি!!!.
স্কালোনির সময় আর্জেন্টিনা উন্নতি করছে ঠিকই কিন্তু অনেক জায়ান্ট টিমের আশেপাশেও নাই এই দল। এর কারণটা আসলে কিছু প্লেয়ারদের জন্য। আর্জেন্টিনার অনেক টেলেন্ট প্লেয়ারই ইউরোপ এ আসে খেলার জন্য কিন্তু তারা পযাপ্ত প্লেইং টাইমও পায় না। অবাক লাগে ২২/২৩ বছরে ইউরোপে খেলতে এসে এদের আবার মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় লাগে!! অথচ আমাদের রাইভাল টিম ব্রাজিলের ভিনিয়াস জুনিয়র ,রদ্রিগোরা দিব্বি রিয়াল মাদ্রিদ এর মতো দলে খেলে যাচ্ছে। অথচ আমাদের টেলেন্ট গুলা এই সময় ছোটখাট টিমে খেলে। ভিনিয়াস জুনিয়র এখনো ফিনিশিং এ বাজে অনেকটা কিন্তু মাদ্রিদ বস জিদান তাকে প্লেইং টাইম দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে প্যালাসিওস এর মতো প্লেয়ার লেভেরকুসেন ক্লাবে খেলেও প্লেইং টাইম পায় না। গাইচ ২২ বছর বয়সে ইউরোপে আসে তাও মস্কোর মতো টিমে!! টটেমহামে খেলা ফয়েত সম্ভবত আর মোরিনহোর প্লানে নাই সে এখন বেঞ্চে বসা প্লেয়ারও না অথচ ব্রাজিলের মিলিতাও, এমারসন এরা ক্লাবের নিয়মিত মুখ। বুয়েন্দিয়ার মতো প্লেয়ারের কোনো রিউমারস নাই। ডি পলের মতো প্লেয়ার খেলে উদিনেসের মতো ক্লাবে। যেখানে ওটামেন্ডি ফর্ম হারাবার পর ম্যান সিটির বেঞ্চে বসে গেছে সেখানে তার থেকেও বুড়া প্লেয়ার থিয়াগো সিলবা চেলসির মতো ক্লাবে জয়েন করে। ম্যানউতে বার বার ভুল করেও দিব্বি লিগে খেলে গেছে ডি গিয়া। ৫ বছর পর তারা নতুন গোলকিপার আন্ডারসনকে টাইম দিবে বলতেছে। অথচ রোমেরোর মতো গোলকিপার যে একসময় আর্জেন্টিনার মেইন গোলকিপারের দায়িত্বে ছিলো। তাকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে পচিয়েছে!!! যেখানে অন্য দলের ইয়ং প্লেয়াররা বড় ক্লাবে খেলে যাচ্ছে সেখানে আর্জেন্টিনার বেলার্দি, পেরেজ, রোমেরো বড় ক্লাবের প্লেয়ার হয়েও অন্য ছোট ক্লাবে লোনে কাটাতে হচ্ছে। যেখানে দশম পর্তুগাল প্লেয়ার হিসেবে সেমেডো যোগ দিচ্ছে উলভস এ। আর আর্জেন্টিনার এতো ভাল কোচ ইউরোপের ক্লাবে থাকলেও নিজ দেশের প্লেয়ার তাদের দলে হাতে গুনা ২/১ টা থাকে মাঝেমধ্যে। অথবা তাদের দলের কাছে প্লেয়াদের এজেন্ট কোনো ভাল ডিল নিয়ে যেতে পারে না!!! পর্তুগাল সুইডেনের ম্যাচ যারা দেখছেন তারা জানে সেদিন পর্তুগালের প্লেয়ারদের মধ্যে বোঝাপড়াটা কি ছিল।এই বোঝাপড়াটাই হচ্ছে আসল। বলতে গেলে ২০২২ বিশ্বকাপে একটা ভয়ংকর দল হতে যাচ্ছে পর্তুগাল। সাথে ব্রাজিল, জার্মানি,ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স,বেলজিয়ামের, স্পেনের মতো শক্তিশালী দল।। তাদের রিসেম্টলি পারফরম্যান্স আর্জেন্টিনা থেকেও ভালো। যদি খেলার খবর রাখেন ভালো করেই জানার কথা। মেক্সিকো, ইকুয়েডর জার্মানি, ব্রাজিলের সাথে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ এর ফলাফল নিয়ে বড় আশা বোকামি। ফ্রেন্ডলি ম্যাচের ফল আর বড় স্টেজে ম্যাচের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এখনো অনেক দুর পাড়ি দিতে হবে।।
সম্পুর্ন ব্যক্তিগত মতামত❤ আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য কমেন্টে তুলে ধরতে পারেন।
#
Nice