ফাহাদ
এই হাবিবা হুজুরের রুম থেকে বের হবে এমন সময় তার চোখ গেলো দরজার দিকে...
দরজায় সামনে যে দাড়িয়ে আছে তাকে দেখে তো হাবিবাভয়ে শেষ...এই বুঝি সে জ্ঞান হারালো...
দরজার সামনে রাজ দাড়িয়ে আছে...
হাবিবা চিন্তা করছে রাজ বুঝি সব শুনে ফেললো...
তার মনে তো বহু চিন্তা... যদি রাজ এসব কথা শুনে থাকে......তাহলে তো রাজ তাকে ভুল বুঝবে..
হুজুরঃ রাজ এসো ভিতরে এসো...
রাজঃ হুজুর আজ আমরা আসি তাহলে....
হুজুরঃ হুম...সাবধানে যেও...
রাজঃ হুম...
এই বলে তারা চলে আসলো...বন্ধুরা সবাই যার যার গন্তব্যে চলে গেছে... হাবিবা রাজের গন্তব্য বাড়ি...
হাবিবা ভাবছে...
রাজ কি হুজুরের সাথে বলা কথা গুলো শুনেছে...নাকি শুনে নি...
শুনলে অবশ্য আমাকে জিগ্যেস করতো কিন্তু ওও তো কিছুই জিগ্যেস করছে না..
নাকি সব শুনেও চুপ করে আছে....
রাজঃ কেমন লাগছে....?
হাবিবাঃ হুম।।।(একটু চমকে উঠলো)
রাজঃ মনের অনুভুতি কেমন....?
হাবিবাঃ বলে প্রকাশ করা সম্ভব না....(অনেকটা উৎফুল্ল হয়ে)
রাজঃ এতটা অনুভুতি কোথা থেকে আসলো....
হাবিবাঃ ইস তোমাকে যদি এখন জড়িয়ে ধরতে পারতাম...(অনেকটা আবেগী হয়ে)
রাজঃ হয়েছে থাক এতটা আবেগী হইয়ো না....
হাবিবাঃ শোনো না....
রাজঃ হুম বলো...
হাবিবাঃ আমাকে তোমার বউ করে তোমার সংসারে নিয়ে যাবে কখন...?
রাজঃ যখন তুমি চাইবে....তবে সংসার টা আমার নয় আমাদের....
হাবিবাঃ হুম আমাদের....
রাজঃ এখন কেমন লাগছে...
হাবিবাঃ ভালো না...(মন খারাপ করে)
রাজঃ কেনো...?
হাবিবাঃ তুমি এখনো আমাকে প্রপোজ করো নাই...(গাল ফুলিয়ে)
রাজঃ ওও ম্যাডাম প্রেমের জালে কে কাকে ফাঁসিয়েছে...আমি নাকি আপনি...(অনেক রোমান্টিক স্বরে)
হাবিবাঃ তুমিই তো আমাকে ফাসিয়েছো....যে আমি কিনা কোন ছেলেকে পাত্তা দিতাম না তাকে কিরে তুমি প্রেমের জালে ফাসিয়েছো....?(রাজের দিকে প্রশ্নাঙ্গু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
রাজঃ সেটা আমি কি করে বলবো... তুমিই ভালো জানো কি দেখে আমার প্রেমে পড়েছো...(গাড়ি চালাচ্ছে সে)
হাবিবাঃ আমিও জানিনা.... তবে তোমাকে সারাজীবন ভালো বেসে যাবো....তুমি বাসবে তো...(রাজের দিকে...খুব আবেগি চাহনী দিয়ে তাকিয়ে কথাটা হাবিবা বললো)
রাজঃ উমমম জানিনা...
হাবিবাঃ ঐ কি বললা...জানো না মানে...?(রাগী গলায়)
রাজঃ আমি জানবো কি করে...আমি কি তোমায় ভালোবাসি নাকি....(দুস্টুমি করে)
হাবিবাঃ ভালো না বাসলে বিয়ে কেনো করলে...? (রাগী দৃস্টিতে তাকিয়ে)
রাজঃ তুমি বলছো...তাই করলাম...(হাবিবার দিকে এক চোখ বন্ধ করে অন্য চোখ দিয়ে তাকালো....আবারো মনোযোগ দিলো রাজ গাড়ি চালানোর দিকে....)
হাবিবা আর কিছু বললো না...সে বুঝতে পারছে..রাজ তার সাথে মঝা করছে।। তবে কথা বলবে না আপাতত রাজের সাথে....
রাজঃ এই মিস রাজ...
হাবিবাঃ নো রেসপন্স...
রাজঃ রাগ করছো...
হাবিবাঃ কোন কথা নাই...
রাজঃ এই আমার রুপবতী....
তাও হাবিবাী কথা নেই....
রাজঃ ভালোবাসিতো তোমায়...কথা তো বলো...
হাবিবাঃ চুপ করুন...আর গাড়ি চালান...(রাগী কন্ঠে)
রাজ বুঝতে পারছে এখন কিছু বললে তা হিতে বিপরীত হবে.... তাই সে চুপি রইলো....
রাজ হাবিবাকে বাসার গেইটের সামনে নামিয়ে দিয়ে আবারো অফিসে চলে গেলো...
যাওয়ার সময় রাজ হাবিবাকে বলে দিয়েছে...যে তার ফিরতে দেরি হবে।।
হাবিবা বাসায় এসে ফ্রেস নিয়েছে...খাওয়া খেলো না।। কারণ খেয়ে তো এসেছে...
রাজ আসতে লেট হবে তাই হাবিবা রাজের রুমে চলে গেলো....
রাজের ডায়েরি টা নিয়ে বসেছে।
পৃষ্ঠা ৬
তারিখ ০১-০৪-২০০৮
সৌরভী আহমেদ রিয়া চৌধুরী
বোন আমার খুব মনে পড়ছে তোকে। কতদিন দেখি বা তোকে বোন আমার। খুব ইচ্ছে করছে তোকে দেখতে। তোকে একটু কোলে নিতে। কিন্ত বল মা-বাবার জগড়ার কারণে তোকে আমি থেকেও ভাইয়ের আদর দিতে পারছি...কতইবা তোর বয়স। এখনো মায়ের দুধ খাস....কিন্ত এমন হয়েছে বাবা-মায়ের মাঝে খুব সুখেই তো ছিলাম আমরা। জানিস বোন যেদিন তুই পৃথিবীর বুকে এসেছিস না আমার খুশি যতটুকু হয়েছে তার থেকে হাজার গুন বেশি বাবা হয়েছিলো। তোকে যখন নার্স এসে প্রথম আমার কোলে দেয় না বাবার চোখে সেদিন প্রথম জল দেখেছিলাম।তবে সেটা কোন কস্টের জল নয় রে।খুব সুখের জল.... খুব করে ইচ্ছে করছে তোকে একবার দেখতে তবে চাইলে যে এখন যেতে পারছি না। জানিস কস্ট গুলো এখন আর চাপা দিতে পারি না। কস্ট গুলো কেনো জানি এখন চোখের জল হয়ে বেড়ে পড়ে। জানিস তোর জন্মদিনে তোকে একটা সোনার লকেট উপহার দিবো বলে কিনে রেখেছিলাম। দিতে পারি নি। দিবো কি করে। সেদিন তুই আমার কাছে ছিলি না৷ আমিও তো কাছে ছিলাম না রে। আমার পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে যে রয়ে গেছে। জানিনা সেটা কি আদো আছে নাকি কেউ তা সরিয়ে নিয়েছে। তুই যখন কাদতি না তোর কান্নার আওয়াজ টা যখন আমার কানে আসতো।তখন আমার বুকটা কেঁপে উঠতো।কেনো জানি তোকে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসিরে। অপেক্ষা করিস বোন কোন একদিন তোকে সোনার লকেট উপহার দিবো আমি।দেখা হবে কোন আনন্দময় মুহুর্তে। আচ্চা বোন তুই তো অনেক ছোট কখনো অনেক সময় পর তুই যখন বড় হবি আমাদের দেখা হলে তুই চিনবি তো আমায়।।।নাকি ভুলে যাবি। ভুলবিই তো এড ছোট বয়সে কেউ কোনো কিছু মনে রাখতে পারে।বোন মা কিন্তু তোর কাছেই আছে। খেয়াল রাখিস তার।
পৃষ্ঠা শেষ। হাবিবা একটু এদিকসেদিক তাকিয়ে দেখলো।
বাহ খুব সুন্দর করে রাজ তার রুমটাকে গুছিয়ে রেখেছে।
ডায়েরি টা জায়গা মত রেখেদিলো।
রাজের বিছানায় দিকে লক্ষ করলো।বাহ দুইটা কোল বালিশ রাখা।
হাবিবা মনে ভাবছে।বাহ আমার বরটা তো দুইটা বউ নিয়ে থাকে এখন। থাকো থাকো এখন যা কয়জন নিয়ে থাকো সমস্যা নেই। তবে যখন আমি আসবো তখন আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে থাকার কথা ভাবতেও দিবো না।
রাত দশটা। হাবিবা নিজের রুমে বসে আছে। এমন সময় রাজের ফোন আসলো।
রাজঃ একটু উপরে আসো তো...
হাবিবাঃ কেনো এত রাতে...?
রাজঃ আরে বাবা আসোই না...
হাবিবাঃ হুম আসছি...
হাবিবা যখন রাজের এসে দাড়ালো রাজ তৎক্ষনাৎ যা করলো হাবিবা পুরো চমকে গেলো। রাজ এইসময় এমন একটা কাজ করবে হাবিব ভাবতেও পারে নি......
চলবে....
আমি অনেকজন কে ইনবক্সে অনেক কিছুই বলি। যদি কেউ আমার কথায় কিছু মনে করে থাকেন বা কস্ট পেয়ে থাকেন। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন। অনেকের সাথে ইনবক্সে দুস্টুমি করি। কারো যদি খারাপ লাগে তাহলে আমাকে জানাবেন আমি আর দুস্টুমি করবো না।
#পিচ্ছি_লেখক
গল্পঃ #সেই_ছেলেটি
পর্বঃ ২৯
লেখকঃ রহমান হৃদয়
হাবিবা যখন রাজের এসে দাড়ালো রাজ তৎক্ষনাৎ যা করলো হাবিবা পুরো চমকে গেলো। রাজ এইসময় এমন একটা কাজ করবে হাবিবা ভাবতেও পারে নি....
হাবিবা রাজের সামনে এসে দাড়াতেই..রাজ হাবিবার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো....পিছন থেকে একগুচ্ছ গোলাপের তোয়া....
হাবিবা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে..
রাজ বলে উঠলো....
রাজঃ হে প্রিয়...যখন তোমায় দেখেছি...প্রথম...
মুগ্ধ হয়ে চেয়ে ছিলাম তোমার ঐ পানে..
এখনি তাকিয়ে দেখি তোমার হাসির ঝলক..
হাসলে তুমি আগাত হানে বুকে।।।
কেঁপে উঠে হৃদকম্প.. এই বলে এই বুঝি হলো শেষ... ভালো বেসে তোমায়...
শেষ রাতে ঘুমের মাঝে অনুভব করি আছো বুঝি তুমি মোর পাশে..
থাকি যখন তোমার পাশে ইচ্ছে হয় ধরে রাখি তোমাকে নিজেরও বাহু ডুরে।
কখনো তুমি যদি বলো, ভালবাসো তুমি আমায়..
অনুভুতি গুলি বলে তখন...পেয়েছি তো আমাদের লালন করার কারিগর।
একবার বলো ভালবাসো...
আমি হবো না আর কারো..
এক বার ধরো এই হাত...
কথা দিচ্ছি ছাড়বো ততদিন আছে যতদিন এই দেহে দম।।
স্বপ্ন দেখি তুমি আমি মিলে গড়বো মোদের ছোট্ট চড়ুই সংসার।
আসবে মোদের কোল জুয়ে ছোট্ট সোনামণি সংসারের ফুল হয়ে।
সবশেষে বলতে চাই....চাই তোমায় আমার কাছে আমার সবকিছু হয়ে...
হবা কি তুমি আমার বউ..
হবে আমার গিন্নি..
হবে তুমি আমার রাত জাগা সাথী...
হবে কি তুমি আমার সকল সুখ দুঃখের সাথী..
ভালবাসি তোমার প্রিয়
বাসবো সারাজনম ভর...
কথাগুলো রাজ বলে হাবিবার সামনে হাটু গেয়ে বসে আছে...
হাবিবা ফুলটা নিলো...
রাজ আবার তার পকেট থেকে একটা রিং বের করলো..হাবিবা তার হাত বাড়িয়ে দিলো...
রাজ হাবিবার রিংফিঙারে রিং পড়িয়ে দিয়ে হাবিবার হাতে একটা চুম্বুন খেলো...
রাজ বলে উঠলো...
রাজঃ আমার উত্তরটা পেলাম না...?
হাবিবাঃ তোমার উত্তর কি আর দিবো...বাব্বাহ যে প্রপোজ তুমি আমায় করেছো....আমি তার একভাগের উত্তরও দিতে পারবো না...
রাজঃ ওকে কিছু বলতে না যাও...(রাজ এখনো বসে আছে...)
হাবিবাঃ ওকে।।বাবা।। মি টু...(রাজের হাত ধরে টেনে তুলে রাজকে উড়িয়ে ধরলো হাবিবা)
রাজঃ এই করছো কি...
হাবিবাঃ ঐ চুপ কিছু বলবা না...আমি আমার বর কে জড়িয়ে ধরছি তোমার কি...?(আহ্লাদী হয়ে)
রাজঃ বাপরে...কি ক্ষমতা।। আমার উত্তারটাই তো দিলা...না...(অভিমানী হয়ে)
হাবিবাঃ তুমি আমাকে যা হতে বলবে তোমার যা কিছু করতে বলবে তোমার সাথে সব কিছু আমি মুখ বুঝে করতে রাজি...বুঝছো....(এখনো জড়িয়ে ধরে আছে রাজকে..)
রাজঃ তাই...(হাবিবাকে রাজে সামনে এনে।। রাজ হাবিবার বাহু ধরে বলে উঠলো)
হাবিবাঃ হুম....
(এই বলে হাবিবা রাজের ঠোঁটে হালকা করে নিজের ঠোঁট টা স্পর্শ করে নিলো)
রাজঃ এই অল্পতেই হয়ে গেলো...?(মুচকি হেসে)
হাবিবাঃ নাহ...(লজ্জা পাইছে)
রাজঃ তাহলে....(মুচকি হাসছে)
হাবিবাঃ তুমি লম্বা বেশি... তাই পারছি না(মাথা নিচু করে)
রাজঃ লং কিস করার ইচ্ছা....(দুস্টুমি করে)
হাবিবাঃ অনেক লং....
হাবিবা রাজের পায়ের উপর নিজের পায়ের তালু রাখলো... রাজের মাথার পিছনে হাত দিয়ে... নিজের পা গুলো একটু উচু করে চার ঠোট এক করে দিলো...গভীর অনুভূতিতে আছে তারা দুজন...সমান তালে রেসপন্স দিচ্ছে দুজনই।।। তবে হাবিবা একটু বেশিই করছে....একটা হাত দিয়ে রাজের মাথার চুল ঘামছে ধরে আছে...ইচ্ছে করছে রাজের সাথে তার মিশে যেতে...
তাদের কিসিং মোমেন্ট শেষে হাবিবা বলে উঠলো...
হাবিবাঃ ধন্যবাদ...
রাজঃ কেনো...?
হাবিবাঃ এত সুন্দর করে কিছু অমূল্য অনুভুতি উপরহার দেওয়ার জন্য....(উৎফুল্ল হয়)
রাজঃ দুর পাগলি আমার।।।।আরো কত অনুভুতি পাবে...শুধু আমার কাছে এসে দেখো..(এই বলে হাবিবাকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ব করলো রাজ....)
হাবিবাঃ তবুও....
(দুজন গিয়ে দোলনায় বসলো..হাবিবাকে রাজ বাহুর ভিতর জড়িয়ে রাখলো...)
রাজঃ তোমাকে কখনো আমি খালি পেটে রাখবো...আগে বিয়ে টা হোক..
হাবিবাঃ আমি থাকবো...তুমি কিছু করতে পারবা...
রাজঃ অবশ্যই আমি জোর করে খাওয়াবো...
হাবিবাঃ আমি তো প্রতিটা বেবির গ্যাপ...৪ বছর রাখবো...এর পর যা কয়টা সন্তান চাইবা ততটা হবে সমস্যা নেই...তবে গ্যাপ টা আমি নিবো...
রাজঃ বাহ...খুবি চালাক আমার বউ...
হাবিবাঃ হুম... দেখতে হবে কে এটা...মিস চৌধুরী... ঐ শোনো না...(ভাব নিয়ে)
রাজঃ হুম বলো...
হাবিবাঃ আজ না আমাদের বাসর রাত....(দুস্টুমি করছে)
রাজঃ করবা..চলো....আমার রুমে চলো..(দুস্টু স্কয়ার হল)
হাবিবাঃ চলো...
রাজঃ হুম(হুম বলেই বলেই উঠতে যাবে...কিন্তু আর উঠলো না...)
হাবিবাঃ কি হলো..ভয় পেয়েছো...(মুচকি হেসে)
রাজঃ নাহ...ভয় কেনো পাবো....আর আমরা তো বাসরেই আছি....খোলা আকাশের নিচে...চাঁদ তারা প্রকৃতির মাঝে বসে আমরা বাসর করছি....এর চাইতে বেশি আর কি চাই বলো...
হাবিবাঃ হুম...প্রকৃতির মাঝে বাসর এটা হয়তো আমরাই প্রথম।
রাজঃ তো কি হয়েছে....আমরা নাহয় রেকর্ড করলাম...
হাবিবাঃ আমরা তো সবই রেকর্ড করার মত কাজ করছি...
রাজঃ এটাও নাহয় রেকর্ড করলাম...
হাবিবাঃ হুম....
রাজঃ একটা কথা জানো...(আকাশের দিকে তাকিয়ে)
হাবিবাঃ হুম না বললে জানবো কি করে...
রাজঃ আজকে না দুইটা চাঁদ দেখা যাচ্ছে... তুমি কি দেখতে পাচ্চো...
হাবিবাঃ কই আমি তো একটাই দেখতে পাচ্ছি...(আাকশের দিকে তাকিয়ে)
রাজঃ আরে তুমি দেখবা কি করে....
হাবিবাঃ আমি দেখবো কি করে মানে...(কনফিউশান হয়ে)
রাজঃ চাঁদ কি কখনো তাকে দেখতে পারবে....সে অন্যটা দেখতে পাবে বাট নিজেকে না...(হাবিবার মুখের দিকে তাকিয়ে)
হাবিবাঃ কি বললা বুঝতে পারি নি...কে কাকে দেখতে পাবে আবার পাবে না...(অবাক হয়ে)
রাজঃ আর আজকে আমি দুইটা চাঁদ দেখতে পাচ্ছি.... একটা আকাশে আরেকটা আমার বাহুডোরে....(মুচকি হেঁসে)
হাবিবাঃ তাই নাকি...
রাজঃ হুম গো....
হাবিবাঃ ঘুমাবা না....?
রাজঃ তুমি আমার কাছে থাকলে ঘুম এমনিইতেই আসবে না....
হাবিবাঃ না থাক বাবা আমি কারো ঘুম নস্ট করতে চাই না....
রাজঃ হুম...তুমি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো তোমার আবার ক্লাস আছে....পরে রেজাল্ট খারাপ করলে বলবা তোমার সাথে সময় কাটিয়ে আমার রেজাল্ট খারাপ করছো....
হাবিবাঃ হুম.....তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো....
এই বলে হাবিবা চলে যাবে এমন সময় রাজ হাবিবার হাত টেনে ধরলো....
হাবিবাঃ কি....
রাজঃ কিছুনা...
এইবলে রাজ হাবিবার কপালে একটা ভালবাসার পরশ একে দিয়ে বললো....
রাজঃ নজর না লাগে যে আমার চাঁদেরও গায়ে....তাই টিপ দিয়ে দিলাম....
হাবিবাঃ এই নাও আর লাগবে না...(গোমটা দিয়ে বললো)
রাজঃ হুম....গুড নাইট....Have good dream...
হাবিবাঃ মি টু
সকাল বেলায় সবাই খেতে বসেছে রাজও আছে।
রহমানঃ রাজ তোমাকে একটা কথা বলতাম...
রাজঃ হুম বলুন...
রহমানঃ আমাদের ম্যানেজার ছেলে হিসেবে কেমন...?
রাজঃ খারাপ হলে তাকে তো এই জায়গায় রাখতাম না....
রহমানঃ ওর জন্য হাবিবার বিয়ের কথা ভাবছিলাম....
রাজঃ হাবিবাকে জিগ্যেস করুন....?
রহমান লঃ কি বলিস মা....?
হাবিবার এমন কথা বললো তার বাবাকে রাজের খাওয়া মাথায় উঠে গেলো......হাবিবার বাবাও রীতিমতো অবাক....
চলবে
...
সবাই অনুমান করুন তো হাবিবা কি বলতে পারে......