আপুর ননদ যখন রোমান্টিক বউ

0 546
Avatar for Fahad22
4 years ago

লেখকঃ শাওন আহম্মেদ নীল

আম্মুঃ বাবা প্লিজ বিয়ে টা করে নে।

আমিঃ আম্মু আমি এখন ও ছোট, পড়ালেখা শেষ

হয়নি আমার।

আম্মুঃ কোথাও কি লেখা আছে বিয়ের পরে পড়াশোনা করা যায় না।

আমিঃ প্লিজ এখন এসব বাদ দাও ।

আম্মুঃ তুই কবে বুঝবি বল। তুই সারাদিন থাকিস ভার্সিটিতে , বন্ধুদের আড্ডায় থাকিস ব্যস্ত।আর তর আব্বু ত ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত আমাকে কেউ কি সময় দেস।

আমিঃ ত এখন কি করতে পারি?

আম্মুঃ আমার একজন মানুষ লাগবে সময় কাটানোর জন্য।।

আমিঃ কাজের মহিলা আছে ত তার সাথে সময় কাটাবে। দরকার পড়লে আরেকজন রেখে দিবো।

আম্মুঃ সবার সাথে সময় কাটানো যায় না। আগে

তর আপু ছিলো সারাদিন বাসায় থাকত। তর আপুর বিয়ে হওয়ার পর আমার আরো একা লাগে।

আমিঃ দেখো এখন আমি বিয়ে করতে পারবো না।।

আমার খাওয়া শেষ আমি ভার্সিটীতে গেলাম বাই।

এই বলে চলে আসলাম। আম্মু যে কিসের জন্য আমাকে বিয়ে করাতে উঠে পড়ে লাগছে এটাই বুজি না আমি। আমি একটা পিচ্চি ছেলে সবে মাত্র অনার্স তৃতীয় বর্ষের স্টুডেন্ট । আপনারাই বলেন আমার কি বিয়ের বয়স হয়ছে।।।

গাড়ি নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লাম।

এবার পরিচয় টা দিয়ে দেয়। আমি নীল বাবা মার দুই মাত্র সন্তান। মানে আমার বড় একটা আপু আছে তার নাম রিয়া। আপুর বিয়ে হয়ে গেছে।

বাবা শহরের নামকরা একজন ব্যবসায়ী।। এটুকুই থাক আস্তে আস্তে সব জেনে যাবেন।

পরিচয় দিতে দিতে ভার্সিটীতে চলে আসলাম। ভার্সিটী তে এসে আমি গাড়ি পার্ক করে,, আমাদের আড্ডাখানায় চলে গেলাম।। ভার্সিটী মাঠে একটা বড় কদম গাছ আছে। এখানেই আমাদের আড্ডা। আমার ফ্রেন্ড সার্কেল ছারা কলেজের বড় ভাইয়ারাও এখানে কখনো বসে না।।।

আমি কদম গাছের কাছে চলে গেলাম। দেখি জয় রানা রাজু হিয়া প্রিয়া বসে আছে । আমি গিয়ে ওদের সামনে বসে পড়লাম। এরা হলো আমার কলিজার ফ্রেন্ড।

প্রিয়াঃ মহারাজ আপনার ঘুম ভাঙলো?

আমিঃ হ্য প্রাণ প্রিয় পজা।

হিয়াঃ বাজে কয়টা খেয়াল আছে, আজকে যে আমাদের তৃতীয় বর্ষের প্রথম ক্লাস মনে আছে কি?

আমিঃ আর বলিস না তদের বলেছিলাম না যে আম্মু আমাকে বিয়ে করাতে উঠে পড়ে লাগছে।।

জয়ঃ হুম বলেছিলি ত।

আমিঃ আজকে আবার এই কথা নিয়েই দেরি হয়ে গেলো।

রানাঃ কেন? আজকেও বললো নাকি?

আমিঃ হ্য মাথা খারাপ করে দিলো পুরো ।

প্রিয়াঃ নীল আমার মনে হয় তর বিয়ে করে নেওয়া উচিত।

আমিঃ মাথা ঠিক আছে তর?

প্রিয়াঃ দেখ আগে ত রিয়া আপু ছিলো,, আন্টি তার সাথে সময় কাটিয়েছেন। এখন ত বাসায় আন্টি একা থাকে তাহলে আন্টির কতোটা বরিং লাগে তুই ই বল।।

আমিঃ এতোই যখন কষ্ট হয় তাহলে তুই গিয়েও ত মাঝে মাঝে হেল্প করতে পারিস।

প্রিয়াঃ পার্মানেন্ট বাসায় নিয়ে চল।

আমিঃ মানে?

প্রিয়াঃ কিছুনা।

হিয়াঃ বুঝিস না নীল প্রিয়া তকে লাইকে করে।

আমিঃ ফালতু কথা বলবি না। প্রিয়া আমার ফ্রেন্ড

আমাদের মধ্যো ভালোবাসা হবে না কখনো।

প্রিয়াঃ তর প্রবলেম টা কি হ্য আমাকে ভালোবাসতে কি প্রবলেম তর?

আমিঃ আচ্ছা তরা কি চাচ্ছিস আমি এখান থেকে চলে যায়।।

রানাঃ প্লিজ থামবি তরা

আমিঃ বারন করে দে এসব ফালতু কথা আর কখনো যেনো না বলে।

হিয়াঃ আচ্ছ বাবা স্যরি

আমিঃ তুই সত্যিই একটা আবাল

হিয়াঃ আবালের কি হলো?

আমিঃ আমি তর বাবা লাগি গাঁধি?

হিয়াঃ না কেন?

আমিঃ তাহলে বাবা বললি যে,

হিয়াঃ আরে বোকা ওটা ত কথার কথা।।

জয়ঃ নীল তুই পারিস ও।

রাজুঃ চল ক্লাসে চলে যায় আমাদের ভালো দেখে দুইটা বেঞ্চ বুকিং করতে হবে।

আমিঃ শুন আমরা যেখানে গিয়ে বসবো সেখানেই

আমাদের দখলে এসে পড়বে।

হিয়াঃ নীল তর বাবা ভার্সিটীর সভাপতি তার জন্য আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।

জয়ঃ ঠিক বলছিস।

আমিঃ হয়েছে এখন চল ক্লাস চলে যায়।

এই বলে আমরা ক্লাসের দিকে যেতে লাগলাম।

আমার ফোনে একটা কল আসলো। পকেট থেকে ফোন বাহির করে দেখি দুলাভাই ফোন দিছে।

আমিঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম

ভাইয়াঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম

আমিঃ কেমন আছেন ভাইয়া?

ভাইয়াঃ ভালো,

তুমি?

আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।।

ভাইয়াঃ কোথায় এখন তুমি?

আমিঃ কলেজে

ভাইয়াঃ একটু কলেজের সামনে আসো।

আমিঃ দুই মিনিট আসতেছি।

আমি কল কেটে দিলাম। ওরা জিঙ্গাস করলো কই যাচ্ছিস। আমি শুধু বললাম ভাইয়া আসছে একটু ওয়েট কর। আমি কলেজ গেটে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি ভাইয়া আর একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে।। আমি ভাইয়ার সামনে চলে গেলাম।

আমিঃকোথাও যেতে হবে কি ভাইয়া

ভাইয়াঃ আরে না।

আমিঃ ওহ আচ্ছা।।

ভাইয়াঃ নীল এ হলো আমার ছোট বোন নিধী আর নিধী আমার সালা নীল।।

নিধীঃ হাই

আমিঃ হ্যলো।

ভাইয়াঃ বিয়ের সময় ত দেখছো,, বাট নিধীর এক্সাম ছিলো তাই এসেই চলে গেছিলো তাই পরিচয় হতে পারো নি।

আমিঃ খেয়াল করে নি।

ভাইয়াঃ তুমি ত ইনোসেন্ট কোনো মেয়ের দিকেই তাকাও না। আমার মনে হয় দেখোই নায়।

আমিঃ হুম।

এই তাহলে আপুর ননদ দেখতে ত খারাপ না।

একেই ঘরের বউ করে আনার জন্য আম্মু উঠে পড়ে লাগছে।। বিয়ে করলে খারাপ হবে না। বাট এখনি বিয়ে করা যাবে না,, যেভাবেই হক মেয়েটাকে বুঝাতে হবে যাতে এখন বিয়েতে রাজি না হয়।

তারপর ভাইয়া যা বললো তা শুনে ত মাথা ঘুরতে শুরু করলো। এখন থেকেই মনে হয়, প্যরাময় লাইফ শুরু হয়ে গেলো।

#চলবে

3
$ 0.00
Avatar for Fahad22
4 years ago

Comments