"তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে
রাতের বাসরে দোসরে হয়ে তাই সে আমারে টানে।"
হে রবীন্দ্র প্রেমী সুধাময়ী,
তোমায় নিয়ে লিখার জন্য কোন শব্দ মন্দিরে হানা দেবো তোমার কাছেই সে ঠিকানা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আমার এই সংকীর্ণ শব্দ ভাণ্ডার নিয়ে তোমায় বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই। এই ক্ষুদ্রমতি লেখককে তাই
নম দৃষ্টিতেই একটু দেখো। কাব্যের অদ্ভুত মিশ্রণ তোমার প্রতিটি মুখনিঃসৃত বাক্যে ভেসে বেড়ায়। তোমার বলা প্রতিটি বাক্য প্রখর বাস্তবতার সুর তুলে গান ধরে। তোমার চিন্তার জগতের বিস্তার, ভাবনার গভীরতা আমায় বারে বারে তোমার ভালোবাসার রোগে আক্রান্ত করে। তুমি অতি সরল নও, বক্রও নও। তুমি তোমার মতই সাবলীল, তুমি তোমার মতই বর্ণিল। সাদা-কালোর প্রতি তোমার ভালোবাসা, রবীন্দ্রনাথে মুগ্ধতা আমায় কেমন যেনো হিংসুক করে তুলছে। (লিখতে যেয়ে শব্দ হারিয়ে ফেলছি)
তোমায় প্রথম যেদিন সম্মুখে দেখেছিলাম তার আগেই তোমায় বাঁধা পড়ে গিয়েছিলাম। সাধ থাকলেও আমার মন দিঘিতে সাহসের বড় অভাব। তোমার কাছে এলোমেলো হয়ে যাই, শব্দের দ্যোতনা খুঁজে পাই না। সে সাধ্য থাকলে হয়তো এতোদিনে তোমায় সরাসরি ভালোবাসি বলেতে পারতাম। কাব্যে যদিও বহুবার প্রকাশ করার চেষ্টা টা হয়েছে তোমার মন ছুঁয়ার সামর্থ্য তার হয়নি। তোমায় ভালোবাসি বলার সে ভাগ্য আমার ললাটে আছে নাকি আমার জানা নেই, বিধাতার কাছে চাই সে সৌভাগ্য যেনো আমায় দেন।
শোন হে সুধাময়ী! তোমার সাথে আমি বানিয়ে মিথ্যে বলতে পারবো না। সত্য যেমন সুন্দর এবং সাবলীল তোমায় আমি তেমনি পেতে চাই। তুমি কখনো হারিয়ে গেলে আমায় কখনো বখে যাওয়াদের দলে খুঁজে পাবে না, এ বিশ্বাস তুমি রেখো। আমার যতটুকু ভালোবাসা আছে তা সাদা-কালোয় বন্দী করে রাখবো কাউকে বুঝতেও দেবো না। কাজী নজরুলের ভাষায় বলি, আমি কবি; আমার পক্ষে ভর্ৎসনা করা সম্ভব নয়। মন খারাপ হলে আমি ফুল দিয়েই উত্তর দেবো।
যদি কখনো রাগ করো,গোমড়া করো মুখ
তোমায় নিয়ে লিখবো কবিতা মিশিয়ে মনের দুখ।
আমায় যদি বকা দাও তা রাখবো না এ বুকে
সাদা-কালোয় লিখে তা ছেড়ে দেবো তোমার
অরুণ রাঙা মাঠে।
হে আমার কবিতা, আমার বাঁশির রাগিনি! আমি চাই তোমায় নিয়ে গল্প হোক শত কোটি বছর, শাহজাহানের মমতাজের মতো অমর হোক তোমার নাম। জীবনানন্দের বনলতা সেনের মতো তুমি হয়ে উঠো কাব্য প্রেমীদের চোখে রহস্যময় রমণী।
হে প্রিয়, যা ইচ্ছে তাই লিখেছি রাগ করোনা এই যে মোর আরজি। শতবার চাও বকা দাও, গালমন্দে ভাসাও মুখটি কখনো ভার করো না। শব্দ ভাষার প্রশংসা আমি চাই না, শুধু চাই কোমল হও কাব্যের ভাষা নও সাবলীল গদ্যের কথা হও। শেষ করবো কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় একটি আরজি রেখে,
"ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নাম টি লিখো--তোমার মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে তাহার তালটি শিখো-তোমার চরণমঞ্জীরে।"
ইতি-
তোমার মাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাবনা