আলহামদুলিল্লাহ!!!!!
সৌদি কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পবিত্র ওমরা পালনের জন্য মসজিদুল হারাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর রওজা মোবারক জিয়ারত এর জন্য মাসজিদে নববী ধীরে ধীরে চারটি ধাপে খুলে দেয়া হচ্ছে:
প্রথম ধাপে: চার অক্টোবর হতে শুধু সৌদির অভ্যন্তরে বসবাসরত সৌদি নাগরিক এবং বিদেশীরা স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থাকালীন মোট ধারণক্ষমতার ৩০% হারে (দৈনিক প্রায় ছয় হাজার) ওমরা পালন করতে পারবে।
দ্বিতীয় ধাপে: চার অক্টোবর হতে শুধু সৌদির অভ্যন্তরে বসবাসরত সৌদি নাগরিক এবং বিদেশীরা আঠারো অক্টোবর হতে স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থাকালীন মোট ধারণক্ষমতার ৭৫% হারে (দৈনিক প্রায় পনের হাজার উমরাকারী, ৪০ হাজার নামাজ আদায়কারী ) মসজিদুল হারামে ওমরা ও নামাজ আদায় এবং মসজিদে নববীতে জিয়ারাহ করতে পারবে।
তৃতীয় ধাপে: পহেলা নভেম্বর হতে করোনার বিপদ শেষ হয়েছে মর্মে ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত সৌদির অভ্যন্তরের এবং বাইরের সৌদি নাগরিক ও বিদেশীরা স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থাকালীন মোট ধারণক্ষমতার ১০০% হারে (দৈনিক প্রায় বিশ হাজার উমরাকারী, ৬০ হাজার নামাজ আদায়কারী ) মসজিদুল হারামে ওমরা ও নামাজ আদায় এবং মসজিদে নববীতে জিয়ারাহ করতে পারবে।
ধীরে ধীরে বহি:বিশ্বের ওমরাকারীরা ওমরা আদায়ের জন্য আসতে পারবে। তবে অবস্থা বুঝে কোন দেশে হতে হাজীরা আসত পারবেন সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিবে ।
চতুর্থ ধাপে: করোনার বিপদ শেষ হয়েছে মর্মে ঘোষণা দেয়ার পর সৌদির অভ্যন্তরের এবং বাইরের সৌদি নাগরিক ও বিদেশীরা সকলেই স্বাভাবিক সময়ের মোট ধারণক্ষমতার ১০০% পূর্বের ন্যায় মসজিদুল হারামে ওমরা ও নামাজ আদায় এবং মসজিদে নববীতে জিয়ারাহ করতে পারবে।
** ওমরা পালন, জিয়ারাহ এর এই সম্পূর্ণ কার্যক্রমটি সৌদি সরকারের হজ্জ মন্ত্রণালয়ের ইতামারনা নামক এপ এর মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা করা হবে।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন থেকেই ধর্মীয় এই রীতিনীতি পালনের বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির নিয়মিত মূল্যায়ন করছে।