অমঙ্গলকে হাসিয়া জগৎ হইতে উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিও না। তাহা হইলে মঙ্গলসমেত জগৎ হইতে উড়িয়া যাইবে। মঙ্গলকে যেভাবে গ্রহণ করিয়াছ অমঙ্গলকে সেইভাবে গ্রহণ করাে। অমঙ্গলের উপস্থিতি দেখিয়া ভীত হইতে পার, কিন্তু বিস্মিত হইবার হেতু নাই। অমঙ্গলের উৎপত্তির অনুসন্ধান করিতে যাইয়া হাবুডুবু খাইবার দরকার নাই। যেদিন জগতে মঙ্গলের আবির্ভাব হয়েছে সেদিন অমঙ্গলের যুগপৎ উদ্ভব হয়েছে। একই দিনে, একই ক্ষণে, একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে উভয়ের উৎপত্তি। এককে ছাড়িয়া অন্যের অস্তিত্ব নাই, এককে ছাড়িয়া অন্যের অর্থ নাই। যেখান হইতে মঙ্গল, ঠিক সেইখান হইতেই অমঙ্গল। সুখ ছাড়িয়া দুঃখ নাই, দুঃখ ছাড়িয়া সুখ নাই। একই প্রস্রবণে, একই নির্ঝর ধারাতে উভয় স্রোতস্বতী জন্মলাভ করিয়াছে, একই সাগরে উভয়ে গিয়া মিশিয়াছে
মূল কথা হল মঙ্গল-অমঙ্গল, সুখ-দুঃখ মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য ধারা। অমঙ্গল আছে বলেই মঙ্গালকে বােঝা যায়। পুরব আছে বলেই সুখের স্বরূপ বােঝা যায়। তাই জীবনে সুখ-দুঃখ উভয়কেই মেনে নেওয়া উচিত।