সম-বয়সীদের প্রেমগুলো ভীষণ অদ্ভুত হয়। কখনও কখনও 'প্রেমটা বন্ধুত্ব থেকে আসে। বালিকার অগোছালো চুল ...
আর মিষ্টি হাসি ছেলেটিকে যেনো প্রেমে পড়তে বাধ্যই করে।
সারাদিন অর্থহীনের এর গান শোনা ছেলেটা, একদিন শুনেই ফেলে 'রবি-ঠাকুরের সেই যে ভালবাসি গানটা। সমস্ত রকমের এসএমএস
ছেড়ে লিখেই ফেলে একটি চিঠি। নীল খাম, সাথে লাল গোলাপ। বালক একদিন সামনা
সামনি বলেই ফেলে ভালোবাসি !!
এখন তো পড়াশোনা করার সময় প্রেমের না তবুও বালিকার সাথে তার প্রেমটা হয়ে যায়। বালিকা না না করতে করতে, হঠাৎ একদিন
আবিষ্কার করে বুকের বামপাশে ব্যাথা হচ্ছে !!
নিয়ম করে রিকশায় ঘোরা, আর দই-ফুচকা খাওয়া হয় ঠিকই ... কিন্তু রাত জেগে কথা বলাটা তাদের হয় নাহ্।।
তবুও তাদের কথা হয়, মনের গহীনে খুব গোপনে।
মেয়েটির কলেজে,,
আজ বসন্ত বরণ উৎসব ... হচ্ছে। সে গান গাইবে ...
"সে গান গাওয়া শুরু
করেছে, তার চোখ বন্ধ, অন্য কাওকে নয়, সে শুধু একজনকেই গান শোনাচ্ছে---
"আমি তোমারও ...
সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
সুরেরও বাধনে".
ছেলেটিও আবৃত্তি করবে আজ ...!! তা শুধুমাত্র মেয়েটির অনুরোধে !!! অনেক বই থেকে ঘেটে সে ---
"রফিক আজাদের প্রতীক্ষা" কবিতাটি খুঁজে নিয়েছে।
আজ যে শুধু একজনকেই আবৃত্তি করে শোনাবে।
খুব বেশি ভাগ্য করে না জন্মালে ... সমবয়সী প্রেমগুলো পরিপূর্ণতা পায় না !!
তা শুধুমাত্র প্রেমই থেকে যায়..!!
আর বালিকার দীর্ঘশ্বাস
হয়ে বেঁচে থাকে।
গল্পের বালক- বালিকাদের কি হবে ... আমরা কেউ তা জানি না।
হতে পারে তারা খুব সুখে
সংসার করবে..!!
হতে পারে সেই বালিকাকে
বালকের হাত ছেড়ে, অন্য কারো হাত ধরতে হবে..!!
তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তাদের ভালবাসাটা কখনোই মরবে না ...
শুধু সময়ের মরীচিকায় হয়তো ফিকে হয়ে যাবে ---
কারন এ যে সম্পূর্ণ নিয়তির খেলা !!