ব্যাচেলর জীবনের আড্ডা মাতানো ছেলেরা সব দলবেঁধে জীবন গোছানোয় ব্যস্ত। কেউ বিদেশ পাড়ি দিয়েছে, কেউ কেউ সেশনজটে পড়ে পাওয়া কিছু বোনাস মাস উপভোগে শেষ কিছু উন্মাদনায় ব্যস্ত। আড্ডা নামটা বিলাসিতা হয়ে গেছে টিউশনি নামক সোনার হরিণের শিডিউলের কাছে হার মেনে। সেদিন দেখলাম সোডিয়াম লাইটগুলো খুলে নিয়ে সেখানে সাশ্রয়ী বালভ বসছে। ওই হলুদ আলোর নীচে আমার বেশ কিছু স্ক্রিপ্টের জন্ম হয়েছিল। কিংবা মুরাদপুর-লালখানবাজার ফ্লাইওভার নির্মানের ধ্বংসযজ্ঞ শুরুর সাথে সাথেই যে ব্যাচেলরের স্বপ্ন ফেরী করা বেশ কিছু ঝুপড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে সে খবর কে রাখে? আমাদের কিছু স্বপ্নের রাত ছিল, সাধারণ রাতকে অসাধারণ করে তুলতে কারো চেষ্টার কমতি ছিল না। আমরা সেগুলো মিস করবো। রাত দুইটা কিংবা তিনটায় বন্ধুর মাথার নীচ থেকে বালিশ কেড়ে নিয়ে কক্সবাজার চলে যাওয়া,কারো জন্মদিনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই বিয়ের মতো প্রস্তুতি নেয়া, সারারাত নৌকায় বসে কুমিরার সাগর পাড়ে কাটিয়ে দেয়া সবই এখন জাদুঘরে।
শুক্রবারগুলো বাসায় থাকাটা রীতিমত অপরাধের তালিকায় ছিল, এখন সেটা নিয়মিত অভ্যাস। আবেগহীন স্ক্রিপ্টের শেষে দুইটা লাইন জুড়ে দিয়ে চোখে পানি নিয়ে আসার কাজটা আমি ভালো পারি। কিন্তু শতভাগ আবেগ প্রকাশ করতে চাওয়ার এই স্ট্যাটাসে সেটার চারআনাও লিখতে পারিনি।