আমাদের মধ্যে সুখী মানুষের সংখ্যা এতো কম কেন জানেন?
কারণ আমরা তুলনায় আটকে থাকি। আজকে যদি সব বন্ধু এবং ক্লাসের সবাই একই সাব্জেক্টে ফেইল করি তাহলে দেখবেন কেউ তেমন একটা মন খারাপ করে নেই। সমস্যাটা হয়ে যায় যখন শুধু কয়েকজন ফেল করে। তখন আমরা তুলনা করতে শুরু করি- যদি পাশ করাদের দলে আমিও থাকতাম!
এরকম অসংখ্য ঘটনা আছে।
আমরা বন্ধুকে তার বাপের কিনে দেয়া দামী গাড়ি দেখে মন খারাপ করে ফেলি। প্রেমিকারা অন্য কোন কপোত-কপোতির আরেকটু বেশী কিউটনেস দেখে মন খারাপ করে ফেলে।বাবা-মা'রা অন্য মানুষের ছেলেপেলের দামী প্রতিষ্ঠানে চাকরী দেখে মন খারাপ করে ফেলে..
..গত বছর আরেকটু বেশী সুখী ছিলাম এই তুলনাতেও আমরা মাঝে মাঝে মন খারাপ করে ফেলি!
..অল্পসময়ের জন্যেই যদি জীবন তাহলে দু:খবিলাস করার সময় কোথায়?
যেদিন আমার হাতে সেমিস্টারের ৬টা পরীক্ষার মধ্যে ৩টাতে ফেল করার রেজাল্ট শীট ছিল সেদিন পয়েন্ট ফাইভ সিজিপিএ কমে যাওয়ায় গাল ফুলিয়ে বসে থাকা ছেলেটার পাশ দিয়ে হাসিমুখে হেটে যেতে পারার সময় আমি নিজেকে পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করি..অল্প কিছু টাকা কম বেতনের চাকরীতে সমস্যা নেই, এই টাকায় আমি সুখী থাকলেই হয়। পৃথিবীর সবাই যে সাকিব-আল-হাসান কিংবা বিল গেটস হবে - এই সমীকরণ নিয়ে পৃথিবীটার জন্ম হয়নি।
জীবনে টিকে থাকার জন্যে টিকেট কেটে মোটিভেশন স্পীকারের মোটিভেশনের দরকার নাই। আপনি নিজেই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় মোটিভেশন।
আমি সুখী থাকতে চাই অথবা সুখী থাকার অভিনয় করে যেতে চাই আজীবন। দু:খ জিনিসটার সাথে আমার সম্পর্কটা বরাবরই খারাপ।
Done . Back plz